মোবাইল থেকে ইউটিউব চ্যানেল সেটিং করার ৯টি নিয়ম জেনে নিন
বর্তমান সময়ে খুবই কম মানুষ পাওয়া যাবে যারা ইউটিউবের নাম কখনো শুনেনি। অনেকে এই ইউটিউব থেকে টাকাও কামাচ্ছেন আবার কেউ কেউ টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন। আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। স্বাগতম আমাদের ওয়েবসাইটে।
আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি - ইউটিউব চ্যানেল সেটিং ২০২৩।এই বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আজকের আলোচনায় শিখবো যে মোবাইল থেকে ইউটিউবে চ্যানেলের সেটিংসগুলো কিভাবে করবেন।
বিশেষ করে যারা নতুন ইউটিউ চ্যানেল খুলেছেন। হয়তো শখের বসে খুলেছেন আর না হয় টাকা ইনকাম করার জন্য। সবাইকেই ভিউজ দরকার। সবাই চাইবে তাদের চ্যানেলে অসংখ্যা ভিউজ আসুক।
কিন্তু এই ভিউজগুলো কি নিজে নিজে আসবে? না, কখনোই না। বন্ধুরা, আপনারা হয়তো এসইও এই কথাটি কোথাও না কোথাও শুনেছেন। আসলে ভিউ পাওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় হাত রয়েছে এসইও এর।
আপনি যদি সঠিকভাবে এসইও করতে পারেন। কিংবা আপনি একজন দক্ষ এসইও কারক। তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার চ্যানেলে ভিউ আসা শুরু হবে। সাথে আপনার ভিডিওগুলো ও ভাইরাল হবে।
আজ যারা বড় বড় ইউটিউবার তারা সকলেই এসইও করতে শিখেছে। যার কারণে তারা এত এত ভিউ পাচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে এই এসইও করবেন কিভাবে? আপনি তো এসইও পারেন না। চিন্তার কোনো কথা নেই।
আমি আজকে আপনাকে সহজভাবে এসইও করা শিখিয়ে দিবো। আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনিও নিজের চ্যানেলের এসইও করতে শিখে যাবেন।
Read More : পাসওয়ার্ড ছাড়া Wi-Fi কানেক্ট করার ২টি উপায় দেখুন
ইউটিউব চ্যানেল সেটিং বা এসইও করার নিয়ম
চ্যানেল লোগো লাগানো
হে, বন্ধুরা সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে একটা নতুন চ্যানেলের লোগো বানানো। এতে ইউটিউব কে বুঝতে সুবিধা হবে যে আপনি আসলেই সিরিয়াসভাবে এই চ্যানেলে কাজ করবেন। যার কারণে ইউটিউব আপনার চ্যানেলকে প্রমোট করবে।
আর একটি চ্যানেলে লোগো থাকলে চ্যানেলটি অনেক সুন্দর দেখায়। ইউটিউব চ্যানেল লোগো বানানোর জন্য সঠিক সাইজ হলো ৮০০×৮০০ পিক্সেলস।
চ্যানেল ব্যানার লাগানো
চ্যানেলের নাম
বন্ধুরা চ্যানেলের নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। নাম যত ভালো সুবিধাজনক হবে আপনার ভিডিও র্যাংক করতে ও খুঁজে বের করতেও ততো সুবিধা হবে। মনে করুন আপনি কোনো বড় চ্যানেলের দেখাদেখি নাম রাখলেন।
কিন্তু কেউ যদি আপনার চ্যানেল সার্চ করে বের করতে চায় তাহলে সে পারবে না। কারণ আপনার চ্যানেলের নাম দিয়ে সার্চ করলে সে বড় চ্যানেলটি চলে আসবে।
কেননা আপনি তার চ্যানেলের নামেই নিজের চ্যানেলের নাম রেখেছেন। এজন্য ভালো করে ভেবে চিনতে ও রিসার্চ করে নিজের চ্যানেলের নাম বাছাই করতে হবে।
আপনি যদি আগে থেকেই চ্যানেলের নাম রেখে দিয়েছেন তাহলে সমস্যা নেই। ইউটিউব ষ্টুডিও থেকে "কাস্টোমাইজেশন" নামক অপসন থেকে আপনার চ্যানেলের নাম পরিবর্তন করে নিন।
নিচ সিলেকশন
অনেকে হয়তো প্রথমবারের মতো এই কথাটি শুনেছেন। ভাবছেন নিচ সিলেকশন আবার কি? আসলে নিচ সিলেকশন অর্থ হচ্ছে আপনার চ্যানেলের বিষয় নির্ধারণ করা। আপনি কোন বিষয়ের উপর কাজ করবেন, ভিডিও বানাবেন এটি আপনার নিচ।
আপনাকে নিচ সিলেকশনের সময় যে কথা মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে - এমন নিচ বাছাই করতে হবে যেখানে কম্পিটিশন কম এবং ভিউয়ার যথেষ্ট আছে। তাহলে আপনি সহজে র্যাংক করতে পারবেন এবং ভিউ আন্তে পারবেন।
Read More : ব্লগ কনটেন্ট আইডিয়া জেনারেট করার উপায়
ডেসক্রিপশন এড করা
একবার নিচ সিলেক্ট হয়ে গেলে আপনাকে আপনার চ্যানেলের ডেসক্রিপশন বসাতে হবে। এটি আসলে কোনো রেস্টুরেন্টের মেনু বইয়ের মতো। যেখানে আপনি ভিউয়ারদেরকে জানাচ্ছেন যে আপনি কোন টাইপের কন্টেন্ট বানাচ্ছেন।
আপনার নিচ কি সাথে আপনার বিভিন্ন তথ্যাবলী। ডেসক্রিপশন এড করার জন্য আপনাকে আবারো ইউটিউব ষ্টুডিও থেকে কাস্টোমাইজেশন অপশনে গিয়ে ডেসক্রিপশন এড করতে হবে।
সবসময় মনে রাখতে হবে আপনার ডেস্ক্রিপশনে যেন আপনার চ্যানেলের নাম থাকে, আপনার নিচ উল্লেখ থাকে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগ থাকে। এই ট্যাগগুলো আপনার নিচের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
ইমেইল এড করা
সে অপশন থেকে একটু নিচের দিকে আপনি ইমেইল এড করার স্থান পেয়ে যাবেন। সেখানে আপনার চ্যানেলের ইমেইল এড করতে হবে। এর কারণ হলো যদি কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চায় তাহলে সেখান থেকে আপনার ইমেইল সংগ্রহ করতে পারবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
কারেন্সি বাছাই করা
এখন আপনার ইউটিউব ষ্টুডিও থেকে আপনাকে সরাসরি সেটিং অপশনে চলে যেতে হবে। সেখানে জেনারেল ধাপে আপনি কারেন্সি বাছাই করার অপশন পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে আপনাকে আপনার কারেন্সিকে ইউএসডি (USD) তে সিলেক্ট করতে হবে।
এর কারণ হচ্ছে গুগল বাংলাদেশের ব্যাংকে ইউএসডি তে টাকা পাঠায় এবং এরপর ইউটিউব চ্যানেলের মালিকরা সেটাকে বাংলাদেশী টাকায় পেয়ে থাকেন।
দেশ ও কীওয়ার্ড বাছাই
এরপর জেনারেল অপশনের ঠিক নিচে আপনি চ্যানেল অপশনটি পেয়ে যাবেন। সেখানে বেসিক ইনফো তে আপনাকে আপনার স্বদেশ সিলেক্ট করতে হবে। আমরা যেহেতু বাংলাদেশী আমরা সেখানে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে ফেলব।
এরপর সেখানেই কিওয়ার্ড এড করার অপশন আছে। সেখানে আপনার বাছাইকৃত নিচ অনুযায়ী আপনাকে কিওয়ার্ড বসাতে হবে।
এখন সবার নিচে থাকা ডানদিকের সেভ অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার চ্যানেলের বেসিক এসইও এর কাজ সম্পন্ন হলো। এখন আপনাকে ভিডিও আপলোড করা শুরু করতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে আপনার ভিডিও র্যাংক করা শুরু করবে এবং একসময় গিয়ে আপনার চ্যানেল ভাইরাল হবে।
তারপর আপনি টাকা উপার্জন করা শুরু করবেন। কিন্তু শর্ত হলো আপনার নিচ ভালো থাকতে হবে সাথে ভিডিওর কোয়ালিটি অত্যান্ত ভালো হবে। ভিডিও কোয়ালিটিও ভিডিও র্যাংক করতে সুবিধা করে।
Read More : অটবি অফিস চেয়ার- বস চেয়ার-কম দামে
FAQ
ইউটিউব কিভাবে সেটিংস করব?
ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
ইউটিউব থেকে অসংখ্যা টাকা আয় করা যায়। তবে কারো আয় কম বা বেশি হতে পারে। কেননা ইউটিউবের যায় সম্পূর্ণ ভিউজের উপর নির্ভর করে। আপনার ভিউজ বেশি হলে আপনি বেশি যায় করবেন।
কারো ভিউজ কম আসলে সে কম যায় করবে। তবে সর্বনিম্ম ১০০ ডলার হলে আপনি পেমেন্ট পাবেন। যেটি বাংলাদেশী টাকায় ১১,০০০ টাকার সমান। এর কম হলে ইউটিউব পেমেন্ট রিলিজ করেনা।
ইউটিউব চ্যানেলের সেটিং কোনটি ভালো?
ইউটিউব চ্যানেলের কয়েকপ্রকার সেটিংস রয়েছে। সবগুলো সেটিংসই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কোনোটাকে অবহেলা করা ঠিক না। আপনি ইউটিউবের সকল সেটিংস গুলো করুন। কিভাবে করবেন? সাহায্যের জন্য পোস্টটি পড়ুন।
ইউটিউব এর মালিকের নাম কি?
ইউটিউব হচ্ছে গুগলের একটি কোম্পানি। গুগল অনেক আগেই ইউটিউব ক্রয় করেছে। তবে ইইউটিউবের সিইও আলাদা এবং গুগলের সিইও আলাদা। ইউটিউবের বর্তমান সিইও বা মালিক হচ্ছেন "Neal Mohan" যিনি ২০২৩ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ইউটিউবের সিইও নিযুক্ত হন।
Read More : অনলাইনে মামলা দেখার উপায়
উপসংহার
আশা করছি আজকের পোস্ট আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। পোস্টটি উপকারী মনে হলে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে দিন। অনুমান করছি যে আপনি ইউটিউব চ্যানেল সেটিং করার ৯টি নিয়ম জেনে গিয়েছেন।
এর সাথে কিছু ছোটোখাটো প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। ভালোভাবে বুঝতে ছবিগুলোর সাহায্য নিন। এছাড়াও কোনো কিছু বুঝতে কষ্ট হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি সম্পূর্ণ চেষ্টা করব আপনার সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার।