ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লিখন

এই পোস্টে ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লিখন জানিয়ে দিবো। সাথে ২ টি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের উপর লেখা চিঠি দেওয়া আছে।

    আশা করি ভালো আছেন। আজ আবারো উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি শিক্ষামূলক। পোস্টে ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লিখন জানিয়ে দিবো। সাথে ২ টি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের উপর লেখা চিঠি দেওয়া আছে। 

    আপনারা সেটি মুখস্ত করতে পারবেন। বিশেষ করে পরীক্ষায় এই চিঠি লেখলে সম্পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তির আশা করতে পারেন। কেননা আমি যে ২টি চিঠি দিয়েছি সেগুলো অনেক সুন্দরভাবে নিয়ম অনুযায়ী লেখা। 

    ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লিখন

    ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীর জন্যেই এই চিঠি প্রযোজ্য। তো চলুন এবার আলোচনার দিকে অগ্রসর হওয়া যাক। 

    বান্ধবীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা চিঠি

    ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি - মহাস্থানগড়

    নিজের ঠিকানা,জেলার নাম
    তারিখ: ০৪-১১-২০২৩

    প্রিয় বন্ধু ('ক' রহমান),
    কেমন আছো? আশা করি ভালো আছো। আমার ভালোবাসা নিও এবং তোমার বাবা মাকে আমার সালাম জানাইও। গত ১০ তারিখ আমাদের স্কুল থেকে আমার ক্লাসের সকলেই একসাথে মহাস্থানগড় ভ্রমনে গিয়েছিলাম। সাথে আমাদের শিক্ষকরাও গিয়েছিলেন। আজ সেই ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তোমাকে লিখতে বসেছি।

    মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন নিদর্শন। যা বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এখনো সেখানে প্রাচীনকালের অনেক কীর্তিচিহ্ন এবং নিদর্শন দেখা যায়। আমরা সেখানে বেহুলা এবং লক্ষিন্দরের বাসর ঘর দেখতে পেয়েছি। এই প্রাচীন নিদর্শনের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। যা সত্যিই দেখার মত। এছাড়াও যুগ যুগ ধরে এই স্থানে অনেক রাজাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দেখা যায়।

    প্রাচীন যুগের অনেক ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন এখনো এখানে রয়েছে। সেখানে যাবার অভিজ্ঞতা অনেক ভালো ছিল। সারাদিন আমরা মহাস্থানগড় ঘুরে ঘুরে দেখেছি। হাজার বছর আগের সব নিদর্শন, ধ্বংসাবশেষ ও কীর্তি দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। সবশেষে সন্ধ্যার দিকে আমরা নিজের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আসলেই অভিজ্ঞতা অনেকটা জোরালো ছিল।

    আজ আর নয়। আবারো কোনদিন নতুন কোন বিষয় নিয়ে পত্র লিখব। তোমার বাবা মাকে আমার শ্রদ্ধা জানাইও।

    তোমার প্রিয় বন্ধু,
    (নিজের নাম)
    স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত

    ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি - পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার

    নিজের ঠিকানা,জেলার নাম
    তারিখ: ০৪-১১-২০২৩

    প্রিয় বন্ধু ('ক' রহমান),
    আশা করি ভালো আছো। আমার সালাম নিও। তোমার বাবা-মাও ভালো আছে আশা করি। গতকালকেই তোমার চিঠি পেয়েছি। তুমি জানতে চেয়েছিলে যে আমার সদ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ভ্রমণ কেমন হয়েছে। তাই আমি সেই ঐতিহাসিক স্থান পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার  ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তোমাকে চিঠি লেখার কথা ভেবেছি। এই বিষয়ে আজকে আমার পত্র।

    আমাদের বাংলার মাটিতে প্রাচীনকালের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলো দেখা যায়। সাথে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক স্থানসমূহ। সেই স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান হচ্ছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। গত ১০ তারিখ আমাদের স্কুল থেকে আমরা সকল সহপাঠী মিলে পাহাড়পুর ভ্রমণের জন্য পৌঁছেছিলাম। সাথে আমাদের শিক্ষকগণ ছিলেন। সেখানে আমরা জানতে পারি যে পাল শাসনামলে এ এলাকার নাম ছিল সোমপুর।

    এই বিশাল কীর্তি ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম নামক একজন ব্যক্তি আবিষ্কার করেছিলেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার প্রায় 300 বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চায় একটি কেন্দ্র ছিল। যেটি ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো দ্বারা ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি লাভ করে। আমরা সকাল সকাল রওনা দিয়েছিলাম।

    সেখানে পৌঁছে সারাদিন ঘুরে ঘুরে সকল নিদর্শনগুলো চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করি। সর্বোপরি বলা যায় যে এই ভ্রমণটি আমাদের অনেককিছু জানিয়েছে। প্রাচীনকালের নিদর্শনগুলো দেখতে পেরে আমরা অনেক সৌভাগ্যবান। অভিজ্ঞতাটা আসলেই অনেক জোরালো ছিল। সবশেষে সন্ধ্যার দিকে আমরা নিজের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

    আজ আর নয়। আবারো কোনদিন নতুন কোন বিষয় নিয়ে পত্র লিখব। তোমার বাবা মাকে আমার শ্রদ্ধা জানাইও।

    তোমার প্রিয় বন্ধু,
    (নিজের নাম)
    প্রশংসা পত্রের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন লেখার নিয়ম

    এই চিঠিটি নিজে বানিয়ে কিভাবে লেখবো?

    আমরা অনেকে আছি যারা চিঠি মুখস্ত করতে পছন্দ করি না। বরং নিজে থেকে চিঠি লিখতে পছন্দ করি। আমি তাদের জন্য জানিয়ে দেবো যে, আপনারা কিভাবে বানিয়ে বানিয়ে এই চিঠি লিখতে পারবেন। যেহেতু এই চিঠিটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ সম্পর্কে। 

    তাই আপনাকে কিছু কিছু ঐতিহাসিক স্থানের তথ্যগুলো জানতে হবে। তথ্যগুলো জানা থাকলে চিঠি লিখতে সুবিধা হবে। এরপর আপনি নিম্নের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন। 

    • সর্বপ্রথম নিজের ঠিকানা লিখুন
    • যেদিন চিঠি লিখছেন তার তারিখ লিখুন
    • প্রিয় বন্ধু,, লিখে আপনার বন্ধুর নাম লিখুন 
    • প্রথমে সালাম বিনিময় করে নিন। এরপর তার খোঁজ খবর জিজ্ঞেস করুন। 
    • মূল আলোচনার দিকে অগ্রসর হন। 
    • প্রশ্ন যদি কোন ঐতিহাসিক স্থানের কথা উল্লেখ থাকে তাহলে সেই স্থানে বর্ণনা করতে হবে। 
    • যদি স্থান উল্লেখ না থাকে তাহলে আপনি যে ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে তথ্য জানেন সেটি বর্ণনা করুন। 
    • চিঠিকে পুরো একটা ভ্রমণের রূপ দিয়ে দিন। সকালে বেড়াতে যাওয়া এবং সন্ধ্যায় ফিরে আসার মত। 
    • সবশেষে বন্ধুকে বিদায় জানিয়ে চিঠি শেষ করুন।

    উপরের এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজে বানিয়ে বানিয়ে এই চিঠিটি লিখতে পারেন। আপনি যদি এই প্রতিভা বিকশিত করতে পারেন তাহলে আপনাকে কোন চিঠি মুখস্ত করতে হবে না। আপনি নিজের মেধা ও প্রতিভা দিয়ে সকল চিঠি নিজেই লিখতে পারবেন। শুধু সঠিক নিয়ম এবং তথ্য জানতে হবে।

    বন্ধুকে চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা

    উপসংহার

    আশা করছি আজকের আলোচনা আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। পোস্টটি উপকারী মনে হলে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে দিন। অনুমান করছি আপনি যে চিঠি খুঁজছিলেন সেটি পেয়ে গিয়েছেন। 

    সাথে এই বিষয়ের উপর যে ২টি চিঠি দেওয়া আছে সেগুলো পড়তে পারেন। এছাড়াও এই চিঠি লেখার পদ্ধতি বা ধাপগুলো বুঝতে কষ্ট হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি সম্পূর্ণ চেষ্টা করব আপনার সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার।

    LikeYourComment