বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা - সকল শ্রেণীর জন্য (PDF Also)
আশা করি ভালো আছেন। আবারো উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি শিক্ষামূলক। পোস্টে বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা জানিয়ে দিবো। আপনারা সেটি মুখস্ত করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনার পরীক্ষার খাতায় এই অনুচ্ছেদটি লেখলে সম্পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তির আশা করতে পারেন।
ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এই অনুচ্ছেদ পড়তে পারেন। বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় অনুচ্ছেদ রচনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা অনেকে অনুচ্ছেদ বলতে কি বুঝায় সেটি জানিনা।
আমরা ইংরেজিতে যে প্যারাগ্রাফ লিখে থাকি। এটিকেই বাংলাতে অনুচ্ছেদ বলে। আমাদের দেশের শিক্ষাক্রমে বাংলা ২য় পত্রের সিলেবাসে অনুচ্ছেদ রচনা রয়েছে। যার পূর্ণমান হচ্ছে ১০ নম্বর।
আপনি যদি নিজের বাংলা পরীক্ষায় অনুচ্ছেদ রচনায় পূর্ণমান ১০ পেতে চান তাহলে নিচের অনুচ্ছেদটি পড়তে পারেন। তো চলুন এবার আলোচনার দিকে অগ্রসর হওয়া যাক।
পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ রচনা
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা ১০০ শব্দে
১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ভারত বর্ষ বিভক্ত হয়ে দুটি দেশ গঠন হয়। একটি দেশ ভারত এবং অপরদৃষ্টি হলো পাকিস্তান। আবার পাকিস্তান দুটি অংশে বিভক্ত হয়। একটি ছিল পূর্ব পাকিস্তান অপরটি পশ্চিম পাকিস্তান। পুরো পাকিস্তানের জনগণ অধিকাংশ বাংলাভাষী। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই পূর্ব বাংলার জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাতে বৈষম্যের শিকার হত। সবশেষে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ যে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। এরপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধ চলে দীর্ঘ নয় মাস। যেখানে প্রায় ৩০ লক্ষ বাঙালি শহীদ হয়েছিল। এরপর পাকিস্তানি স্বৈরাচারী বাহিনী বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। যে দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। যে দিনটিকে আমরা বিজয় দিবস বলে আখ্যায়িত করি। সেই ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রতি বছর একই দিনে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। |
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা ২০০ শব্দে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন এটি। বলতে পারি এই দিনটি হচ্ছে বাঙালির মুক্তি দিন। ১৬ই ডিসেম্বরের এই দিনেই বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অস্তিত্ব পায়। দীর্ঘ ৯ মাস মেয়াদী এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি তার স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছিল। বাংলাদেশের সহজ সরল সকল মুক্তিকামী জনসংখ্যার কাছে ১৬ই ডিসেম্বরের দিনটি ছিল অনেক প্রতীক্ষিত একটি দিন। আজ বাংলাদেশ নামক এই স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাসকারী সকল বাঙালি তাদের অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে গেলেই ফিরে যায় সেই ১৬ ডিসেম্বরের দিনটিতে। স্বৈরাচারী পায়খানাদার বাহিনী সেদিন বাংলাদেশের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল। লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বিজয় অর্জন করতে পেরেছি। আজও সেই বিজয়ের ছাপ প্রত্যেক বাঙালির বুকে রয়ে গিয়েছে। এজন্যই আমরা প্রতিবছর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন করি। জাতি, ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মুক্তিকামি বাঙালি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। যেখানে লক্ষ লক্ষ বীর বাঙালি বাংলাদেশের মুক্তির জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। আমাদের উচিত এই দিনটিকে অত্যান্ত শ্রদ্ধার সাথে বিজয়ের প্রতি হিসেবে উদযাপন করা। বাংলা মায়ের যে কৃতি সন্তান গুলো নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিল তাদেরকেও ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। আমাদের উচিত প্রতি বৎসর ১৬ই ডিসেম্বরের এই দিনটি উদযাপন করা। কেননা এই দিনটি আমাদের বিজয়ের দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। |
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ PDF Link
উপসংহার
আশা করছি আজকের আলোচনা আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। পোস্টটি উপকারী মনে হলে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে দিন। অনুমান করছি আপনি বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনাটি পেয়ে গিয়েছেন।
সাথে যারা "বিজয় দিবস" অনুচ্ছেদ PDF আকারে পড়তে চান তারা পিডিএফ লিংকে গিয়ে PDF সংগ্রহ করতে পারেন। আরো কিছু জানার বা বলার থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।