পায়ের আঙ্গুলের নাম কি? জেনে নিন ৫ টি আঙুলের নাম কি কি
আজকে আলোচনা করবো পায়ের আঙ্গুলের নাম নিয়ে। এগুলোহচ্ছে সাধারণ জ্ঞানের অংশ। প্রত্যেকটি ব্যাক্তিকে এগুলো জেনে রাখা উচিত। আজকে নিজের আলোচনার বিষয় এটিই
আজকে আলোচনা করবো পায়ের আঙ্গুলের নাম নিয়ে। এগুলোহচ্ছে সাধারণ জ্ঞানের অংশ। প্রত্যেকটি ব্যাক্তিকে এগুলো জেনে রাখা উচিত।
তাই আমি আজকে নিজের আলোচনার বিষয় এটিই বেছে নিয়েছি। আজকের পোস্ট সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন পায়ের আঙ্গুলের নাম কি কি।
পায়ের আঙ্গুলের নাম কি?
আমরা সকলেই জানি, আমাদের ২ পায়ে ৫টি করে মোট ১০টি আঙ্গুল আছে। আর উভয় পায়ের একেকটি আঙ্গুল ওপর পায়ের একেকটি আঙুলের অনুরূপ। অর্থাৎ দান যে স্থানে যে আকৃতির আঙ্গুল আছে।
বাম অপরদিকে থেকে সে স্থানে ঠিক একই আকৃতির আঙ্গুল আছে। তাই আমরা যদি একটি পায়ের আঙ্গুলগুলোর নাম জেনে নিই এটিই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে। কেননা ওপর পায়ের আঙ্গুলগুলো যেহেতু একই আকৃতির তাই নামও একই হবে।
তো চলুন এবার আমরা জেনে নেব পায়ের আঙ্গুলের নামগুলো। পায়ের সবচেয়ে মোটা এবং বড় আঙ্গুল দিয়ে শুরু করছি নাম বলা। আপনারা ধারাবাহিকভাবে সে বড় আঙুলের দিক দিয়ে পর্যায়ক্রমে ছোট আঙ্গুল পর্যন্ত নামগুলো মিলিয়ে নিন।
পায়ের আঙ্গুলের নামের পিছনের ব্যাখ্যা
আমরা পায়ের ৫টি আঙুলের নাম জেনে গিয়েছি। কিন্তু এদের নাম এভাবে কেন রাখা হয়েছে তার ব্যাপারে জানা নেই। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক। আসলে পায়ের আঙুলের নামগুলো হাতের আঙুলের নামের অনুরূপ রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ হাতের যে স্থানে কোনো আঙুলের নাম যা আছে; পায়ের ক্ষেত্রে পায়ের সে স্থানে পায়ের আঙুলের নামও সেটিই রাখা হয়েছে। এখন এদের নামের ব্যাখ্যা জানা যাক।
হাতের বা পায়ের বুড়ো আঙুলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এটি দেখতে অনেকটা বড় বা বয়স্কদের মতো এবং যথেষ্ট মোটা ও শক্তিশালী। তাই এই দিক বিবেচনা করে এই আঙুলের নাম বুড়ো আঙ্গুল বা বৃদ্ধাঙ্গুলি রাখা হয়েছে।
ওপর দিকে হাতের তর্জনী আঙ্গুল অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে আমরা তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে যতগুলো কাজ করি অন্যান্য আঙ্গুল দিয়ে তত কাজ কখনো করিনা।
যেমন কোনো কিছু নির্দেশ করা, ইশারা করা, কোনো কিছুর দিকে লক্ষ্য দেখানো, বোর্ডে কোনো বোতাম প্রেস করা ইত্যাদি কাজ এই আঙ্গুল দিয়েই করে থাকি। কাজেই এর নাম এজন্যেই তর্জনী আঙ্গুল রাখা হয়েছে।
আর মধ্যমা আঙ্গুল নামটি কেন রাখা হয়েছে এমনিতে বুঝতেই পারছেন। এটি সকল আঙুলের মাঝখানে অবস্থান করে। আবার হাতের ক্ষেত্রে মধ্যমা আঙ্গুল হাতের সবচেয়ে লম্বা আঙ্গুল। বিশেষ করে এটি মাঝখানে অবস্থান করায় এর নাম মধ্যমা রাখা হয়েছে।
এর পরবর্তী আঙুলের নাম হচ্ছে রিং ফিঙ্গার বা অনামিকা আঙ্গুল। হাতের ক্ষেত্রে এই আঙুলটি রিং ফিঙ্গার নামেই বেশি পরিচিত। এর কারণ হচ্ছে পশ্চিমাদের সংস্কৃতিতে এই আঙুলকে ভালোবাসার প্রতীক মণ হয়।
তাদের সংস্কৃতিতে স্বামী-স্ত্রী বিয়ের সময় নিজের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য একে অপরকে এই আঙুলে আংটি পড়িয়ে থাকেন। আর প্রাচীন সভ্ভতায় এই আঙুলকে তেমন কোনো প্রাধান্য দেওয়া হতো না।
তাই তখন এর কোনো নাম রাখা হয়নি। যেখান থেকে এটি বেনামে আঙ্গুল বা অ-নামিকা হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে এই আঙুলকে অনামিকা নাম দিয়েই চিহ্নিত করা হয়।
আর পায়ের সবার শেষে যে ছোট আঙুলটি অবস্থান করছে সেটি কনিষ্ঠা আঙ্গুল। হাত এবং পা উভয় ক্ষেত্রেই এই আঙুলটি সবচেয়ে ছোট আঙ্গুল। যার কারণে এর নামকরণ কনিষ্ঠা আঙ্গুল করা হয়।
পায়ের আঙ্গুলের মাঝে ঘা হলে কি করবেন?
পায়ের আঙ্গুলের মাঝে ঘা হলে এর করণীয় ঘায়ের ধরণ ও আকৃতির উপর নির্ভর করবে। আপনার ঘা যদি অত্যান্ত জটিল, বড়, যন্ত্রণাদায়ক হয় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
আর যদি পায়ের আঙুলের মাঝে ঘা-টি বেশি চিন্তনাদায়ক নয় তাহলে এর কিছু সহজ উপায় বা চিকিৎসা বলে দেব। এগুলো অনুসরণ করলে ইনশাআল্লাহ ঘা ঠিক হবে।
- সর্বপ্রথম, আপনার পা-কে ময়লা মুক্ত রাখতে হবে।
- ময়লা মুক্ত রাখতে হালকা গরম লবন-পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ভালো করে ধুতে হবে।
- বাড়িতে নিমগাছ থাকলে পানির সাথে নিমের পাতা ফুটিয়ে পানি হালকা ঠান্ডা করে ক্ষতস্থান সেই পানি দিয়ে ধৌত করুন।
- "পেভিসোন" নামক একটি মলম পাওয়া যায়। এটি ব্যবহার করুন।
- ক্ষতস্থানের ঘা এই মলমের সাহায্যে দ্রুত সেড়ে যাবে।
- সাথে পানিতে পা বেশি থাকায় আঙুলের ভাঁজগুলো সাদা সাদা হয়ে জ্বালাপোড়া শুরু হয়।
- এই জ্বালাপোড়া সমাধানেও পেভিসোন মলমটি দ্রুত কার্যকরী।
এই মলমটি আপনার পার্শবর্তী যেকোনো ফার্মেসি স্টোর থেকে পেয়ে যাবেন। আর ভালো কথা হচ্ছে যে, মলমটি প্রাথমিক চিকিৎসার মলম হওয়ার এটি কেনার জন্য তেমন কোনো প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন পরে না।
অতি স্বল্প মূল্যে পায়ের আঙুলের মাঝে হওয়া ঘা সমাধানে এই মলমটি পেয়ে যাবেন।