কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ সংখ্যা নির্ণয়
আসসালামুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহে আজকে আমি তোমাদের সাথে আলোচনা করবো নবম দশম শ্রেণীর রসায়নের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় এবং ছোট্ট একটি অংশ যার নাম হচ্ছে কোন একটি মৌলের বা কেন্দ্রীয় পরমাণু জারণ মান নির্ণয় কোন একটি পরমাণুর বা কোন একটি যৌগ দেওয়া থাকেঐযৌগের কেন্দ্রীয় পরমাণু কিভাবে বের করতে হয় আজকের এ বিষয় নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা করা হবে,
অন্য বিষয়
অসুস্থতার জন্য অফিসে ছুটির আবেদন পত্র ,অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন জানতে ক্লিক করুন
অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদ, অগ্রিম ছুটির জন্য দরখাস্ত করতে ক্লিক করুন
অফিসে ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম, ছুটির জন্য আবেদন,চিকিৎসা জনিত ছুটির জন্য আবেদন করার জন্য ক্লিক করুন
অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন,ছুটির জন্য আবেদন নিয়ম জানতে ক্লিক করুন
কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ সংখ্যা নির্ণয়
আগে আমাদেরকে বুঝতে হবে জারণ সংখ্যা বা মান গুলো কি।আপনার অবশ্যই কেউ জানেন কোন একটি পরমাণু এবং কোন একটি যৌগ ইলেকট্রন ত্যাগ করে অথবা একে অপরের শেয়ার করেন যতগুলো ইলেকট্রন ত্যাগ করেন যতগুলো ইলেকট্রনিক গ্রহণ করেন বা যতগুলো ইলেকট্রন একে অপরকে শেয়ার করে তাদের ঐ ইলেকট্রন সংখ্যাকে তার যোজনী বলা হয়্।
জারন জনসংখ্যা হচ্ছে এই যে আমরা যোজনি বলতেছি এই যোজনী ধর্ম প্রকাশক সংখ্যা হচ্ছে জারণ সংখ্যা যদি এক কথায় বলতে চায় তাহলে আমরা বলবো যোজনির ধর্মকে বলা হয় জারণ সংখ্যার ।
আবার কেউ বলতে পারো , যোজনীর চার স্যাংখাই হলে- জারন/খ্যখা
অনেকসময় প্রশ্ন আসে, যোজনী ও জারণ মান বা জারন এক নয় সংখ্যা নির্ণয় করো।আসলেই যোজনী ও জারণ মানএক নয় একটি ভিন্ন বিষয়।
আপনারা জানো
অক্সিজেন o=2যোজনী
ম্যাগনেসিয়ামmg=যোজনী
ক্যালসিয়ামca=2যোজনী
পটাশিয়ামk=1
সোডিয়াম na =
অক্সিজেনের যোজনী মান হচ্ছে 2 টু এর সঙ্গে যদি তার ধর্ম প্রকাশ করে তাহলে তার জাগারণ সংখ্যা পাওয়া যাবে নিম্নে দেয়া হল ।
অক্সিজেন o=2যোজনী =-2 জানর মান
ম্যাগনেসিয়ামmg=যোজন= +2 জানর মান
ক্যালসিয়ামca=2যোজনী =+2জানর মান
পটাশিয়ামk=1 যোজনী =+2জানর মান
সোডিয়াম na = যোজনী= +1জানর মান
আসলে কেন +2কেন-2 হচ্ছে, আমরা জানি একটি মূলবা একটি পরমাণু যখন অন্য একটা পরমাণু বা মৌলের সাথে।যে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার যে ক্ষমতা এই ক্ষমতার হচ্ছে যোজনী আর এই ক্ষমতা প্রকাশ করা যে এই ধর্ম হচ্ছে জারণ মান জান সংখ্যা ।
মনে রাখতে হবে যোজনী সংখ্যা সব সময় পূর্ণ থাকবেন=2। জারণ মান= যোজনী +- চিহ্ন থাকবে।
কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ মান নির্ণয় করার জন্য আমাদের দুটি বিষয়ে অবশ্য মনে রাখতে হবে, ১ ,কোন একটি যৌগের মধ্যে প্রতিটি পরমাণুর সাধারণ যোগফলের এর সমষ্টির শূন্য(0) হয় । ২কোন একটি নিরপেক্ষ যৌগের প্রতিটা পরমাণু যে জারন মান এই জারণ মান সাধারণ যোগফল শূন্য হবে।
(1)=H2so4
=(+1*2)+(*6)+(-2*4)
=+2+6-8
=+8-8
=0
কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ সংখ্যা নির্ণয়
K2, cr2 ,O7 কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ সংখ্যা বের করো?
Ans:
ধরি . cr=x ………… ।
K2 cr2 = 0
বা,(+1*2)+(x*2)+(x*2)+(-2*7)=0
বা,+2+2x-14+14=0
বা, 2x-12+0
বা,2x=+12
বা,x=+12/2
সুতরাং =+6
সুতরাং নিম্নে ক্রিমিনাm এর জারণ মান +6 G
আপনাদের সুবিধার্থে একটি করে দেখাই
Na2 s2 o3
ধরে , s=x
No2 s2 o3 =0
বা, (+1*2)+(x*2)+(-2*3)+0
বা,+2+2x-6=0
বা,2x =+4
সুতরাং x =+2
সুতরাং নিম্নে সালফারs++2
জারন সংখ্যা: যৌগ গঠনের সময় একটি মৌল ওপর মহলের সাথে যুক্ত যুক্ত হতে যে কয়েকটি ইলেকট্রনিক আদান-প্রদান করে সে আদান-প্রদানে প্রদানকৃত ইলেকট্রনের সংখ্যা কে জাগরণ বলে।
জাগরন সংখ্যা -, ধনাত্মক ভগ্নাংশ, এবং শূন্য হতে পারেন। একটি মৌলের একাধিক জাগরণ হতে পারেন। একে পরিবর্তে পরিবনশীল জারণ সংখ্যা বলেন। কোন যুগে নির্দিষ্ট মৌলের ওয়াজ রানা জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট মৌলের জারণ সংখ্যা মনে রাখা প্রয়োজন।
জানা মৌলের জারণ সংখ্যার সাহায্য কোন মৌলের জারণ সংখ্যা নির্ণয় করা যায়।
জেরও মৌলের জারণ সংখ্যা মনে রাখা প্রয়োজন তা নিম্নরূপ:
১.চার্জ নিরপেক্ষ পরমাণুর জারণ সংখ্যা শূন্য হয়।
যেমনঃ Na ; K ; Mg ; Ca ; Fe ইত্যাদি।
২. দ্বি-মৌলিক গ্যাসের জারণ সংখ্যা শূন্য।
যেমনঃCl₂ ; Br₂ ; I₂ ; N₂ ; O₂ ; F₂ ; H₂ ইত্যাদি।
৩. নিষ্ক্রিয় গ্যাসের জারণ সংখ্যা শূন্য।
যেমনঃ He ; Ne ; Ar ; Kr ; Xe ; Rn.
৪. গ্রুপ- 1 এর মৌল সমূহের জারণ সংখ্যা +1.
যেমনঃ H ; Li ; Na ; K ; ইত্যাদি।
৫. গ্রুপ -2 এর মৌলসমূহের জারণ সংখ্যা +2.
যেমনঃ Be ; Mg ; Ca ইত্যাদি।
৬. গ্রুপ -17 মৌলসমূহের জারণ সংখ্যা -1.
যেমনঃ Cl₂ ; Br₂ ; I₂ ; F₂.
৭. গ্রুপ -16 মৌলসমূহের জারণ সংখ্যা -2.
যেমনঃ O₂ ; S ইত্যাদি।
৮. সাধারণ অক্সাইডের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -2. যেমনঃ Na₂O,MgO ; CaO ; ইত্যাদি।
পার অক্সাইডে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -1. যেমনঃ H₂O₂ ; Na₂O₂ ইত্যাদি।
আবার সুপার অক্সাইডে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা - 1/2. যেমনঃ NaO₂ ; KO₂ ইত্যাদি।
৯. হাইড্রোজেন যদি অধাতুর সঙ্গে যুক্ত থাকে তবে জারণ সংখ্যা +1 হয়। যেমনঃ HCl ; HBr ; HI ; H₂O ইত্যাদি।
আবার হাইড্রোজেন ধাতুর সঙ্গে যুক্ত থাকলে জারণ সংখ্যা -1 হয়।
যেমনঃ NaH ; CaH₂ ; LiH ইত্যাদি।
একটি যৌগের মোট জারণ সংখ্যার পরিবর্তন শূন্য হয়।
KMnO₄ যৌগটিতে Mn এর জারণ সংখ্যা
Mn => +1 + Mn + (- 2) x 4 =0
=> +1 + Mn - 8 = 0
=> Mn - 7 = 0
=> Mn = +7
যৌগটি আধান নিরপেক্ষ হওয়ায় সমান চিহ্নের পরে শূন্য হয়েছে। পটাশিয়াম গ্রুপ-1 এর মৌল হাওয়ায় এর জারণ সংখ্যা +1 এবং অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -2.অতএব KMnO₄ যৌগটিতে Mn এর জারণ সংখ্যা +7.
MnO₄- যৌগটিতে Mn এর জারণ সংখ্যা
=> Mn + (- 2) x 4 = -1
=> Mn - 8 = -1
=> Mn = -1 +8
=> Mn = +7
যৌগটি আধান -1 হওয়ায় সমান চিহ্নের পরে -1 হয়েছে।
FeCl₃ যৌগটিতে Fe এর জারণ সংখ্যা
=> Fe + (-1)x 3 = 0
=> Fe - 3 = 0
=> Fe = + 3
যৌগটি আধান নিরপেক্ষ হওয়ায় সমান চিহ্নের পরে শূন্য হয়েছে। Cl গ্রুপ -17 এর মৌল হাওয়ায় এর জারণ সংখ্যা -1.
K₂Cr₂O₇ যৌগটিতে Cr এর জারণ সংখ্যা
=> (+1)x 2 +2Cr + (-2)x 7 = 0
=> +2 +2Cr - 14 = 0
=> 2Cr - 12 = 0
=> Cr = +6
K₂Cr₂O₇ যৌগটিতে Cr এর জারণ সংখ্যা +6.
N₂O যৌগটিতে N এর জারণ সংখ্যা
=> 2N + (-2) = 0
=> 2N -2 = 0
=> 2N = +2
=> N = +1.
আশা করি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি কেন্দ্রীয় জাগরণের সংখ্যা, প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্য আমার এই ওয়েবসাইটে পাওয়ার জন্য আপনারা এই ওয়েবসাইট এর সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে কুরুবারও তথ্যমূলক পোস্ট করা হয়েছে সেগুলো পড়ার জন্য এই ওয়েবসাইটে দেখতে পারো