কুয়েত যেতে বয়স কত লাগে-কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আজকে আলোচনা করব কুয়েত যেতে কত বয়স লাগে এবং আলোচনা করব কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি পরিমাণে সে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন বুঝতে পারবেন অনেক তথ্য মূলক বিষয় সম্পর্কে
অন্য পোষ্ট
সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি,বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি জানন্তে ক্লিক করুন
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম জানতে ক্লিক করুন
কাতার কত বর্গ কিলোমিটার, কাতারের ইতিহাস,কাতার আয়তন ও অবস্থান জানতে ক্লিক করুন
ফ্যামিলি ভিসা আমেরিকা,USA family visa for Bangladeshi জানতে ক্লিক করুন
আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা জানতে ক্লিক করুন
কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ,কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ জানতে ক্লিক করুন
ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে,ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা জানতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সরকারি চাকরি কোনটি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
কুয়েত যেতে বয়স কত লাগে
কুয়েত যেতে বয়স ২১ বছরে উপরে লাগে।যারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ভ্রমণ করতে চান বা কাজের জন্য যেতে চান বা আত্মীয়স্বজনের জন্য কুয়েতে গমন করে থাকেন। সবদিক মিলিয়ে দেখা যায় আমি খেতে যাবো এটা আমাদের অপেক্ষার পালা।
কুয়েতে যার জন্য সর্বপ্রথম একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। এক পর ভিসার কাজ রয়েছে ভিসা প্রসেসিং করতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। যে সমস্ত ভাইয়েরা কম বয়সে কুয়েতে যেতে চায় দেখা যায় অনেকে যেতে পারে না কম বয়সের কারণে ভিসা বাতিল হয়ে যায়।
কুয়েতে যাওয়ার বয়স এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আপনি যদি এই তথ্যগুলো জানেন দেখেন সুন্দরভাবে তাহলে অন্য কে আপনি উপকার করতে পারবেন।
কুয়েতের শ্রম মন্ত্রণালয় ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কাজের ভিসায় আসতে হলে একজন শ্রমিকের ন্যূনতম বয়স হতে হবে 21 বছরের উপরে।তার মানে দাঁড়ায় 2000 সালে জন্মগ্রহণ করলে 2005 সালে আপনার বয়স দাঁড়ায় 21 বছর। যার অর্থ 21 প্লাস চলছে তার মানে আপনি খুব সহজে কুয়েতে যেতে পারবেন এ অবস্থায়।
আপনার যদি বয়স কম থাকে আপনার যদি ভিসা হয়ে যায় তারপর আপনি কুয়েতে গমন করতে পারবেন না। বয়স সীমাবদ্ধতার কারণে করতে যাওয়া যায় না। অনেকেই ভাবেন যে আমি পাসপোর্ট বয়স বাড়িয়ে নেব।সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
21 প্লাস বয়স হলে আপনি কুয়েতে যেতে পারেন যে শ্রম ভিসা সেটি হল খাদেম ভিসা। খাদেম ভিসার কয়েকটি ভাগ রয়েছে। আপনি যেতে পারেন কোম্পানি ভিসা এবং আপনি যেতে পারেন প্রাইভেট সেক্টরে যেকোনো কোম্পানির ভিসা।
আপনি যেতে পারেন মাজরা ভিসায়, আপনি যেতে পারেন জাগরের ভিসা, আপনি যেতে পারেন মাছ ধরার ভিসা, আপনি যেতে পারেন গানাম বা বকরি পালন ভিসা। যে কোন ভিসায় যেতে হলে আপনাকে 21 বছর বয়স হতে হবে।21 বছর হলে আপনি কইতে প্রবেশ করতে পারবেন।
অনেকে বলতে পারেন যে 21 বছর বয়সের নিচে অনেকে খেতে গিয়েছে, হ্যাঁ যে থাকে, তারা যে থাকে ফ্যামিলি ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসা।ফ্যামিলি ভিসা, বা টুরিস্ট ভিসা এখান বয়সে সীমাবদ্ধতা থাকেনা।
শুধু কুয়েতে নয় যে কোন দেশে আপনি শ্রম ভিসায় যেতে হলে উক্ত দেশের বয়স সীমাবদ্ধতা পালন করতে হবে আপনাকে। প্রতিটি দেশেই শ্রমো আইন রয়েছে ।একেক দেশের একেক ধরনের হয়ে থাকে।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা
কুয়েতে যেসব কাজের চাহিদা তা হল ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিশিয়ান, সপ কিপার,ড্রাইভিং,সাধারন লেবার,রাজ মিস্ত্রি কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি।কুয়েত বেশির ভাগ কাজই বিদেশি শ্রমিক দ্ধারা করানো হয়। সেখানে ওয়েল্ডিং ও ইলেকট্রিশিয়ান ও ড্রাইভিং এ ধরনের কাজ সেখানে এখনো অনেক চাহিদা রয়েছে এগুলো কুয়েতে ভালো পরিমানে চাহিদা রয়েছে।
কুয়েতের একটি তেল সমৃদ্ধ অর্থনীতি রয়েছে। আপনি যদি একজন পেট্রোকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা একজন খনি শ্রমিক হন, তাহলে আপনি সহজেই কুয়েতে চাকরি খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন।
এছাড়া কারেন্টের কাজ বা ইলেক্টনিক ও ওয়েল্ডিং বা ঝালাইর কাজ জেনে থাকেন তাহলে আপনার সেদেশে অনেক দাম রয়েছে। এছাড়াও ড্রাইভিং এও অনেক চাহিদা আছে ড্রাইভিং শিখে গেলেও সেখানে ভালো কাজ পাবেন।
তার পর রয়েছে সপ কিপার আপনি যদি দোকানের কাজ মালামাল বিক্রী করা গুছিয়ে রাখা ও পরিষ্কার করতে পারেন তাহলে ও আপনার জন্য কুয়েতে রয়েছে ভালো কিছু সপ কিপারের কাজ।
আরো যে সব কাচের চাহিদা তা হলো কুয়েতের পেট্রোলিয়াম বাজারে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সর্বদা বেশি জোরালো চাহিদা থাকে। কুয়েতে অফিস সহায়ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, বিদেশি সাহায্যকারীরা বিদেশীদের দ্বারা পরিচালিত বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে নিযুক্ত হয়।
কুয়েতে বাংলাদেশী শ্রমিকের বেতন কত
সাধারণত প্রতিটি দেশের কাজের উপর নির্ভর করে বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আর থেকে 12 ঘন্টা ডিউটি হয়ে থাকে এবং ওভারটাইম করে থাকে অনেকেই এসব মিলিয়ে মাসে আয় দাঁড়ায় 100 থেকে 150 দিনার।
এর মধ্যে রয়েছে ব্যয় খরচ আপনার আবাসন খরচ মালিক বহন করলেও খাবার ও অন্যান্য ব্যয় নিজেকে বহন করতে হয়। সব মিলিয়ে কুয়েতে মিনিমাম নিম্ন শ্রেণীতে হলেও 40 থেকে 50 হাজার টাকা ইনকাম করা যায় খুব সহজে। ভালো মানের প্রফেশন হলে টাকা আরো বৃদ্ধি পায়।
আপনি যদি আরো অন্যান্য কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে এটি যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার অন্য অন্য জায়গায় যদি আপনি কাজ করতে পারেন তাহলে বেশি ইনকাম করতে পারবেন অন্যান্য ক্ষেত্রে।
কুয়েতে কাজের ভিসা
কুয়েতে কাজ করার জন্য, বিদেশীদের প্রথমে অবশ্যই একটি রেসিডেন্সি ভিসা গ্রহণ করতে হবে, যা আইকামা বেশি নামে পরিচিত, পাশাপাশি একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ।কাজ বা চাকরী ভিসা, গার্হস্থ্য ভিসা এবং নির্ভরশীল ভিসা তিনটি প্রধান ধরণের আবাসিক ভিসা কুয়েতে উপলভ্য।
সকল ধরণের রেসিডেন্সি ভিসার জন্য একটি স্পনসর প্রয়োজন হয়। কুয়েতে বিদেশী নাগরিকের বাসভবন কোনও নিয়োগ কর্তা বা প্রবাসী বা পরিবারের কোনও সদস্য স্পনসর করতে পারেন। গার্হস্থ্য এবং নির্ভর ভিসা ভিসা ফর্ম যা নতুন আগতদের কুয়েতে কাজ করার অনুমতি দেয় নাহহ।
বৈধ ওয়ার্ক পারমিটের জন্য একজন কুয়েতীর নিয়োগকারীকে অবশ্যই কুয়েতের সামাজিক বিষয় ও শ্রম মন্ত্রকের কাছে আবেদন করতে হবে।কুয়েতির ওয়ার্ক পারমিটের জন্য বৈধ কর্মীর পাসপোর্ট এবং অপরাধ তদন্তের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাধারণ প্রশাসন মন্ত্রকের একটি নো-আপত্তি শংসাপত্র (NOC) প্রয়োজন।
মনে রাখবেন যে একটি রেসিডেন্সি ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট প্রাপ্তি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া যা কুয়েতে প্রবেশের আগে শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় নেয় এবং কুয়েতে প্রবেশের পরে আনুষ্ঠানি ভাবে এটি শেষ করতে প্রায় আরও ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে।
আশা করি আপনারা বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন এই পোস্টে আলোচনা করেছি কুয়েত যাওয়ার ন্যূনতম বয়স কত লাগে এবং কুয়েতের কাজের ভিসা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
প্রতিনিয়ত তথ্যমূলক পোস্ট করা হয় এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে পূর্বে আরো তথ্যমূলক পোস্ট করা হয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন ভাল লাগবে আশা করি।
কুয়েতের বেতন কত
কুয়েতের সবগুলো কোম্পানির বেতন 75 দিনার।ড্রাইভিং ভিসা কুয়েতে বেতন 120 দিনার