ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার-ডেঙ্গু হলে করণীয়-শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন তো আজকে আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার শিশুদের ডেঙ্গু জ্বর হলে বা লক্ষণ সমূহ কি এসব বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করবো আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে দেখতে থাকুন সম্পূর্ণ
অন্য বিষয়
থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না জানতে ক্লিক করুন
থাইরয়েড হরমোন কমানোর উপায় জানতে ক্লিক করুন
ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম জানতে ক্লিক করুন
থাইরয়েড টেস্ট খরচ কত জানতে ক্লিক করুন
থাইরয়েড টেস্ট রিপোর্ট জানতে ক্লিক করুন
থাইরয়েড টেস্ট কিভাবে করে জানতে ক্লিক করুন
চোখের জন্য কোন লেন্স ভালো জানতে ক্লিক করুন
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে।তীব্র পেটে ব্যথাও হতে পারে। জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।এ ছাড়াও মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়।Symptoms of Dengue
শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়।জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ। যা অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো।
এই জ্বরের আরেক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’। রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে ও রুচি কমে যায়। পাশাপাশি বমি বমি ভাব, এমনকি বমিও হতে পারে।
সাধারণত ৪ বা ৫ দিন জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায়। কারও ক্ষেত্রে ২ বা ৩ দিন পর আবারও জ্বর আসে। যাকে বাই ফেজিক ফিভার বলে।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর
রোগীর এই অবস্থাটি সবচেয়ে জটিল। এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও সমস্যা দেখা দেয়। যেমন
এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস হয়। আবার কিডনি আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। যেমন- চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত হতে, কফের সঙ্গে, রক্তবমি, পায়খানার সাথে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে এবং চোখের বাহিরে, নারীদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম
ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ হল ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলিউর হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়। এর লক্ষণগুলো হলো
রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া। নাড়ীর স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়। প্রস্রাব কমে যাওয়। শরীরের হাত পা ও অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যায়। হঠাৎ করে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
যদিও ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এই জ্বর সাধারণত নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। তবে কিছু লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে-
শরীরের যে কোনো অংশ থেকে রক্তপাত হলে। প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে। শ্বাসকষ্ট হলে বা পেট ফুলে পানি আসলে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে। জন্ডিস দেখা দিলে। অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে। প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।
ঘরে চিকিৎসা নিতে করণীয়
পর্যাপ্ত বিশ্রাম (জ্বর চলাকালীন এবং জ্বরের পর এক সপ্তাহ) নিতে হবে।
স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খাবেন। যেমন- খাবার স্যালাইন, টাটকা ফলের রস ইত্যাদি। এ ছাড়াও গ্লুকোজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাবের পানি, দুধ/হরলিকস, বাসায় তৈরি স্যুপ ইত্যাদি
বিভিন্ন বিষঙ্গদের দেখে থাকেন এবং বলে থাকে যে প্রাপ্ত বয়ষ্ক লোকের থেকে শীশুদের ডেঙ্গু জ্বরের সমস্যা দেখা যায়। এজ্বর দেখা যায় ১০২ থেকে ১০৪ পর্যন্ত হয়ে থাকে । জ্বর হলে প্রেরাসিটামল খেয়ে থাকে কিন্তু দেখা যায় প্রেরাসিটামল খাওয়ার পরেও জ্বর চলে যায় না।এধরনের অনুভুতি আসে বাচ্চার।
ডেঙ্গুর প্রতিরোধ
মশার কামড় থেকে বাঁচাতে শিশুদের সাদা বা হালকা রঙের ফুলহাতা পোশাক পরান। হাতে–পায়ে মশা নিরোধক মলম লাগাতে পারেন। বাড়িতে নেট ও মশারি ব্যবহার করুন। বাসার আশপাশ ও বারান্দা, টবে যেন পানি জমে না থাকে। নিয়মিত বাসার আশপাশে স্প্রে করুন। মনে রাখতে হবে, সবার সার্বিক প্রচেষ্টা ছাড়া ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়।
অন্য বিষয়
মেয়েদের ডান চোখ লাফালে কি হয় এবং ইসলামি ভাবে কি তা জানতে ক্লিক করুন
কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার নাম কি এবং কুয়েতের টাকার ছবি জানতে ক্লিক করুন
প্রস্রাব ধরে না রাখার কারণ,প্রস্রাব ধরে রাখার উপায় জানতে ক্লিক করুন
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা,শসা খেলে কি হয় জানতে ক্লিক করুন
সকালে খালি পেটে কি খাব, জানুন কারা সাকালে কোনো কিছুই খাবেন না জানতে ক্লিক করুন
শসার উপকারিতা ও অপকারিতা,খিরাই এর উপকারিতা জানতে ক্লিক করুন
শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ
দেখা যায় বড়দের এবং শিশুদের মধ্যে তেমন কোনো প্রার্থ্যক দেখা যায় না। প্রার্থক্য না থাকলে ও যে শিশুরা কথা বলতে পারে না বা তাদের মনের ভাবা প্রাকাশ করতে পারে না। শারীরিক সমস্যার কথা অভারে বলতে পারে প্রাপ্ত বয়ষ্ক লোকদের মতো।
যেহেতু শিশুরা বলতে পারে না ভালোমতো বোঝাতে তাই শিশুদের মা বাবা , আত্তিয় শজন এবং শিশুর দেখুশুনা করে ও নিকটবর্তী লোকদের সচেতন থাকত হবে। অন্যাঅন্যা ভাইরাজ জ্বরের মতোই ডেঙ্গু জ্বর ভাইরাজ জনিত । যেহেতু এটি ভাইরাজ জনিত জ্বর তাই এটি অন্য জ্বরের মতোই এটি সিন্টোম নিয়ে আসে।
ছোটো বাচ্চারা বলবেনা আপনাকে তার চোখ ব্যাথ্যা , মাংস ব্যাথা, শরিল ব্যাথা বা কিছু । কারন তাদের এই জ্বরের সাথে অন্য জ্বরের কোনো পার্থক্য নেই।
তা হলে কি ভাবে বুঝবো বাচ্চার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। ভাইরাজ জনিত জ্বর সাধারনতো শুরু থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে। প্রথম দিন থেকেই জ্বরের মাত্রা ১০৩ থেকে ১০৪ এবং ১০৫ মাত্রা পর্যন্ত পৌঁউছে যায়। সেই সাথে দেখা যাবে আরো কিছু লক্ষন বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাচ্চারা একদম খাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছে , বমি করছে , পেট ব্যাথার কথা বলতে পারে, পাতলা পায়খানার কথা অনেক সময় বলতে পারে। এছারা সাধরতো অন্য কোনো ধরনের লক্ষন থাকে না ।
অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা হেমোরেজিক ট্রান্সফরমেন থাকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিবারে সেই ক্ষেত্রে যে লক্ষন দেখায় ঃ নাক দিয়ে রক্ত পড়া,শরিলের বিভিন্ন যায়গা দিয়ে রক্ত পাত সেটা হতে পারে বমির সাথে পায়খানার সাথে এবং অনেক সময় শরীলে র্যাস নিয়েও আসতে পারে।
তবে ডেঙ্গু সোকসিনডোমের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চরা খুব হাসি খুশি থাকছে কথা বলছে । কিন্ত হঠাৎ করে খারাপ হয়ে গেল। এটি বোঝার সহজ উপায় হলো বাচ্চ সাভাবিক ভাবে যেমন থাকে তেমন নেই খাওয়া দাওয়া করছে না, খুব দূর্বল হয়ে পড়ছে এবং কেউ যদি বাচ্চর প্লাস দেখতে পারেন ।
প্লাস যদি দেখেন বাচ্চার প্লাস খুব একটা বেশি বাচ্ছেন না যদি বুকে কান লাগিয়ে দেখেন যে হৃদপিন্ড খুব দূরত্ব চলছে তাহলে ধারনা করতে হবে হয়তো ডেঙ্গু সোকসিনডোমে দিকে যেতে পারে। সেই সাথে দেখা যাবে বাচ্চার হাত পা ঠান্ডা হচ্ছে এবং অনেক ঘামাচ্ছে। সুতরাং বাচ্চাদের কথা গুলা বাচ্চারা ঠিক মতো প্রাকাশ করতে পারেনা।
তাই আমাদের চার দিকে যারা আছে তাদের সাবধান থাকতে হবে যে বাচ্চা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রন্ত কি না । তখনি আমরা বেশি সন্ধেহ করর আসে পাসে বা ঐই বাসায় কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গুজ্বরের সম্ভনা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
যেহেতু যে কোনো ধরনের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বলতে পারে না তাই আমাদের অনেক বেশি সচেতন থাতে হবে। সবারি উচিত বাচ্চারদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বরের এক্সকিলিউড করা।
ডেঙ্গুর প্রতিরোধ
মশার কামড় থেকে বাঁচাতে শিশুদের সাদা বা হালকা রঙের ফুলহাতা পোশাক পরান। হাতে–পায়ে মশা নিরোধক মলম লাগাতে পারেন। বাড়িতে নেট ও মশারি ব্যবহার করুন। বাসার আশপাশ ও বারান্দা, টবে যেন পানি জমে না থাকে। নিয়মিত বাসার আশপাশে স্প্রে করুন। মনে রাখতে হবে, সবার সার্বিক প্রচেষ্টা ছাড়া ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়।
অন্য বিষয়
ডেঙ্গু হলে করণীয়
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় প্রাথমিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা শুরু করতে হবে। আরও যা মানতে হবে—
জ্বর কমানোর উপায়: ডেঙ্গুর উচ্চমাত্রার জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করুন। প্যারাসিটামল ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পরপর জ্বরের মাত্রা বুঝে ব্যবহার করা যাবে। দিনে ৮ থেকে ১০টি ট্যাবলেটের (সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম) বেশি ব্যবহৃত হলে লিভারের ক্ষতিসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
জ্বর কমাতে কোনোভাবেই অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথানাশক এনএসএইড গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। ওষুধ ছাড়াও জ্বর কমাতে মাথায় পানি ঢালা, শরীর মুছে দেওয়া অথবা রোগীকে গোসল করাতে পারেন।
বিশ্রাম: ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। রোগীদের শারীরিক দুর্বলতাটাও থাকে অত্যধিক। উপসর্গের ৭ থেকে ১০ দিন ভারী কাজ, মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না। রোগী স্বাভাবিক হাঁটাচলা, দৈনন্দিন কাজ করতে পারবেন। তবে ছুটি নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করবেন আর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেবেন।
পানি পান: ডেঙ্গু রোগীর প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে প্রধান চিকিৎসা হলো ফ্লুইড রিপ্লেসমেন্ট বা তরল ব্যবস্থাপনা। পানির সঙ্গে খেতে পারেন ওরস্যালাইন, স্যুপ, ডাবের পানি, ফলের শরবত, ভাতের মাড়, দুধ ইত্যাদি।
অন্যান্য ওষুধ: জ্বরের পাশাপাশি অনেকের বমি ভাব, ডায়রিয়া থেকে থাকে। এসব উপসর্গ নিরাময়ে আরও কিছু ওষুধ চিকিৎসকেরা দিয়ে থাকেন। তবে ডেঙ্গু রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের কোনো প্রয়োজন নেই।
সতর্কসংকেত: রোগীর কিছু সতর্কসংকেত জেনে রাখতে হবে এবং এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে অথবা হাসপাতালে চলে যেতে হবে। সেগুলো হলো অস্বাভাবিক দুর্বলতা, অসংলগ্ন কথা বলা, অনবরত বমি, তীব্র পেটে ব্যথা, গায়ে লাল ছোপ ছোপ দাগ, শ্বাসকষ্ট, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবে রক্ত, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে
যাওয়া অথবা রোগীর মুখ, নাক, দাঁতের মাড়ি, পায়ুপথে রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত মাসিকের রক্তক্ষরণ, রক্তবমি।
অতিরিক্ত ঝুঁকিতে কারা
অনূর্ধ্ব ১ বছর অথবা ৬৫ বছরের ওপরে, গর্ভবতী নারী, দৈহিক স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, ডায়ালাইসিসের রোগী। এসব রোগীকে শুরু থেকেই হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডেঙ্গু রোগীকে কোন খাবারগুলো খাওয়াবেন
ডালিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। এ সময় ডালিম খেলে বাড়বে প্লেটলেটের সংখ্যা। এই উপকারী ফলটি খেলে ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভূতিও দূর হবে।
শারীরিক সুস্থতায় ডাবের পানি অনেক উপকারী। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে তরল পদার্থের শূন্যতা থেকে সৃষ্টি হয় ডিহাইড্রেশন। তাই এ সময় বেশি করে ডাবের পানি পান করুন। এতে থাকে ইলেক্ট্রোলাইটসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
কমলা বা মালটার রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ দুটি উপাদান ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে উপকার করে।
কিউই ফলেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এতে থাকে পটাশিয়াম। এ ফল খেলে ইলেক্ট্রোলাইট স্তর এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেইসঙ্গে কিউই খেলে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
রান্নাঘরের একটি উপাদান হলো হলুদ। যা চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করুন। হলুদ দুধ খাওয়ার একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।
মেথি সবার ঘরেই নিশ্চয়ই আছে! ডেঙ্গু হলে অতিরিক্ত মাত্রার জ্বর কমাতে সাহায্য করে এই উপাদানটি। তবে মেথি গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরমার্শ করে নিতে হবে।
ব্রোকোলি হলো ভিটামিন কে’র একটি ভালো উত্স। অন্যদিকে ভিটামিন কে রক্তের প্লেটলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যদি কোনো ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন; তাহলে অবশ্যই তাকে ব্রোকোলি খাওয়াতে হবে।
পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে আইরন এবং ওমেগো-থ্রি ফ্যাটি এসিড। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করেতে সহায়তা করে এই শাক। পালং শাক গ্রহণে ডেঙ্গু রোগীর প্লেটলেট দ্রুত বাড়বে।
ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন। সেইসঙ্গে মসলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়াও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় খাবেন না। এসব খাবার শরীরের কোনো উপকারেই আসে না বরং ক্লান্তি ও অসুস্থতা বাড়িয়ে দেয়।