তুরস্ক কোন মহাদেশে অবস্থিত-তুরস্ক

তুরস্কের অবস্থান হচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে তুরুষ্ক প্রতিটি বিষয় নিয়ে আপনারা সম্পুর্ন পোস্ট দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন

    তুরস্ক দেশটি নিয়ে আমাদের কৌতুহলের শেষ নেই দীর্ঘদিন মুসলিম শাসন পরিচালিত হয়েছে এখানকার শাসকদের দ্বারা  প্রায় 95 ভাগ এশিয়াতে এবং মাত্র 5 ভাগ ইউরোপে অবস্থিত  এই দেশ  ইতিহাস ঐতিহ্য এবং রাজনৈতিক নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ।  এই পোষ্টে  আমরা তুরস্ক সম্পর্কে না জানা-অজানা তথ্য জানবো -

    অন্যবিষয়

    মরক্কো কোন মহাদেশে অবস্থিত? মরক্কোর ইতিহাস ও ভাষার নাম

    কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার নাম কি এবং কুয়েতের টাকার ছবি জানতে ক্লিক করুন

    যুক্তরাজ্য কোন দেশ-ব্রিটেন কোন দেশ-অয়েসল কোন দেশ-স্কটল্যান্ড কোন দেশ জানতে ক্লিক করুন

    মরিশাস দেশ কোথায়-মরিশাস দেশ পরিচিতি এবং অজানা তথ্য জানতে ক্লিক করুন

    তুরস্ক কোন মহাদেশে অবস্থিত



     কাতার কত বর্গ কিলোমিটার- কাতারের ইতিহাস-কাতার আয়তন ও অবস্থান জানতে ক্লিক করুন

    ভিয়েতনাম মুসলিম জনসংখ্যা কত। ভিয়েতনাম ধর্ম জানতে ক্লিক করুন

     চীনের মহাপ্রাচীর দৈর্ঘ্য কত-চীনের মহাপ্রাচীর জানতে ক্লিক করুন

    তুরস্ক কোন মহাদেশে অবস্থিত

    তুরস্ক এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। তবে কিছু অংশ ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত। অর্থাৎ বলা হয় এশিয়া এবং ইউরোপ মহাদেশের তুরস্কের অবস্থান।

    তুরস্কের অবস্থান

    তুরষ্কর বতমার্ন  নাম তুর্কিয়া ।তুরস্ক এবং   তুর্কিয়া একই দেশ  ।   

    ভৌগলিক হিসাবে  তুরস্কের  অবস্থান এশিয়া ও ইউরোপের কানেক্টিং পয়েন্টে।এশিয়ার একেবারে পশ্চিম এবং  ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে  তুর্কিয়া বা তুর্কিয়াতুর্কিয়া উত্তর অংশের পুরো এলাকাজুড়ে রয়েছে ব্লাকছি । ব্লাকছি অংশ জুড়ে তুরস্কর বর্ডার হচ্ছে হচ্ছে 1695 কিলোমিটার দীর্ঘ।

    তুর্কিয়া সাথে ব্লাকছির বর্ডার  যেখানে শেষ হয় সেখান থেকে শুরু হয়েছে জর্জিয়ার বর্ডার তুর্কিয়ার  উত্তর-পূর্ব দিকের 170 কিলোমিটার বর্ডার রয়েছে জর্জিয়ার সাথে পূর্ব দিকে এসে জজিয়ার বর্ডার শেষ হয়ে গেছে সেখান থেকে শুরু হয়েছে আর্মেনীয়রা বর্ডার ।

    আর্মেনীয়রা  সাথে র্তাকি বর্ডার  আছে 328 কিলোমিটার দৈর্ঘ্য  আর্মেনীয়া 328  কিলো মিটারের বর্ডার যেখানে শেষ হয় সেখান থেকে শুরু হয়েছে আজারবাইজানের সাথে তুর্কিয়ার  বর্ডার।

    মাত্র 17 কিলোমিটার বর্ডারের খুবই ছোট ছোট বর্ডার রয়েছে আজারবাইজান এবং তুর্কিয়া  আজারবাইজানের বর্ডার যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে তাকে সাথে 534 কিলোমিটারের বিশাল করা রয়েছে ইরানের সাথে ।

    পূর্ব দিকের বিশাল অংশ জুড়ে ইরানের বর্ডার যেখানে শেষ হয়েছে ঠিক  সেখান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে 367 কিলোমিটার দীর্ঘ বর্ডার রয়েছে ইরাকের সাথে। দক্ষিণ-পূর্ব দিকে  ইরাকের বর্ডার যেখানে শেষ সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে বাকিং অংশ  মেডিটেরিয়ান সি পর্যন্ত পুরোটাই হচ্ছে সিরিয়াল বার্ডার।

    সিড়ির সাথে তাকে বর্ডার হচ্ছে 909 কিলোমিটার দীর্ঘ।স্থলভাগের বর্ডার শেয়ার করার মধ্য প্রতিবেশীদের মধ্যে সিরিয়ায় হচ্ছে তুর্কিয়াসবচেয়ে বড় প্রতিবেশি।সিরিয়ার পরে  দক্ষিণ দিকে বাকি অংশটা জোরে ভূমধ্যসাগরের সাথে তুর্কিয়ার  বর্ডার হচ্ছে 1577 কিলোমিটার দীর্ঘ।

    দক্ষিণ দিক থেকে শুরু হওয়া তাকে বর্ডার টি ভূমধ্য সাগরের সাথে কিছুটা পশ্চিম দিকে গিয়ে শেষ হয়েছে ।এবং পশ্চিম দিকের বাকি অংশ জুড়ে রয়েছে এজেন্সি।এজেন্সির সাথে থাকছে 2805 কিলোমিটার দীর্ঘ ।এজেন্সি সাগরের উত্তর-পশ্চিম দিকে তুর্কিয়া সাথে গ্রিসের স্থলভাগ বর্ডার শুরু হয়েছে।

    গ্রিসের সাথে তুর্কিয়া উত্তর পশ্চিম দিকের 200 কিলোমিটার এর বর্ডার রয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিকের বাকি অংশটা জোরে বুলগেরিয়া বর্ডার শেষ হয়েছে মূলত ব্লকসি  সীমান্তে এসে । লগেরিয়া সাথে তুর্কিয়া   স্থলভাগের বর্ডার হচ্ছে  270 কিলোমিটার দীর্ঘ ।

    তুরস্কের আয়তন

    তুরস্কের আয়তন হচ্ছে ৭৮৩,৩৫৬ কিলোমিটার । আয়তনের দিয়ে তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে 5 গুন এর বেশি  বড়   এবং বিশ্বের  37 তম বৃহত্তম দেশ হচ্ছে তুর্কিয়া ।টার্কির প্রদেশটিতে ৭টি রেজিওন এবং ৮১  প্রভিয়েন্ছ । ৯৫৭ডিসটিক এ বিভক্ত।

    রেজিওন গুলো হচ্ছে এজিয়ান, মেটোডিয়ান, সেন্ট্রাল আনাতোলিয়া, সাউথ ইস্ট, ইস্টান আনাতোলিয়া ,ব্লকছি , মারমারা এই প্রত্যেটি হচ্ছে রেজিওন/বিভাগ। মারমারা এশিয়া এবং ইউরোপ কে এড করে দিয়েছে।যার সাথে রয়েছে মারমারা সাগর। আক্রান্ত হচ্ছে এজিয়ান সাগর অন্যপ্রান্তে কৃষ্ণ সাগর।

    তুরস্কের রাজধানী হচ্ছে

    তুরস্কের রাজধানী হল  আঙ্কারা । তুরস্কে মোট 581 টি শহর রয়েছে ।যার থেকে সবচেয়ে বড় শহরটি হচ্ছে ইস্তানবুল। এছাড়াও আরো কিছু নামকরা রয়েছে আনাতোলিয়া ,বুরষা, সানি লিওলফা, ইসমির , কোনয়া,ফিথিয়ে ,গ্রাজিয়ানটেপ,আঙ্কারা ।

    তুরস্ক শব্দের অর্থ এবং তুরস্ক শব্দ কোথা থেকে এসেছে

    তুরস্করটার্কি বা  তুর্কি শব্দের অর্থ ল্যামডপত্ক । অর্থাৎ তুর্ক জনগোষ্ঠীর ভূখন্ড তুর্কো একটি তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর নাম যারা হাজার বছর ধরে এই ভূখণ্ডে বসবাস করত এ কারণেই এ অঞ্চলের নাম তুরকে বা টারকি । বাংলাতে বলে তুরস্ক

    বর্তমানে তুরস্কের অবস্থা

    তুরস্ক তার দুপাশে দুটি সাগরকে পুরোপুরি আলাদা করে দিয়েছে ।বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর । এবং পৃথিবীর প্রথম সারির এয়ারলাইন্সগুলোর একটি তুরস্ক।

    মধ্যপ্রাচ্যের  থেকে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীর ভিড় করেছে  তুরস্কে।   এশিয়ার সবচেয়ে বড় ট্রান্সশিপমেন্টের  রয়েছে তুরস্কের । যাকে বলা হয় তারকি উসমানি সাম্রাজ্যের মুসলিম বিশ্বের ইতিহাস। 

    পাহাড় পর্বত 

    ছোট-বড় মিলিয়ে তুর্কিয়াতে সব মিলিয়ে প্রায় ৮৬০৯ টি  পাহাড় পর্বত রয়েছে যার ।মধ্যে সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট আরারাত 5165 মিটার উচ্চতার মাউন্ট আরারাত 6  খলিফার থেকেও উচ্চু ।

    গড়ে পুরো তুর্কিয়া  83 শতাংশ জমির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 500 মিটার উপরে অবস্থান করছে । তুরস্কের সবচেয়ে বড় নদী হচ্ছে ফোরাত নদী যাকে ফেরাত নামে ডাক হয়ে থাকে।

    তুরস্কের ইতিহাস

    ইতিহাস থেকে জানা যায় যিশুখ্রিস্ট  জন্মের প্রায় 70 মিলিয়ন বছর আগে থেকে এখানে মানুষ বসবাস করতো এখানে ক্রেক  পার্শিয়ান রমান এবং আরবদের আগমন ঘটে ।১১০০  শতকে আরবের যাযাবর তুর্কি জাতির লোকেরা এই অঞ্চলে চলে আসে এবং দেশটির দখল করে নেয়।

    তাদের মাধ্যমে সেলজুক রাজবংশ ধারা শুরু হয় এবং এই অঞ্চলের জনগণ তুর্কি ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিশে যায় তেরোশো শতকে মোঙ্গলরা তুরস্ক আক্রমণ করে এবং সেলজুক শাসনের পতন ঘটায় একই  শতকের শেষের দিকে ওসমানীয় রাজবংশের শাসন শুরু হয় তাদের মাধ্যমেই এ অঞ্চলের সীমানা বৃদ্ধি পায় ।

    তুরস্কের যুদ্ধ 

    তারা প্রায় 600 বছর শাসন করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর উসমানীয় সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হয় সে সময় শুরু হয় তুরস্কের জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা যুদ্ধ এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক।

    যুদ্ধে ভারতীয় মুসলিমরা ব্যাপকভাবে সমর্থন দেয় তুরস্ককে তাদের সমর্থনের ভারতীয় মহিলারা নিজেদেরকে অলংকার দান করেন এই যুদ্ধের নায়ক কামাল আতাতুর্ক নিয়ে কবিতা লেখেন বাংলাদেশের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

    তুরস্কের প্রজাতন্ত্র সংঘটিত 

    এপারে কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়। কামাল  আতাতুর্ক বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তুরস্ককে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেন তাঁর সময়ে নারী শিক্ষার অগ্রগতি হয় ।

    তুরস্কের ধর্ম 

    প্রাচীন জ্ঞান ধারণা ছেড়ে তুরস্ককে আধুনিক সময়ের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেন কামাল আতাতুর্ক তুরস্কের বেশির ভাগ মানুষ মুসলমান তবে এটি বিভিন্ন ধর্মের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। 

    মনে করা হয় মহাপ্লাবনের পর হজরত নুহ আলাই সালাম এর নৌকা এসে পড়েছিল অনুষ্ঠান কোন স্থানে তুরস্কের বর্তমান রাজধানী আঙ্কারা কাছে বিশ্বজয়ী বিয়ের আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট ঘটি ডিয়াননট খুলেছিলেন।

    তুরস্কের তার্কিশ কম্বল 

     তার্কিশ কম্বল তৈরিতে যে কঠিন হয় তাকে গদিয়ান নট বলে। রোমান সম্রাট এ ভূখন্ডে পা রেখে বলেছিলেন ভিনি ভিডি ভিসি অর্থাৎ এলাম দেখলাম জয় করলাম এসব ঘটনা থেকে বোঝা যায় এ অঞ্চলের ইতিহাস অনেক প্রাচীন ও সমৃদ্ধ।

    তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত

    তুরস্কে কৃষিকাজ-ইতিহাসবিদরা মনে করেন 11 হাজার বছর পূর্বে   প্রথম কৃষি কাজের সূচনা হয়েছিল তারা গড়ে তুলে সুপরিকল্পিত কৃষি ব্যবস্থা একইসাথে বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এর স্থায়ী পদ্ধতি আবিষ্কার করেন মূলত প্রাচীনকাল থেকেই নানা শস্য জন্য বিখ্যাত তুরস্ক ।

    তুরস্ক ফুলের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে টিউলিপের কথা বললে সবার চোখে সর্বপ্রথম নেদারল্যান্ডসের নাম ভেসে উঠে মজার ব্যাপার হচ্ছে সেখানে প্রথম টিউলি পাঠিয়েছিল তুরস্ক।

    টিউলি ছাড়া তুরস্কের গোলাপ ও বিখ্যাত। তুরস্কে মোট 9000 প্রজাতির ফুল পাওয়া যায় পুরো দেশজুড়ে এর মধ্যে তিন হাজার প্রজাতির স্থানীয় অর্থ ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না।

    তুরস্কের ফুলের পাশাপাশি পাখির জন্য বিখ্যাত তুরস্ক ।পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত প্রায় 9 হাজার প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে যার মধ্যে 453 উপজাতি বাস করে শুধুমাত্র ইস্তাম্বুলের ।

    তুরস্কের বাণিজ্য ব্যবস্থা 

    এককালে ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রে থাকা এই শহর এখনো জমজমাট থাকে সবসময় এখানে রয়েছে বিখ্যাত ব্র্যান্ড বাজার যেখানে দেশের ছোট-বড় 64 ডাক্তার 4000 দোকানে কর্মরত প্রায় 50 হাজারেরও বেশি কর্মী।

    1455 সালে প্রতিষ্ঠিত বাজার পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাচীন বাজার গুলোর মধ্যে একটি প্রতিবছর প্রায় 100 মিলিয়ন মানুষ এই বাজারে কেনা কাটা করতে আসে ইস্তাম্বুলে পৃথিবীর একমাত্র শহর যেটি এশিয়া এবং ইউরোপ দুই দেশ নিয়ে গড়ে উঠেছে ।

    তুরস্কের ভাষাকে কি

    তুরস্কের ভাষা হচ্ছে তুর্কি। তুরস্কে প্রায় 90 শতাংশ মানুষই তুর্কি ভাষাতেই কথা বলে এছাড়াও আরো এখানে 30টি ভাষা প্রচলিত আছে । 

    তুরস্কের জনসংখ্যা 

    তুরস্কে প্রায় 8 কোটি 40 লাখ মানুষ বসবাস করে । এখানে যা 90% মানুষ মুসলিম হলেও এটি সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ তুরস্কের অলিতে গলিতে ছড়িয়ে রয়েছে অপূর্ব সব ইসলামিক স্থাপত্য।

    তুরস্কে মুসলিম স্থাপত্য 

    তুরস্কে সুলতান আহমেদ মসজিদের ভেতরে রয়েছে সুলতান আহমেদ এর সমাধি পান্থনিবাস হাসপাতাল ও মাদ্রাসা মসজিদটি প্রকৃতপক্ষে ধূসর বর্ণের কিন্তু ছাদের ওপর দিকটা নিল টানির আবৃত আর তাই এটি অপর নাম নিল মসজিদ।

    মুসলিম ঐতিহ্যের প্রতীক তুরস্কের সুলতান আহাম্মদ মসজিদ কে  1934 সালে জাদুঘর ঘোষণা করা হয় এটি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ প্রবেশ করতে পারে সুলতান আহমেদ মসজিদ এর কিছু দূরেই রয়েছে আর সফিয়া । মধ্যযুগের সপ্তমাশ্চর্যের একটি নির্মিত স্থাপত্য।

    ইস্তাম্বুলের সবচেয়ে বড় মসজিদ নাম

    রোমান আমলে নির্মিত এই মসজিদটি বর্তমানে মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ হচ্ছে সুলতান সুলেমান মসজিদ সুলতান সুলেমান ইস্তাম্বুলের সবচেয়ে বড় মসজিদ । ।

    সুউচ্চ  চারটি মিনার মসজিদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ মসজিদের মেহরাবের অভ্যন্তর ইসলামিক ঐতিহ্যের স্মারক ও বিভিন্ন কারুকার্য উপাদানের পরিপুষ্ট বৈচিত্র ও বহুবিধ রংতুলিতে আঁকা লতা-গুল্ম হরেক রকম দৃশ্য কোরআনের আয়াত অন্যরকম এক আবহ সৃষ্টি করে।

    আরো একটি সুন্দর মসজিদ হচ্ছে শেহজাদের  মেহমেদ মসজিদ  হাঙ্গেরি। অভিধান থেকে ফেরার পথে সুলতান সুলেমানের ছেলে সে তাদের মেহমেদ গুটিবসন্তে মারা যান।

    সুলতান তার প্রিয় সন্তানকে সোখে প্রায় 40 দিন কবরের পাশে কাটিয়ে দেন আর তখন তিনি বিখ্যাত প্রকৌশলী ফিনাল কে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ তৈরি করার দায়িত্ব যা শেহজাদের মেহমেদ মসজিদ নামে পরিচিত।

    তুরস্কের জনপ্রিয় স্থান

    তুরস্কের জনপ্রিয় স্থান গুলো হলো  এফেসাস যা সেল কাফের নিকট অবস্থিত   বিশ্বের সেরা গ্রিট রোমান  ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ এখানে সংরক্ষিত আছে প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য একটি আর্টেমিসের মন্দির এই এফেসাস শহরে অবস্থিত।

    আনাতোলিয়া অবস্থিত আরো একটি সুন্দর স্থান হচ্ছে ক্যাপাডোসিয়া প্রাচীন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে জন্ম নেওয়া প্রাকৃতিক শিলা এবং অনন্য ঐতিহাসিক শিল্পকর্মের জন্য এটি বিখ্যাত।

    তুরস্কের পর্যটনের আকর্ষণীয় স্থান 

    তুরস্কে সবচেয়ে বড় পর্যটক আকর্ষণ হলো বেলুন দৌড় ভূপৃষ্ঠ থেকে হাজার ফুট উপরে এক-দেড় ঘণ্টার জন্য ভেসে বেড়ানো যায় এখানে।

    তুরস্কের ইতিহাস 

    ঐতিহ্য এবং স্থাপত্য সমৃদ্ধ তুরস্কে প্রচলিত আছে চমৎকার কিছু সামাজিক প্রথা এবং আচার-আচরণে ইউরোপের দেশহলেও কিন্তু এখানে পরিবার প্রথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবারের সদস্যরা এখানে অত্যন্ত নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন ।তারা বয়োজ্যেষ্ঠদের ভীষণ সম্মান দেন।

    রাস্তার বয়োজ্যেষ্ঠদের  আগে মাধ্যমে চলে যাওয়াকে বেয়াদবি হিসেবে গণ্য করা ।পরিবারের মধ্যে জিনিস সবচেয়ে বড় তিনি বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলে বাকিরা খাওয়া শুরু করে তারা খাওয়া শেষ করে সূরা ফাতিহা পাঠ করে।

    তাদের আরো অন্য নীতি হলো কেউ কোন বাড়ি নির্মাণ করলে তার সামনে মালিকুল মুলক লিখে রাখেন এর দ্বারা বোঝানো হয় বাড়ির প্রকৃত মালিক আল্লাহ তিনি কেবল নিমিত্ত মাত্র।

    তুরস্কে বসতবাড়ি নির্মাণ এর পূর্বে রীতি  গুলো 

    বসতি নির্মাণের সময় তারা আরেকটি রীতি মেনে চলেন কোন নতুন এলাকায় শুরু করার সময় সেখানে সবার আগে মসজিদ নির্মাণ করা হয় ।

    মসজিদ নির্মাণের  পর তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ঘরবাড়ির তুরস্কের বাড়ি বিষয়ক আরেকটি সুন্দর আজান হলো বাড়ির দরজায় দুটি আংটা থাকে একটি বড় এবং অপরটি ছোট-বড় আংটা ধরে করাঘাত করেন পুরুষেরা আর ছোটটি ধরে নারীরা।

    এতে ঘরের ভেতরে থাকলেও বোঝা যায় যিনি এসেছেন তিনি নারী নাকি পুরুষ মেহমানদারীর বিষয়কে তুর্কি  সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ তারা মেহমানদের সম্মান করেন কেউ বাড়িতে তুর্কি চা এবং পানি দেওয়া হয় কেউ যদি পানি খায় তাহলে মনে করা হয় মেহমান রোমান্টি ক্ষুধার্ত ।

    তখন তারা মেহমানকে ভারী খাবার দেয় আর যা খেলে মনে করা হয় অতিথি যথেষ্ট ক্ষুধার্ত নয় খাবার খাওয়ানোর সময় তারা কোন ত্রুটি করেনা বরং বিশাল খাবারের আয়োজন করে খাওয়া শেষে হল পরিবেশন করে ।

    খাওয়ার সাথে সাথে মেহমানের চলে যাওয়া তুর্কিরা পছন্দ করে না তারা চায় খাবার খেয়ে গল্পগুজব করে মেহমান বিদায় হবে তুর্কিরা প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কে তাদের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে মনে করে।

    কোন বাসায় কেউ মারা গেলে কয়েক দিন সে বাসায় খাবার সরবরাহ করে তারা কেবল মানুষ নয় পাখিদের 700 সুন্দর আচরণ তাদের সংস্কৃতির অংশ ঐতিহাসিকভাবেই তারা পাখির যত্ন নেয় বিশেষ করে অসুস্থ পাখির সেবা করার জন্য রয়েছে আলাদা সংগঠন ।

    এমনকি সেটা যখন বরফে ঢেকে যায় সবুজ প্রান্তর তখন তারা বরফের উপর খাবার ছিটিয়ে রাখে যেন পাখিদের খাবারের কষ্ট করতে না হয় উসমানীয় শাসনামল থেকে এসব রীতি প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে তা অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে।

    তবে সম্পূর্ণ তুরস্কে কমবেশি এখনও প্রচলিত আছে কিন্তু এটি অস্বীকার করার উপায় নিচের তুর্কিরা অতিথি পরায়ন বন্ধুসুলভ ও প্রাণখোলা যাতে তারা বিশ্ব ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতি হিসেবে টিকে থাকবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।

    বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এবং জানা-অজানা তথ্য জানতে জানতে আপনারা এই ওয়েবসাইট এর সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত তথ্যমূলক পোস্ট করা হয় আজকে এই পোষ্টের মূল বিষয় ছিল তুরস্কের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং  তুরস্কের অবস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    এই পোস্টে আরো আলোচনা করা হয়েছে তুরস্কের রাজধানী সম্পর্কে আপনারা এই ওয়েবসাইটে ঘুরে দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইটে পূর্বে আরো তথ্যমূলক পোস্ট করা রয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন ।

    LikeYourComment