সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন-সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য

সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন রং সুইজারল্যান্ড এর অবস্থান কোথায় সুইজারল্যান্ড এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ পাহাড়-পর্বত নানা ধরনের লেক নিয়ে আলোচনা করা হয়

     আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করবো সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন এবং সুইজারল্যান্ডের যাবতীয় সকল তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব এই পোস্টের মধ্যে অবশ্যই পোস্ট সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অনেক তথ্য দিতে যাচ্ছে যার কারণে এ পোস্ট অনেক ইন্টারেস্টেড হতে যাচ্ছে আপনারা দেখুন -


    অন্য বিষয়-

    কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার নাম কি এবং কুয়েতের টাকার ছবি জানতে ক্লিক করুন

    যুক্তরাজ্য কোন দেশ-ব্রিটেন কোন দেশ-অয়েসল কোন দেশ-স্কটল্যান্ড কোন দেশ জানতে ক্লিক করুন

    ভিয়েতনাম মুসলিম জনসংখ্যা কত। ভিয়েতনাম ধর্ম জানতে ক্লিক করুন

    সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন-সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য




     কাতার কত বর্গ কিলোমিটার- কাতারের ইতিহাস-কাতার আয়তন ও অবস্থান জানতে ক্লিক করুন

    মিরসরাই কিসের জন্য বিখ্যাত জানতে ক্লিক করুন

    মরিশাস দেশ কোথায়-মরিশাস দেশ পরিচিতি এবং অজানা তথ্য জানতে ক্লিক করুন

    সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন-সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে অজানা তথ্য

    সুইজারল্যান্ড ইউরোপ  মহাদেশে অবস্থিত । ইউরোপ মহাদেশের এক বিখ্যাত দেশ সুইজারল্যান্ড পাহাড় নদী আর রোদের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুইজারল্যান্ড মূল আকর্ষণ ।জীবনযাত্রার মানের বিচারে সুইজারল্যান্ড শীর্ষ দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম।

    বিশ্ববাণিজ্য কূটনীতি এবং বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সদরদপ্তরের কারণে সুইজারল্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতি ও উন্নত শহুরে জীবন থাকা সত্ত্বেও সুইজারল্যান্ডের বহু লোক মাদকাসক্ত এবং এদেশে আত্মহত্যা করা আইনত বৈধ ।  বিস্তারিত দেখুন অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে।

    স্বপ্নের দেশ সুইজারল্যান্ড 

    সুইজারল্যান্ড - সুইজারল্যান্ড এর অবস্থান

    সুইজারল্যান্ড সরকারি নাম সুইস কনফেডারেশন । সুইজারল্যান্ড পশ্চিম ইউরোপের মধ্যভাগে অবস্থিত । এর উত্তরে জার্মানিতে অস্ট্রেলিয়া ও লিশটেনস্টাইন দক্ষিণের এবং পশ্চিমের ফ্রান্সে অবস্থিত ।সুইজারল্যা  মূল ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ জুড়ে আল্পস পর্বতমালার অবস্থান ।

    সুইজারল্যান্ড মধ্যে ইউরোপে অবস্থিত হলেও দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয় এই দেশের প্রাতিষ্ঠানিক নাম সুইস কনফেডারেশন।


    সুইজারল্যান্ড এর রাজধানীর নাম


     সুইজারল্যান্ড এর প্রশাসনিক রাজধানী হল বার্ন।   এবং লোজান  শহরে দেশটির বিচারই কেন্দ্র অবস্থিত তবে সুইজারল্যান্ড এর সবচেয়ে পরিচিত শহরগুলো হল  জুরিখ এবং পেনেরভা ।


    সুইজারল্যান্ডের রাজধানী হচ্ছে বান এটি মূলত দেশটির সরকারি এবং প্রশাসনিক শহর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর এখানে অবস্থিত যাদের মধ্যে পোষ্ট  ইউনিয়নের নাম উল্লেখযোগ্য ।

    সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম শহর হচ্ছে দূরে জুলিখ। এটি জুরিখরোদের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে সুইজারল্যান্ড এর উত্তর কেন্দ্রীয় অবস্থিত । এটি দেশটির রেল সড়ক ও আকাশপথের কেন্দ্রবিন্দু এখানে 50 টি জাদু এবং 100 টি আর্ট গ্যালারি রয়েছে ।

    সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্ন  খুবই সুন্দর একটি শহর এই শহর থেকে আরো সুন্দর বানিয়েছে শহরে অবস্থিত ফাউন্টেন গুলো যাই শহরের প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যায় এদের মধ্যে এমন অনেক ফাউন্টেন আছে যেগুলো 1600 শতাব্দী এজন্য এ সহটিকে  সিটি অফ ফাউন্টেন বলা হয়ে থাকে ।


    সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি

    সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির পৃথিবীর অন্যতম স্থিতিশীল অর্থনৈতিক দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রা নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দেশটির অর্থনৈতিক নীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। যা সুইজারল্যান্ড কে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে ।

    শিল্প ও বাণিজ্য সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি বিশ্বের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম সুইজারল্যান্ড বেকারত্বের হার অনেক কম এছাড়া দেশটির সেবাখাত ক্রমে অর্থনীতির একটি বড় অংশ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে ।অবসর সুইস ব্যাংকগুলো কালোটাকা নিরাপত্তা সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত ।

     

    সুইজারল্যান্ড এর প্রশাসন

    সুইজারল্যান্ড প্রশাসনিক বিভাগ গুলো কে বলা হয় ক্যান্টন। এই দেশে মোট 26 টি  ক্যান্টন  আছে ।যার সবগুলোই অতীতের স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সুইজারল্যান্ড গড়ে তুলেছেন 26  ছোট ছোট দেশ মিলে গঠিত হলে ।


    সুইট সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবছর জানুয়ারির 1 তারিখে দেশটির রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয় ছয় বছরের জন্য গঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা পালাক্রমে 1 বছর করে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে। 


    হাবসবার্গ  রাজবংশের শাসন থেকে বাঁচতে বারোশো একানব্বই সালে এই অঞ্চলের 26 টি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র বা  ক্যান্টন একত্রিত হয়ে গড়ে তোলে কনডেরেশিয়ো হেলভেটিকা  ।


    যা সুইস কনফেডারেশন নামে পরিচিত 26 ক্যান্টন মধ্যে 6 টি হল হাফক্যান্ট   কিন্তু সেগুলো ফুল ক্যান্টন এর মত কাজ করে এসব রাজ্যের অধীনে প্রায় 3000 পৌরশহর রয়েছে সুইজারল্যান্ড এর বর্তমান কার্যকর সংবিধান গ্রহণ করা হয়েছে 1848 সালে।


    এখানকার নাগরিকরা রাষ্ট্রীয় সকল কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় সে কারণে দেশটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতিতে চলে মৈত্রীতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের এমন অনুপম মিশেল পৃথিবীর অন্য কোন দেশে দেখা যায় না এই বৈশিষ্ট্যকে দেশটির সফলতার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয় ।


    সুইজারল্যান্ড খুবই শান্তিপ্রিয় দেশ বিভিন্ন দ্বন্দ্ব-সংঘাতে সুইজারল্যান্ড বরাবরই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে যদিও বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মিত্রশক্তি এবং অক্ষশক্তির কোন পক্ষই সুইজারল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন বিশ্বের সর্বোচ্চ জীবনযাত্রার মানের বিচারে সুইজারল্যান্ড বরাবরই শীর্ষ 3 এর মধ্যে থাকে ।


    সুইজারল্যান্ডের স্বাধীনতা

    প্রাচীন সুইস কনফেডারেশন এর প্রতিষ্ঠা মধ্যযুগের শেষ ভাগে অস্ট্রেলিয়া ওপর বন্ধুর বিরুদ্ধে একাধিক লড়াইয়ে জয়ের ফল হিসেবে কনফেডারেশন গঠিত হয় হলি রোমান সাম্রাজ্যের কাছ থেকে 40 কনফেডারেশন স্বাধীনতা পায় 648 খ্রিস্টাব্দে 1848 সালে একটি কনস্টিটিউশন তৈরি করে সুইজারল্যান্ড ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করে ।

    দুষ্টু জাতিসংঘের যোগ দেয় বেশ পরে 2002 সালে তবে তাদের সক্রিয় পররাষ্ট্রনীতির রয়েছে দেশটির বিশ্বশান্তির ক্ষেত্রে নিয়মিত মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখে রেডক্রস এর জন্মস্থান সুইজারল্যান্ডে এছাড়া বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার অবস্থান রয়েছে দেশটিতে ।

    সুইজারল্যান্ড এর আয়তন

    সুইজারল্যান্ড এর আয়তন ৪১ হাজার ১৮৫ বর্গ কিলোমিটার। সুইজারল্যান্ড দেশটি  খুবই ছোট এতই ছোট যে বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ড এর চেয়ে প্রায় সাড়ে 3 গুণ বড় আয়তন 41 হাজার 285 বর্গ কিলোমিটার ।আয়তনের দিক দিয়ে  সুইজারল্যান্ড ১৩২ তম। 


    সুইজারল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ

    সুইজারল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশগুলো হলো জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ইতালি এবং পৃথিবীর ষষ্ঠ ক্ষুদ্রাস্ত্র লিচটেনস্টাইন। 


    সুইজারল্যান্ডের ভাষা

    সুইজারল্যান্ডের সরকারি ভাষার চারটি জার্মান, ফরাসি ,ইতালি  এবং রোমান্স । রোমান হলো সুইজারল্যান্ডের  সবচেয়ে বড় ক্যান্টন গ্রাউবান্ডে  এর আঞ্চলিক ভাষা। সবচেয়ে জনবহুল ক্যান্টনমেন্ট জুরিখের  প্রচলিত ভাষা জার্মান এবং জেনেভার কথ্য ভাষা হল ফরাসি সাম্প্রতিক এক জরিপে জানা যায় সুইজারল্যান্ডের 64 শতাংশ লোক জার্মান ভাষায় কথা বলে ।

     

    তবে ফ্রেন্ড ইতালিয়ান এবং রোমান্স ভাষাকে অতিক্রম করে সুইজারল্যান্ডে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে ।

     

    সুইজারল্যান্ড   জনসংখ্যা কত

    সুইজারল্যান্ড জনসংখ্যা মাত্র 85 লক্ষ 82 হাজার।সুইজারল্যান্ডদেশের রাজনৈতিক  পরিবেশ খুবই সুস্থির । 

    পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ বলা হয় যে দেশটিকে তার নাম সুইজারল্যান্ড দেশটির বিশ্বজুড়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য তবে শুধু বেড়ানোর জন্যই নয় শক্তিশালী দেশ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা পেয়েছে ।
     

    সুইজারল্যান্ডের ধর্ম


    সুইজারল্যান্ডের প্রায় 68 শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। এছাড়া বাকি 5 শতাংশ মানুষই ভিডিও মুসলিম তবে এখানে 23 শতাংশ মানুষ কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয়। 


    সুইজারল্যান্ড মুদ্রার নাম


    সুইজারল্যান্ড এর মুদ্রার নাম সুইস ফ্শহীদ প্রাণ সং ফ্যাংক। দেশটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে অন্যতম। সুইজারল্যান্ড এর মুদ্রার নাম সুইচ  ফ্রাঙ্ক । এক সুইচ  ফ্রাঙ্ক  বাংলাদেশের প্রায় 90 টাকা সমান। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো কালো টাকা নিরাপদে রাখার জন্য কুখ্যাত ।



    পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের অসাধু দুর্নীতিবাজ বিত্তশালীরা তাদের অবৈধ সম্পদ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে অনায়াসে জমা রাখতে পারে বিশ্ব বাণিজ্য এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সুইজারল্যান্ড অত্যন্ত সহজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে তাছাড়া সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রয়েছে বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সদরদপ্তর নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হল জেনেভা।

     বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ জাতিসংঘের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠনের সদরদপ্তর জেনেভায় অবস্থিত ।জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক দলিল জেনেভা কনভেনশন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এই শহরে ।

    সুইজারল্যান্ড সরকারি মুদ্রা সুইস ফ্রাঙ্ক ।দেশটির মোট জিডিপির প্রায় 700 চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয়ের প্রায় 83 হাজার মার্কিন ডলার সুইজারল্যান্ডে ডায়ালিং কোড  হচ্ছে প্লাস + 41 

    সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ 


    আল্পস পর্বতমালার অপরূপ সৌন্দর্য এবং অসংখ্য নয়নাভিরাম রদ এই দেশকে করে তুলেছে অনন্য সুইজারল্যান্ড এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতই বিখ্যাত যে বিভিন্ন দেশের সুন্দর অঞ্চলগুলোকে বর্ণনা করতে সুইজারল্যান্ড এর সাথে তুলনা করা  হয়  । সুউচ্চ  পর্বতশ্রেণী গভীর আলপাইন রোর  এবং সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো উপত্যকা এখানকার চিরচেনা প্রাকৃতিক উপাদান ।

    এই নিসর্গ বহু লেখক সাহিত্যিক কবি চিত্রশিল্পীকে অনুপ্রাণিত করেছে তাদের শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে বিশ্ব ভ্রমণ পিয়াসীদের কাঙ্খিত ভ্রমণের তালিকায় সুইজারল্যান্ড নেই এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে ।
     
    সুইজারল্যান্ড 7000এর অধিক লেক রযেছে। সুইজারল্যান্ড এর প্রতি 10 মাইল একটি লেখা পাওয়া যায়। অধিক পরিমাণ পানির মজুদ থাকার কারণে সুইজারল্যান্ডের প্রায় 60% বিদ্যুতের চাহিদা হাইড্রয়েলেক্ট্রিক পাওয়ার অর্থাৎ জলবিদ্যুৎ থেকে আসে ।

     সুইজারল্যান্ডের কোন সমুদ্র নেই এটি চারদিক থেকে স্থলবেষ্টিত দেশ সমুদ্র না থাকলেও সুইজারল্যান্ড ইউরোপের বেশ কয়েকটি প্রধান নদীর উৎস রাইন নদী এবং রোন নদী এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ।

    প্রকৃতির আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো লেক দেশটিতে প্রায় 7000 লেক আছে। এই দেশের প্রাকৃতিক জলাশয়গুলোর পানি এতটাই স্বচ্ছ আরও পরিষ্কার যে সুইজারল্যান্ডের প্রায় সকল নদী এবং লেকের পানি সরাসরি পান করা যায়।

    সুইজারল্যান্ড  বিখ্যাত

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি ট্রেন চকলেট এবং পনিরের জন্য সুইজারল্যান্ড বিশ্ব বিখ্যাত । সুইজারল্যান্ড  চকলেটের জন্য বিখ্যাত এটি চকলেট রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ গুলোর মধ্যে একটি এখানে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ 72 হাজার টন চকলেট উৎপাদন করা হয় ।


    সুইজারল্যান্ডের যানবাহন 

    এদেশের গাড়িগুলো সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় গাড়ি পরিষ্কার না করলে আপনার বিরুদ্ধে মামলাও হয়ে যেতে পারে এদেশের বহু প্রতিষ্ঠানে এমন কর্মীদের নিয়োগ দেয় তার প্রয়োজন হয়না তাদের সমাজ স্বল্প বেকারত্বের হার কে আরও কমিয়ে আনতে সচেতন এমন একটি দেশ যেখানে মহিলাদের সবথেকে পরে মহিলাদের  ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে এখানে মহিলাদের সর্বপ্রথম ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল 1971 সালে ।



    সুইজারল্যান্ড এর গুরুত্বপূর্ণ স্থান -এবং সুইজারল্যান্ড এর পর্বতমালা

    সুইজারল্যান্ড এর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রাকৃতিক অঞ্চল হল জুরা পর্বতমালা আল্পস পর্বতমালা এবং দুই পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যবর্তী সুইচ মালভূমি যা মিটলল্যান্ড  নামেও পরিচিত। সুইজারল্যান্ডের অপূর্ব সুন্দর গ্রামগুলোতে খুব বেশি লোক থাকে না এ দেশের প্রায় 85 শতাংশ লোক শহরে বাস করে আর বাকিরা গ্রামের বাসিন্দা। 


     পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর  মধ্যে সুইজারল্যান্ডের।

    সুইজারল্যান্ডের একাধিক শহর পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ।এখানকার জীবনযাত্রার ব্যয় যেমন অনেক বেশি ঠিক তেমনিভাবে জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত।


    পৃথিবীর শীর্ষ দশটি বাসযোগ্য শহরের তালিকায় সুইজারল্যান্ড আছে তিনটি শহর 2020 সালের জুন মাসের জরিপ অনুযায়ী বাসযোগ্য শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জুলি নবমস্থানে জেনেভা এবং দশম অবস্থানে আছে বাসেল।


    পৃথিবীর তৃতীয় ব্যয়বহুল শহর নাম


    পৃথিবীর তৃতীয় ব্যয়বহুল শহর নাম হচ্ছে জুরিখ।  সবচেয়ে জনবহুল কান্টল জুরিখ  পৃথিবীর তৃতীয় ব্যয়বহুল শহর । জুরিখেল তিন রুমের সাধারণ বাসার  ভাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় 2 লক্ষ টাকা। যদিও এই দেশের সুযোগ-সুবিধা এবং আয়ের তুলনায় বাসা ভাড়া খুব বেশি না ।


    সুইজারল্যান্ড এর একজন নাগরিকেরমাসিক আয়


    সুইজারল্যান্ডের মানুষের গড় মাসিক বেতন প্রায় 5 থেকে 7 লক্ষ টাকা সেইসাথে এখানে বেকারত্বের হার খুবই কম। উন্নত জীবন আরো অধিক বেতনের আশায় বহু বিদেশি নাগরিক এই দেশে বসবাস করেন ।সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দাদের চার ভাগের এক ভাগ লোকই হল বহিরাগত এসব প্রবাসীদের মধ্যে ফ্রান্স জার্মানি ইতালি ও পর্তুগালের লোক সবচেয়ে বেশি।


    সুইজারল্যান্ডে বেশি পারিশ্রমিক পেশার মধ্যে শিক্ষাগত পেসা একটি। এই দেশের শিক্ষকরা প্রতি বছরে প্রায় ৮৫লাখ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন ।এবং বছরে প্রায় 12 সপ্তাহ ছুটি কাটান ।


    সুইজারল্যান্ড এর নাগরিকদের শতভাগ শিক্ষিত উচ্চশিক্ষায় এই দেশ অনেক এগিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি হলেও এখানকার নাগরিকেরা নামমাত্র মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি অর্জন করতে পারে রসিকতা করে সুইজারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হয় নোবেল প্রাইজ মেশিন ।


    কারণ সুইচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় 113 জন নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে যাদের অধিকাংশই হলেন বিজ্ঞানী ।উন্নত জীবন আর অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে বসবাস করলেও এই দেশের একটি অন্যতম সমস্যা।


    সুইজারল্যান্ড এর সমস্যা

    সুইজারল্যান্ডের সমস্যা হলহলো মাদকাসক্তি। একজন সুইচ নাগরিক প্রতিবছর গড়ে প্রায় 36 লিটার ওয়াইন,57 লিটার বিয়ার এবং নয় লিটার খাঁটি অ্যালকোহল পান  করে। দেশের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ মদ্যপানের চরম মাত্রায় আসক্ত প্রতিবছর প্রায় 1600 লোক সরাসরি মদ্যপান করার কারণে মারা যায় ।


    যার অধিকাংশই ঘটে অতিরিক্ত মদ্যপান করার কারণে নিয়মিত এলকোহল সেবনের কারণে বহু লোক যোগরিত সহ নানান ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগে। সুইজারল্যান্ডে যত লোক মৃত্যুবরণ করেন তাদের মধ্যে প্রায় 41 শতাংশ হৃদরোগের এবং 26% ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এত শান্তির দেশ হলেও সুইজারল্যান্ডে আত্মহত্যা করা বৈধ ।


    কেউ যদি মনে করে এই পৃথিবীতে তার বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করছে না তবে সে আত্মহত্যার জন্য এখানে আবেদন করতে পারেন ।সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর পর তাঁর সৎকারের ব্যবস্থা ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ আত্মহত্যার আগেই পরিশোধ করতে হবে প্রায় সাড়ে 9 লক্ষ টাকা। বৈধভাবে আত্মহত্যা করতে বহু লোক সুইজারল্যান্ডে আসে ।এদেরকে বলা হয় সুইসাইড টুরিস্ট ।


    শুধুমাত্র 2015 সালেই 956 জন সরকারি অনুমতি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুইজারল্যান্ড এর মত বহু জাতি বহু ভাষা  আর  সংস্কৃতির আরেকটি দেশগুলো মরিশাস সুইজারল্যান্ড এর সৌন্দর্য পাহাড়ঘেরা আর মরিশাস এর সৌন্দর্য সমুদ্র কেন্দ্রিক ।


    মরিশাস যেন এক টুকরো ভারত বর্ষ কারণ এই দ্বীপের তিন ভাগের দুই ভাগ লোকই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভারত মহাসাগরের মধ্যে আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্ট এই দ্বীপটি চারদিকে প্রবাল প্রাচীর দিয়ে ঘেরা সারাবিশ্বের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে মরিশাস পর্যটনের স্বর্গ ।অসাধারণ সুন্দর ছোট্ট একটি গ্রাম মরিশাস সম্পর্কে যান চালে নিচের লিঙ্গে প্রবেশ করুন


    ভবিষ্যতের যে আবারো পারমাণবিক যুদ্ধ হবে এটি বিশ্বাস করা দেশের মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম ।যদি ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয় তবে মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে দেশটির যেসকল পাংখা তৈরি করেছে সেখানে দেশটির সব মানুষই থাকেতে পাররেব।

     
    যুদ্ধ অবস্থা বিবেচনা করে এখানকার রাস্তা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে প্রয়োজনে রাস্তার বিভিন্ন স্তর এদিক-ওদিক শরীরের প্রতিটি রাস্তাকে বিমানের রানওয়েতে পরিণত করা যাবে । সুইজারল্যান্ড বিমানবাহিনীর পাইলটরা ট্রেনিং এর সময় সুপারসনিক গতিতে বিমান চালাতে পারেন না ।কারণ দেশটা এতো ছোট যে এই গতিতে বিমান চালালে তা নিমিষেই অন্য দেশের আকাশে চলে যাবেন ।তবে সম্প্রতি তারা ফ্রান্সের আকাশ ব্যবহৃত একটি চুক্তি করেছে । এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের পাহাড়-পর্বত ও নান্দনিক সৌন্দর্য বর্ণনা করা হয়ে থাকে এজন্য বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটে desh info ক্যাটাগরিতে দেওয়া থাকে । আপনারা সেখান থেকে দেখে নেবেন। এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে সুইজারল্যান্ড এর অবস্থান সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি সুইজারল্যান্ডে মুদ্রা এবং সুইজারল্যান্ডের রাজধানী সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ ইত্যাদি আরও নানা ধরনের তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে আশা করি পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে এ ধরনের পোস্ট পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটে সঙ্গেই থাকুন এই ওয়েবসাইটে পূর্বে আরো নানা ধরনের দেশে ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করা হয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন যা আপনারা দেখে উপকৃত হবেন।
    অন্য পোষ্ট


    LikeYourComment