আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আজকে আলোচনা করব রামছাগল নিয়ে।আমাদের দেশে সাধারণত ছাগলের তুলনামূলকভাবে লম্বা হয় সেগুলো কি রাম ছাগল নামে ডাকা হয়। কিন্তু রামছাগল বলে পৃথিবীতে কোন ধরনের ছাগলের জাতের নাম নেই। আপনারা রামছাগল সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন নিম্নে
অন্য বিষয়
ফ্রিজের কম্প্রেসার দাম কত এবং ওয়ালটন ফ্রিজের কম্প্রেসারের দাম কত এবং কম্প্রেসার কত প্রকার জানতে ক্লিক করুন
মটরের পাইপের দাম- এবং বিভিন্ন সাইচের পাইপের দাম জানতে ক্লিক করুন
চোখের জন্য কোন লেন্স ভালো জানতে ক্লিক করুন
মটরের পাইপের দাম- এবং বিভিন্ন সাইচের পাইপের দাম জানতে ক্লিক করুন
কয়েল পাইপের দাম জানতে ক্লিক করুন
উন্নতমানের ছাগলের জাতের নাম
সাধারণত বড় জাতের ছাগল গুলোর নাম হল জমুনাপুরি যাকে আমরা বলে থাকি রামছাগল, শিরোহি , বিটল ,ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, ক্রস হয়ে বাচ্চা জন্মগ্রহণ করলে তুলনামূলকভাবে বাচ্চাগুলো উচা লম্বা হয়ে যায়।ক্রস হওয়ার কারণে ছাগলের হাত পা লম্বা এবং গানগুলো লম্বা হয়ে থাকে।আর সাধারণত এ ধরনের ছাগলকে আমাদের দেশে রামছাগল হিসেবে ধরা হয় বা বলা হয়।
রাম ছাগলের বাচ্চার দাম-কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি
রামছাগল বা তোতাপুরী ছাগলের দাম ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দুই মাসের ।রাম ছাগলের ক্রস বাচ্চার দাম ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকা। শিরতি ক্রস বাচার দমা ১০ হাজার বা ১১,১২,১৩ হাজার টাকা।
হরিয়ানা ,তোতাপুরি , শিরতি এগুলোর ক্রস জাতের বাচ্চা ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকার মধ্য পেয়ে যাবেন। এবং এবং কি আপনারা এই যাত্রী 9 থেকে 12 হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন।10 থেকে 13 হাজার টাকার বাচ্চার বয়স আড়াই মাস থেকে তিন মাস।
তোতাপুরি ছাগলের বাচ্চার দাম ক্রস জাতের বাচ্চা দুই থেকে আড়াই মাস বয়সের বাচ্চার দাম ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যেই পেয়েযাবেন। তুলনামূলকভাবে খাসির বাচ্চা দাম একটু বেশি।কিন্তু পাঠার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি এবংপাঠার চাহিদা বেশি।
*শীতকালে ছাগলের বাচ্চার দাম কম থাকে আপনারা চেষ্টা করবেন শীতকালে কেনা। সব স্থানেই সাধারণত শীতকালে গরু ছাগলের দাম তুলনামূলক অনেক কম থাকে বিশেষ করে ছাগলের দাম বাড়ে যখন শেষ হয়ে যায় গরম শুরু হয় ওই সময় ছাগলের এবং গরুর বাচ্চার দাম বৃদ্ধি পায়। আপনারা অবশ্যই শীতের সময় বাচ্চা ক্রয় করবেন।
কেননা শীতকালে বাচ্চার দাম কম হওয়ার কারণ হলো শীতকালে বাচ্চা সাধারণত ক্রয় করে থাকে না মানুষজন এবং শীতকালে বাচ্চার চাহিদা অনেক কম থাকে এর কারণে শীত মৌসুমে বাচ্চার দাম তুলনামূলক অনেক কম থাকে কিন্তু শীতের শেষের দিকেই হলেই বাচ্চার দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং গরমের শুরুতেই বাচ্চার দাম অনেক হযে যায়।
শীতের সময় যদি আপনারা বাচ্চা ক্রয় করেন তাহলে তিন থেকে আড়াই মাসের বাচ্চা গরমকালে যে মূল্য থাকে শীতের সময়ে কি বাচ্চা ক্রয় করলে দুই থেকে তিন হাজার টাকা কমে আপনারা বাচ্চাগুলো পেয়ে যাবেন এর জন্যই শীতের সময় বাচ্চা কয় করা ভালো কারণ দাম শীতের সময় কম থাকে বাচ্চার।
কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি
ক্রস জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি। উন্নত মানের ক্রস ছাগল ভালোবেশি,দোয়াসলা ,ব্লক বেঙ্গল। ব্লাডব্যাংক ছাগলের একটা সমস্যা হলো যখন চারটা বাচ্চা হবে দুই থেকে তিনটা বাচ্চা দুধ পাবে আরেকটি একটি বাচ্চা অপুষ্টিতে ভোগে। বেশিরভাগ দেখা যায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চারটা বাচ্চা হলে একটা বাচ্চা মারা হয় বা খুবই দুর্বল থাকে একটি বাচ্চা।
দেখা যায় কোন জাতের বাচ্চা দুইটা বা একটা বাচ্চা হয় কিন্তু এর বাচ্চাগুলো অনেক সুস্বাস্থ্য ও বড় হয়ে থাকে। দেখা যায় যে ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল চারটা বাচ্চা হলেও যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় ক্রস জাতের ছাগল পালন করে ওই পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় কারণ ক্রস জাতের ছাগল গুলো বড় হয়ে থাকে বেশি এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যেহেতু জাতের ছাগলের পুষ্টির সমস্যা হয় না।
মাংসের চাহিদা পূরণ করার জন্য ক্রস জাতের ছাগল সর্বোচ্চ। যদি আপনি মোটামুটিভাবে খাদ্য মেন্টেন করতে পারেন তাহলে 40 কেজির উপরে অনায়াসে ক্রস জাতের ছাগল নিয়ে যেতে পারবেন।সাধারণত পাঁঠার মাংস বেশি হয়ে থাকে।
যেহেতু প্রশ্ন জাতের ছাগল গুলো প্রথম থেকে মায়ের দুধ গুলো পরিপূর্ণভাবে ভাবে পায়। এবং এদের গঠন অনেক স্ট্রং হয়ে থাকেন। বর্তমান সময়ে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চাইতে দো-আঁশলা বা ক্রস জাতের ছাগল পালন করলে বেশি লাভবান হতে পারবেন আশা করা যায়।
আপনারা ছাগল বাজার থেকেই সুন্দর বাচ্চাগুলো ক্রয় করবেন এবং দেখবেন পাগুলো মোটাসোটা কিনা এবং দেহ যেন মোটা সেগুলো দেখে কিনবেন।
ছাগলের লাভ এর হিসাব
আপনার কাছে যদি ২০ টা ছাগল থাকে তাহলে আপনার অনায়াসে এক লাখ টাকা হয়ে যায়।ছাগলের জন্য সবচেয়ে উত্তম খাবার হচ্ছে ঘাস এবং উন্মুক্ত জায়গা।
একটি ছাগলের বাচ্চা ক্রয় করতে আপনার চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হবে এবং পরবর্তী সময়ে ছাগলকে খাওয়াতে হবে কিছু টাকা তো সর্বমোট আপনার খরচ 9000 টাকা যদি আপনি কিছু মাস পালন করেন তাহলে অনায়াসে আপনি 15 হাজার
টাকা বিক্রি করতে পারবেন। তার মানে দাঁড়ায় একটি ছাগল থেকে আপনি ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
খাবারের বাজে মানের কারণে দেখা যায় ছাগলের পেট ফেটে যাওয়া রোগ হয়ে থাকে।
ছাগলের খাবার
ছাগলের জন্য সবচেয়ে উত্তম খাবার খাস এবং দুই বেলা দানাদার খাবার। সকাল-বিকেল আপনি ভুসি, কুরা বা ছাগলের পেট খাওয়াতে পারেন।
যদি ঘাস অভাব হয় তাহলে খর ছোট ছোট করে কেটে দিলে হয়ে যায়। তবে খরে ছাগল বেশি বৃদ্ধি হয় না ।
আপনারা ছাগলকে কাঁঠাল পাতা খাওয়াতে পারেন ছাগল কাঠাল পাতা পছন্দ করেন।
এবং ছাগল কাঠ গাছের পাতাও পছন্দ করে ।
এবং কি ছাগলগুলোকে আপনারা কিছু সিরাপ পাওয়া যায় বাজারে সেগুলো আপনারা খাওয়াতে পারো।
রাম ছাগল কত মাসে বাচ্চা দেয়-রাম ছাগল পালন
ক্রস জাতের রাম ছাগলে সাধারণত ঘরে 14 থেকে 16 মাসের মধ্যে দুইবার বাচ্চা পাওয়া যায় ।এবং কি বাচ্চার পরিমাণ ভালো পাওয়া যায়।অধিকাংশ সময়ই ক্রস ছাগল বা রাম ছাগল দুইটি বাচ্চা দিয়ে থাকে একই সাথে।এমনকি মাঝে মাঝে তিনটা বাচ্চা দিয়ে থাকে এমন ও আছে যে চারটা পর্যন্ত দিয়েছে বাচ্চা।
মাংসের জন্য সবচেয়ে ভালো হয় ক্রস জাতের ছাগল লালন পালন করা। আমাদের দেশে যে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল আছে সে তুলনায় ক্রস জাতের ছাগল গুলো দৈহিক বৃদ্ধি এবং মাংস বৃদ্ধিতে খুব দ্রুত আকার বৃদ্ধি করে।
এবং কি ক্রস জাতের বাচ্চাগুলো তুলনামূলক বেশি বড় হয়ে থাকেন এবং মাংস বেশি পাওয়া যায়। এর কারণে মাংসের জন্য ক্রস জাতের ছাগলের বাচ্চা পালন লাভজনক।
সাধারণত পিওর কোন উন্নত জাতের ছাগলের বাচ্চা যেমন শিউরি, বিট্রাল , এবং অন্য উন্নত জাতের বাচ্চার যে ক্রস জাতের ছাগল হয় সেগুলো বেশি দৈহিক বৃদ্ধি এবং মাংস বৃদ্ধি পায় এবং খুব দ্রুত বড় হয়।
ক্রাশ জাতের ছাগল গুলো আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই মানে আবহাওয়ার সঙ্গে চলতে পারে খাপ খাইয়ে নিতে পারে ছাগলগুলো। এবং আমাদের দেশে ক্রস জাতের ছাগল গুলো শক্তি সফল হয় সহজে রোগব্যাধি হয়না। এবং কি ক্রস জাতের ছাগল গুলো লালন-পালন করতে অনেক সহজ হয়ে থাকে।আশা করব আপনারা অবশ্যই বাংলাদেশ ছাগল পালন করলে ক্রস জাতের ছাগল গুলো পালন করবেন তাহলে বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মূলত বাস্তবতা পিওর ব্রিডের ছাগল ছাড়া যত ধরনের ছাগল পাওয়া যায় সেই ছাগলটির যত ভাল জাতের হোক না কেন সেগুলো ক্রস জাতের ছাগল আপনারা বুঝতে পেরেছেন ক্রাস জাত বলতে কী বোঝানো হয়।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাগল জাত হচ্ছে তোতাপুরি। তোতাপরি ছাগল টি ও ক্রস জাতের ছাগল। হরিয়ানা সহজাত আরো অন্যান্য ছাগলের জাত সব ক্রস হয়ে থাকে।যদি যদি মাংসর দিক থেকে বিবেচনা করা হয় তাহলে ভালো বৃদ্ধির জন্য ক্রস জাতের ভালো মানের ছাগল গুমাংস বৃদ্ধি বেশি
ছাগলের বৈশিষ্ট্য
রাম ছাগল বা অন্য যেকোন ছাগল বিভিন্ন ধরনের কালার হয়ে থাকে সাদা কালো হলুদ ইত্যাদি ইত্যাদি।
সাধারণত রাম ছাগলের কান লম্বা হয়ে থাকে ।এবং এ ছাগলগুলো লোম গুলো অনেক বড় হয়ে থাকে।
এবং ছাগলগুলো অনেক বড় হয়ে থাকে সাধারণত এ ধরনের জাতের ছাগলের কারণগুলো প্রকৃতি ভাবেই লম্বা হয়ে থাকে সাধারণত এদের কান 7 থেকে 10 ইঞ্চি অধিক ঝুলানো হয়ে থাকেন।
এবং দেশ-জাতির ছাগলগুলোর পাগলু মোটা ও লম্বা হয়ে থাকে অনেক মাথার সিং চ্যাপ্টা লম্বা হয়ে থাকেন এবং এ জাতের ছাগল গুলোর উলান অনেক বড় হয়ে থাকেন এবং লোমগুলো বড় বড় থাকেন।
এ জাতের ছাগল গুলোর উচ্চতা 34 থেকে 40 এর চাইতে আরো অধিক হয়ে থাকেন।
এবং একটি বয়স্ক যমুনাপারি পাঠার ওজন অন্য অন্য জাতের প্রাপ্তবয়স্ক একটি ছাগলের ওজন 65 থেকে ৯২ হয়েথাকে।
এবং এ জাতের একটি সাগর ওজন 41 থেকে 100 পর্যন্ত হয়ে থাকেন।
এবং এ জাতের ছাগল ১৬ মাসের মধ্যে 2 বার বাচ্চা দিয়ে থাকেন ঘরে। সর্বোচ্চ তিন থেকে চারটি পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে তবে সাধারণত দুটি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে তাদের জাতের ছাগল গুলো।
এবং কি দেশি ছাগলের চাইতে এ ধরনের উন্নত জাতের ছাগলের দুধ বেশি দিয়ে থাকে দেড় থেকে দুই কেজির অধিক দুধ দিয়ে থাকে এ ধরনের ছাগলগুলো। এবং দুধের 4 থেকে 5 ভাগ ফ্যাট হয়ে থাকে।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস সুস্বাদু বেশি হয়ে থাকে অন্যান্য অংশের তুলনায় এ ধরনের ক্রস জাতের ছাগল পালন করা হয় দুধ এবং মাংস বেশি পাওয়ার জন্য।এবং কি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চাইতে এ ধরনের ক্রস জাতের ছাগল গরুর রোগ অনেক কম হয়ে থাকে।
আশা করি আপনারা এই পোস্টটি বুঝতে পেরেছেন এ পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে ছাগলের দাম সম্পর্কে এবং কোন ছাগল পালনে লাভ বেশি এবং আরো আলোচনা করা হয়েছে ছাগল লাভের হিসাব ছাগলের খাবার এবং ছাগল কত মাসে বাচ্চা দেয় ছাগলের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন
প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্য তথ্যমূলক পোস্ট পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট করা হয় পূর্বে এই ওয়েবসাইটে আরো তথ্যমূলক পোস্ট করা হয়েছে সেগুলো দেখে নিতে পারেন যা আপনার অবশ্যই উপকারে আসবে