কাতার কত বর্গ কিলোমিটার- কাতারের ইতিহাস-কাতার আয়তন ও অবস্থান

কাতার 11 হাজার 437 বর্গ কিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা 30 লাখের কম এই পোস্টে কাতারের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা দেখুন

     মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট একটি দেশ হলো কাতার। মাথাপিছু আয় এর ভিত্তিতে কাতার পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ এই দেশের প্রায় পুরোটা অঞ্চল হল মরুভূমি গ্রীষ্মকালে কাতার উপদ্বীপের তাপমাত্রা থাকে প্রায় 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস।সে কারণে পৃথিবী শীর্ষে বসবাসের অযোগ্য স্থান  গুলোর মধ্যে কাতার  অন্যতম ।অতীতের এই ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল দুর্গম চরম ভাবাপন্ন   আবহাওয়ার অতিদরিদ্রদেশ ।

    কাতারের স্বাধীনত

    1971 সালের কাতার ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে সেই সময় ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল তার কিন্তু কাতারের সেই শোচনীয় অবস্থা খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বসবাসের অযোগ্য মরুভূমি থেকে কাতার কিভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হলো সে সম্পর্কে এবং আরো নান ধরনের তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে। দেখুন- 

    অন্য বিষয়-

    কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার নাম কি এবং কুয়েতের টাকার ছবি জানতে ক্লিক করুন

    যুক্তরাজ্য কোন দেশ-ব্রিটেন কোন দেশ-অয়েসল কোন দেশ-স্কটল্যান্ড কোন দেশ জানতে ক্লিক করুন

    মিরসরাই কিসের জন্য বিখ্যাত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

    ভিয়েতনাম সংখ্যা , ধর্ম , শাসন , অথনৈতিক,কথায় অস্থিত, মুদ্রার নাম আরো নানা ধরনের তথ্য জানতে ক্লিক করুন

    কাতার কত বর্গ কিলোমিটার- কাতারের ইতিহাস-কাতার আয়তন ও অবস্থান



    মরিশাস দেশ কোথায়-মরিশাস দেশ পরিচিতি এবং অজানা তথ্য জানতে ক্লিক করুন

    নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

    মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

    কাতার কত বর্গ কিলোমিটার- কাতারের ইতিহাস-কাতার আয়তন ও অবস্থান


    কাতার ১১,৪৩৭ বর্গ কিলোমিটার এবং আকাতের আয়তন ৪,৪১৬ বর্গ মাইল।কাতার পারস্য উপসাগরের একটি দেশ কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরবের পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহারাইন অবস্থিত ।কাতারের আয়তন মাত্র সাড়ে 11 হাজার বর্গকিলোমিটার। আয়তনের বিচারে বাংলাদেশ কাতারে চেয়ে প্রায় 13 গুন বড় ।

    কাতার কোন মহাদেশে অবস্থিত

    কাতরা এশিয়া মাহাদেশে অবস্থিত। এই পোষ্টে কাতার সম্পর্কে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে দেখুন।


    কাতার জনসংখ্যা কত

    কাতারের জনসংখ্যা 30 লাখ এরকম। এর মধ্যে মাত্র তিন লক্ষ লোক কাতারের নাগরিক এবং বাকি সবাই প্রবাসী ।মোট জনসংখ্যার মাত্র 14 শতাংশ এই দেশের স্থানীয় বাসিন্দা আর বাকি 84% চাকরির জন্য এসেছে এ দেশে কাতারে ।


    কাতারে জনসংখ্যায় নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি এ দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র 7 লাখের  কম।


    কাতারের রাজধানীর নাম কি

     

    কাতারের রাজধানী নাম  হচ্ছে দোহা। এ দেশের বেশিরভাগ লোক শহরের বিশেষত্ব রাজধানী দোহা বসবাস করে। দোহায়   অবস্থিত দ্য এম্পায়ার টাওয়ারে কাতারের  সবচেয়ে উচু বিল্ডিং ।


    কাতারের মুদ্রার নাম 

    কাতারের মুদ্রার নাম হচ্ছে রিয়াল কাতারি রিয়াল বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 23 টাকা সমান।


    কাতারের ভাষা

    কাতারের রাষ্ট্রীয়ভাবে সহজে আরবি এবং এই দেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে । 


    কাতার অর্থনীতি

    কাতারের নাগরিকদের মাথাপিছু আয়ের প্রায় 1 কোটি 15 লক্ষ টাকা যা বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এর 71 গুণ বেশি অতীতে কাতারের অর্থনীতি ছিল মাছ ধরা এবং মুক্তা শিকার উপর নির্ভরশীল 920 সালে জাপানে চাষ করা মুক্তার কারনে । কাতারি মুক্তা শিল্প ধ্বংস হয়ে যায় তারপরও দরিদ্র এই দেশটির ভাগ্যের চাকা বদলে যায় অভাবনীয় উপায় ।

    প্রচুর  তেল ও গ্যাসের মজুদ থাকা দেশ কাতার পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মাথাপিছু আয়দেশ ও।  গত বছর এক জরিপে দেখা গেছে কাতারের মাথাপিছু আয়ের প্রায় 1 লাখ 30 হাজার ডলার। যা দুই নম্বরে থাকা ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ থেকে 20,000 ডলার বেশি ।


    গত এক দশকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের প্রচুর সম্পদ কিনেছে কাতার। কয়েক মাস আগে কাতারের অর্থমন্ত্রী বিবিসিকে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ 45 থেকে 100 বিলিয়ন ডলারের মত ।শুধু তাই নয় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও 5 বিলিয়ন পাউন্ড এর মত সম্পর্ক করার ইচ্ছা রয়েছে দেশটির ।


     কাতারের সম্পদ বন্টনের অসামঞ্জস্য দেশটির সাবেক আমির শেখ হামাদ বিন খলিফার খানের সম্পদের পরিমাণ 2.4 মিলিয়ন ডলার কিন্তু কাতারে একজন অভিবাসী শ্রমিকের মাসিক আয় 350 ডলার কাতারের মানুষদের কোনরকম ট্যাক্স দিতে হয় না এই দেশের 1 শতাংশেরও কম মানুষ বেকার কাবিলের বোন চিত্রকর্মের জন্য বছরে এক বিলিয়ন ডলারের মতো ব্যয় করেছে বলে জানা যায় ।


    বিশ্বের ইসলামপন্থীদের প্রথম মানসম্পন্ন টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা কিন্তু কাতারের ।প্রতিষ্ঠান করা সর্বশেষ ক্রুসেড সিরিজ বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছে।  এছাড়া খেলাধুলা জনপ্রিয় চ্যানেল  বি এন ও  তাদের ।


    ফুটবল ক্লাব Paris নামটি  অবশ্য আপনারা জানেন ।এই ক্লাবটি  মালিক ও কাতার। কাতরে  2022 ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে।


    কাতরের বিমান বন্দন

    বর্তমানে বিশ্বের কাতার এয়ারওয়েজ বিমান ভ্রমণের জন্য শ্রেষ্ঠ এয়ারলাইন্স হামাদ  আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি 2014 সালে তৈরি হয়েছিল ।প্রতিবছর প্রায় 50 মিলিয়ন যাত্রীকে পরিচালনা করার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানবন্দরটি আহামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের নবম  বৃহত্তম।


    কাতার  বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় যার অন্যতম প্রধান কারণ এই দেশে কোন বনভূমি নেই বিশ্বের কোন বনভূমি নেই এইরকম দেশের সংখ্যা মোট চারটি যার বাকি তিনটি দেশ হল সানমারিনো গ্রীনল্যান্ড এবং ওমান ।


    কারের রানা খাবার

    কাতার পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। ঐতিহ্যবাহী খাবার ভারতীয় এবং বিরানী রান্না দ্বারা প্রভাবিত ।কাতারি স্পেশাল দেশগুলির মধ্যে রয়েছে গুঁজি, মোটা বেল ,বিরিয়ানি এবং হুমুচ।


     কাতারে পাহার 

    কাতারে কোন পাহাড় নেই এদেশের উচ্চতা মাত্র 28 মিটার 


    কাতারের খনিজ সম্পদ 

    মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো কাতার ও তার মাটির নিচের খনিজ সম্পদের কারণে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে তবে কাতার তার প্রতিবেশীদের মত শুধু তাই নয় সেই সাথে পেয়েছে । প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি পৃথিবীর অন্যতম এই ক্ষুদ্র দেশের বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে এসব খনিজ সম্পদ থেকে লাভবান হতে পারেন বেশ খানিকটা সময় লেগে যায় ।


    কাতার  ধনী হওয়া কারন-কাতারের  ইতিহাস

    কাতরের কখন তেলের খনি আবিষ্কিত হয়

     ১৯৪০  সালে কাতারের সর্বপ্রথম তেলের খনি আবিষ্কৃত হয় ।ষাটের দশক পর্যন্ত দেশটির খনিজ সম্পদ বিদেশিদের দ্বারা শোষিত হতে থাকে। তখনও পর্যন্ত কাতারি জনগণের জীবনে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি  1 970 সালের সেল কম্পানি কাতারের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি আবিষ্কার করে ।


    কাতেররে সবয়ে বড়  গ্যসের খনি  নাম - পৃথিবর সচেয়ে বড় গ্যরে খনির নাম

    কাতেররে সবয়ে বড় খনিজ গ্যাসের  নাম  দ্যা নর্থ ফিল্ড।  1970 সালে সেল কম্পানি কাতারের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি আবিষ্কার করেন এই খনির নাম  দ্যা নর্থ ফিল্ড।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘাসের খনির নাম দ্যা নর্থ ফিল্ড। 

    দ্যা নর্থ ফিল্ড  এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্যাসের খনি। যে সময় কাতারে এই খনি আবিষ্কার হয়েছে সে সময়ে প্রাকৃতিক গ্যাস মোটেও লাভজনক ব্যবসা ছিল না ।কারণ সে সময় গ্যাস  শুধুমাত্র পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করার ব্যবস্থা ছিল আর কাতার ।

    এমন এক দুর্গম জায়গায় অবস্থিত যে সেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে চাহিদা সম্পন্ন কোন জায়গায় গ্যাস পৌঁছানো ছিল অনেকটাই অসম্ভব ।


    সে কারণেই এত বিপুল সম্পদ থাকার পরও নব্বই দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত কাতারের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।


    কাতারের সাকার বা শাসক

    কাতারের আল থানী  রাজপরিবার দেড়শ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার শাসন করে আসছে ।কাতার শীর্ষ ধনীদেশ পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে সাবেক আমীর আহমদ বিন খলিফা আল থানী।


    তিনি 1995 সালে তার পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে কাতারের রাজ ক্ষমতা ছিনিয়ে নেন।হামাদ বিনখলিফার মূল লক্ষ্য ছিল কাতারের প্রাকৃতিক গ্যাসের মধ্যে কাজে লাগানো তিনি আমির হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবহনের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেন ।


    এই পদ্ধতির নাম  লিকুই ফ্যকশন বা  তরলীকরণ ।এই প্রক্রিয়ায় তরলীকৃত গ্যাস বড় বড় জাহাজের তেলের মতো পরিবহন করা যায়। গ্যাসকে তরলে পরিণত করার পর -161 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় ।কাতারের মত উষ্ণ এলাকায় এই তাপমাত্রা ধরে রাখাটা খুব একটা সহজ কাজ নয় ।


    পরবর্তীতে কাতার কর্তৃপক্ষ এই প্রযুক্তিতে আরো বিপুল অর্থায়নের ফলে তাদের উৎপাদন বহুগুণে বেড়ে যায় সেই বিনিয়োগের কারণেই কাতার বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস এলএনজি রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয় ।


    কাতারের গ্যাসক্ষেত্র গুলোতে বিশাল বিশাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স গড়ে তোলার কারণে এখানে গ্যাস উত্তোলন এবং তরলীকরনে পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় কম খরচ হয়। কাতারের একটি তরলের গ্যাসের ট্যাংক ভরর্তি করতে যে পরিমান খরচ হয় ।আমেরিকায় তার উৎপাদন খরচ প্রায় চারগুণ বেশি ।


    কাতার ধনি হওয়ার কারন

    সস্তায় বিপুল পরিমাণ তরল গ্যাস বা এলএনজি রপ্তানির কারণেই কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের খেতাব অর্জন করতে পেরেছে ।


    খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে গেলে কাতারের অর্থনীতি যাতে ভেঙে না পড়ে সেজন্য তৎকালীন আমির হামজা দিন খলিফা আরো একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।   তিনি 2005 সালে কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন কাতারের অর্থনীতিকে বহুমুখী করার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান সারা পৃথিবীতে বিনিয়োগ করে ।


    কাতার ইনভেসমেন্ট অথরিটি চল্লিশটির ও বেশি দেশে 400 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে সিঙ্গাপুর থেকে সিলিকন ভ্যালি কোন জায়গা ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির তালিকা থেকে বাদ পড়েনি লন্ডন শহরে ইংল্যান্ডের রানীর চেয়েও বেশি সম্পদ আছে তাড়াতাড়ি ইনভেস্টমেন্ট যে সব সম্পদের মধ্যে রয়েছে অফিস বিল্ডিং হোটেল অ্যাপার্টমেন্ট সহ নানা ধরনের রিয়েল এস্টেট প্রজেক্ট।


    লন্ডন শহরের শীর্ষ 15 টি আকাশচুম্বী অট্টালিকা 34% শতাংস মালিকান কাতর। অথচ যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত মালিকানায় রয়েছে মাত্র 21% এখানেই শেষ নয় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে 20 শতাংশের মালিক কাতার ইনভেসমেন্ট  অথরেটি। তার রাজিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ এয়ারপোর্টে 25 শতাংশের মালিক ।


    2016 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ সর্বোচ্চ অফিস ইনভেস্টর হয়েছে কাকার ।শুধুমাত্র  নিউইয়র্ক প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটান এই পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ। তাকাতার  ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি বিশ্বের বিখ্যাত বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার ।


     ভক্সওয়াগন ,বার্কলেস ব্যাংক, শেল ওভার, আইড্রলজি, ট্রি ফানিয়ান কো এমনকি রাশিয়ার সরকারি তেল কোম্পানি rosnert আছে এই তালিকায় ।


    কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি ইতালিয়ান লাক্সারি পেইন্ট ভ্যালেন্টিনো কিনে দিয়েছে। এরপর 2011 সালে তারা  কেনে ফ্রান্সের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই ।

    ধনী হবার পাশাপাশি বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করা ও কাতারের অন্যতম উদ্দেশ্য। বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের মনোজগতের উপনিবেশ গড়ে তুলতে গণমাধ্যম এর কোন বিকল্প নেই বিশ্ব জনমত গঠনে জোরালো ভূমিকা রাখতে কাতার সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক ।

    কাতর মিডিয়া নেটওয়ার্ক

     সারা পৃথিবী জুড়ে আল-জাজিরার প্রায় 80 টিরও বেশি নিউজ  বিউরো রয়েছে। বিবিসির পরে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ।


    কাতারি মালিকানাধীন আরো একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হল bein media group .এই গ্রুপের অধীনে খেলা এবং বিনোদনভিত্তিক 60 চ্যানেল আছে ।যা বিশ্বের 43 টি দেশের সাতটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় সম্প্রচারিত হয় ।আমেরিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিরা max ,কিনে নেয় কাতারি মালিকানাধীন  bein media group ।


    2003 সালে সৌদি আরব থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করার সাথে সাথেই কাতার নিজ উদ্যোগেই কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে আমেরিকান সেনাদের জন্য ঘাঁটি নির্মাণ করে।  কাতারে অবস্থিত দুটি প্রায় 11 হাজার আমেরিকান সেনা নিয়োজিত রয়েছে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে তুরস্ক এবং ইরানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে কাতার ।


     ক্ষুদ্র এই দেশটির বৈশ্বিক প্রভাব কমাতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করা হলেও তাতে কাতারের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।বরং কাতারের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে একদিকে কাতারের রাজপরিবার তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছে অন্যদিকে সৌদি শাসকগোষ্ঠী বিনিয়োগে বিলাসিতায় বেশি আগ্রহী ।


    বেপরোয়া বিলাসী জীবন যাপন আর বেহিসেবি অর্থের অপচয় সৌদি রাজপরিবারের প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ নেই বললেই চলে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী পরিবার  ।


    আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এই পোষ্ট সম্পর্কে এই পোস্টে কাতারের অনেক তথ্য দেয়া হয়েছে যা আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে বর্ণনা করা হয়েছে আশা করি এখানে কাতারের উন্নত মানের তথ্যগুলো দেয়া হয়েছে যা আপনার জানার ফলে উন্নতি সাধন হয়েছে।


     এই পোস্টে প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্য মূলক পোস্ট করা হয় এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই এই ওয়েবসাইট এর সঙ্গেই থাকুন তাহলে প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন তথ্যমূলক পোষ্ট আপনারা পেয়ে যাবেন এই ওয়েবসাইট থেকে।


    এই ওয়েবসাইটে আরো পূর্বে আরো তথ্যমূলক পোস্ট করা হয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন সেগুলো দেখলে আপনাদের অবশ্যই উপকারে আসবে আশা করা যায়। 


    LikeYourComment