কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয় -কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন আজকে আলোচনা করব কিসমিস কিভাবে কি করতে হয় এবং কি ঘরোয়া নিয়মে কিভাবে কিসমিস তৈরি হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব এবং আলোচনা করব কিভাবে কিচমিচ তৈরি করে থাকেন আপনার মনোযোগ সহকারে পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ,
অন্য বিষয়
থাইরয়েড টেস্ট রিপোর্ট জানতে ক্লিক করুন
কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার নাম কি এবং কুয়েতের টাকার ছবি জানতে ক্লিক করুন
চোখের জন্য কোন লেন্স ভালো জানতে ক্লিক করুন
মেয়েদের ডান চোখ লাফালে কি হয় এবং ইসমাকি ভাবে কি তা জানতে ক্লিক করুন
কিচমিচ কিভাবে তৈরি হয়
কিসমিস তৈরি করা হয় গরম পানিতে সিদ্ধ করে এরপর রোদে শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করতে হয় ।আঙ্গুর শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। দুটি উপকরণ দিয়ে এই বাড়িতেই কিসমিস তৈরি করা যায়। আপনি যে পরিমাণ আঙ্গুর দিয়ে কিসমিস তৈরি করতে চান সেই পরিমাণ আঙ্গুর নিয়ে নিন ।এরপর আপনি আঙ্গুলগুলোর বোটা ছাড়িয়েছিল এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
চেষ্টা করবেন সবসময় পাকা ধরনের আঙ্গুর কিনতে যে আঙ্গুর এর কালার হলুদ হয়েছেন। কাঁচা আঙ্গুর দিও কিসমিস তৈরি করা যায় কিন্তু কিসমিস ততটাই মিষ্টি হয় না পাকা আঙ্গুরের তুলনায় এবং গুণগত মান ভালো থাকে পাকা আঙ্গুরে। পাকা আম খেতে সুস্বাদু হয়ে থাকে মিষ্টি ।
যেকোনো ধরনের আঙ্গুর দিয়ে কি কিসমিস তৈরি করা যায়। তবে সর্বদা পাকা আঙ্গুর আর কিসমিস খেতে সর্বদা টেস্ট হয়।
কিসমিস তৈরি করার জন্য প্রথম একটি পাত্র নিয়ে নিন এবং সেখানে পরিমাণমতো পানি নিয়ে নিন। পানির পরিমাণ নিতে পারেন উদাহরণ হিসেবে 500 গ্রাম কিসমিসে 1 লিটার পানি।
এরপর পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিন ফুটো নেওয়া হয়ে গেলে ফুটন্ত পানির উপর আঙ্গুল গুলো ছেড়ে দিন ।আঙ্গুলগুলো ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দেয়ার পর এইভাবে আপনি 6 মিনিট রেখে দিন। এবং আঙ্গুর গুলো নাড়াচাড়া করতে থাকুন যাতে আঙ্গুলগুলো তলানীতে না লেগে যায়।
6 মিনিট আঙ্গুর ফুটন্ত পানিতে তাপ দেওয়ার পর দেখতে পারবেন আঙুরগুলো ভেসে উঠেছে। যখনই দেখবেন আপনি যে আঙুলগুলো ফুটন্ত পানিতে দেওয়ার পর কিছুক্ষণ পর আঙুল গুলো ভেসে উঠেছে তখনই ভেবে নিবেন আঙ্গুলগুলো তৈরি হয়ে গিয়েছে কিসমিস খাওয়ার জন্য।
যখনই দেখতে পারবেন আঙ্গুলগুলো ভেসে উঠেছে তখনই তাপ দেওয়া ছেড়ে দিন ।আঙ্গুলগুলোকে একটি জালিতে মধ্যে তুলে নেবেন যাতে আঙ্গুর থেকে পানি গুলো ঝরে যেতে পারে । অবশ্যই এমন ভাবে আঙুল গুলো ঝরিয়ে নিতে হবে যাতে আঙ্গুরের গায়ে কোন পানি না থাকে।
আঙ্গুলগুলো জড়িয়ে নেয়ার পর আপনারা একটি জালির উপর আঙুলগুলো ছড়িয়ে দিবেন। এরপর আপনারা শুকানোর জন্য আঙুলগুলো রোদে রেখে দিন। এরপর আঙুলগুলো দুদিন রোদে শুকিয়ে নিন।
দু'দিনের মধ্যেই দেখবেন আপনার কিসমিস তৈরি হয়ে গেছে আঙ্গুর থেকে। আশা করতে পারি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিসমিস তৈরি করার নিয়ম এবং আপনারা তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে কিসমিস।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসের পানি খেলে লিভারের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।এখন কি আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে কিসমিস এর পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকা পরিমাণ বৃদ্ধি করে কিসমিস। কিসমিসের সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় রাতের বেলায় কিসমিস ভিজিয়ে সকালবেলায় কিসমিসের পানি সহ কিসমিস খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
কিসমিসে যে গুণাগুণ থাকে সেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনাদের এটা মাথায় রাখতে হবে কিসমিস একটি খাবার কোন ধরনের ওষুধ নয় কিন্তু এটি একটি উপকারী খাবার এবং বিশাল উপকারী খাবার। কিসমিস কে এমন ভাবা যাবে না যে আমরা কিসমিস খাব আর রোগ ভালো হয়ে যাবে।
কেন কিসমিস খাব
কিসমিস খাবো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য।আমাদের উপকারের জন্য এবং আমরা সুস্থ থাকার জন্য কিসমিস খাব ।কিসমিসের ভিতর অনেক ধরনের গুণ রয়েছে যেমন আয়রন, কার্বোহাইড্রেট ,ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ,খনিজ
আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস,পলিফেনলস , ফাইবার আরো বেশ কয়েকটি উপাদান থাকে কিসমিস এর ভিতর এবং এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
কিসমিস খেলে কি উপকার পাওয়া যায়
কিসমিস শরীরের শক্তি বাড়ায় রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে। চুল ভালো হয় হাড়ের স্বাস্থ্য বর্ধক হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সুস্থভাবে ওজন বাড়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।কিসমিস হার্টের জন্য ভালো ।
অনেকেই আছেন বাজার থেকে ভিটামিন-কে নাকান কিন্তু ভিটামিন কেন কিনে খান দুর্বলতার জন্য তাই নয়। কিসমিস কিন্তু আমাদের শরীরের দুর্বলতা দূর করে ।এবং কি কিসমিস সেক্সের জন্য অনেক ভালো কাজ করে ।যাদের আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা রয়েছে মায়েরা বা বাচ্চা রয়েছে তাদের জন্য কিসমিস অনেক উপকারী কারণ এটি রক্ত বৃদ্ধি করে।
রক্ত বৃদ্ধি থেকে কিসমিস
রক্তশূন্যতার জন্য কিসমিস অনেক ভালো কাজ করে কারণ কিসমিসে প্রচুর আয়রন রয়েছেন এর জন্য যাদের রক্ত শূন্যতা রয়েছে তারা কিসমিস গ্রহণ করতে পারেন। কিসমিস রক্তের কণিকা বৃদ্ধি করে প্রচুর পরিমাণে।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম হলো150 গ্রাম কিসমিস নিয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখব এবং সকাল বেলা খালি পেটে কিসমিস পানি খেয়ে ফেলবো। এটা হচ্ছে খাওয়ার নিয়ম প্রতিদিন না হলে সপ্তাহে তিনদিন খাওয়া যায়। এভাবে যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি উপকারী হবেন আশা করা যায়।
কিসমিস ভেজানো পানি খাওয়ার পর অবশিষ্ট কিসমিস কি ফেলে দিব না ফেলে দেওয়ার দরকার নেই অবশিষ্ট কিসমিস গুলো নাস্তা হিসেবে খেয়ে ফেলবেন। যেহেতু পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে কিসমিস নষ্ট হয় না তো আপনারা খেয়ে ফেলবেন।
কিসমিসের পানি কিডনির জন্য ভালো অসুস্থ কিডনি রোগীর জন্য নয় সুস্থ মানুষের জন্য ভালো কিসমিসের পানি কিডনির জন্য । অবশ্যই মনে রাখবেন কিসমিসের পানি কিডনি রোগের জন্য নয় মানে বোঝানো হচ্ছে কিডনি রোগের জন্য কিসমিস শেফা হিসেবে কাজ করবে না কিন্তু সুস্থ মানুষের জন্য কিসমিসের পানি খেলে কিডনি জন্য অনেক উপকার রয়েছে কিডনি ভালো থাকবে।
কিসমিসের উপকারিতা
কিসমিস সুস্থ মানুষের জন্য উপকারী কিসমিস আপনার রক্তশূন্যতা দূর করবে আপনার হার্ট কে ভালো রাখবে আপনার লিভার ভালো রাখবে আপনার যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এর জন্য সুস্থ মানুষ সঠিক নিয়মে কিসমিস খেলে তার জন্য ভালো কিছু উপকারিতা রয়েছে এবং সে অবশ্যই কিসমিস খাওয়ার ফলে উপকার পাবে।
কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে কারণ কিসমিস খাওয়ার ফলে গ্লুকোজ বৃদ্ধি পায় যার কারনে শক্তি বৃদ্ধি পায়। এবং কিসমিসে কিছু উপাদান রয়েছে যা হার্ট ভালো রাখে। কিসমিস আপনার এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে।
কিসমিস নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন কিসমিস এর সঙ্গে দুধ মিলিয়ে খেলে কি হবে? কিসমিস একসঙ্গে যদি আমি খেজুর মিলিয়ে খায় তাহলে কি হবে?কিসমিসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কি হবে?
উত্তর:আপনি সব খেতে পারবেন কোন সমস্যা নাই কিসমিসের সঙ্গে আপনি সবই খেতে পারবেন। কিসমিস কোনো অসুখ নয় যে আপনি কোনো কিছুর সঙ্গে মিশে গেলে সমস্যা হবে যেহেতু এগুলো আমাদের খাবার তো আপনি যেকোন খাবারের সঙ্গে মিক্স করে খেতে পারেন অবশ্যই আপনার উপকার করবে।
বিষয় কিন্তু এরকম নয় যে আপনার রোগ হয়েছে আপনি এক কেজি কিসমিস খেয়ে ফেললেন আপনার রোগ ভালো হয়ে যাবে এরকম কিন্তু বিষয় নয়। বিষয়টা হচ্ছে এরকম যে আপনি সুস্থ অবস্থায় কিসমিস সেবন করতেছেন তো আপনাকে কিসমিস সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
কিসমিস শুধু যে এ ধরনের উপকার করে তা নয় আরো অনেক ধরনের ফল রয়েছে যেগুলো আপনার এই ধরনের উপকার করে থাকে এখানে বলা হয়েছে যে কিসমিস আপনার যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং শুক্রাণু বৃদ্ধি করবে ।
এর মানে হয় না যে আপনার এগুলা কমে গিয়েছে তখন আপনার বেড়ে যাবে বিষয়টা এরকম না কোন সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তবে এই ফলগুলো আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
কিসমিস যে একটি বিষয়ের উপর কাজ করে এমন নয় অনেক বিষয়ের উপর কাজ করে আমাদের শরীরে। কিসমিসের উপকারিতা কিসমিসে আয়রন রয়েছে ক্যালসিয়াম রয়েছে আরো নানা ধরনের উপাদান রয়েছে এর জন্য কিসমিস আপনি খেলে নানা ধরনের উপকার পাবেন অবশ্যই কিসমিস আপনার জন্য এবং আপনার সুস্থতার জন্য উপকারিতা।
আশা করি আপনারা কিসমিস সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে কিসমিস তৈরি করতে হয় এবং আলোচনা করা হয়েছে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ।
এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্য পুরনো পোস্ট করা হয়ে থাকে এ ধরনের তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন এই ওয়েবসাইটে পূর্বে আরো পোষ্ট রয়েছে তথ্যমূলক সেগুলো দেখতে পারেন যা আপনার অবশ্যই কল্যাণ বয়ে আনবে।