পাকচং ঘাস চাষ পদ্ধতি-পারা ঘাস চাষ পদ্ধতি-নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধিতি

পাকচং ঘাস চাষ পদ্ধতি-পারা ঘাস চাষ পদ্ধতি-নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধিতি

     আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন আজকে আলোচনা করব ঘাস চাষ করার নিয়ম নিয়ে এই পোষ্টে দেওয়া থাকবে নানা ধরনের ঘাস চাষ পদ্ধতি তো আপনারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে দেখবেন তাহলে জানতে পারবেন অনেক ধরনের ঘাস সম্পর্কে এবং আপনি নির্বাচন করে নিতে পারবেন আপনার জন্য কোনটা প্রযোজ্য 


    অনেকেই মনে করেন ঘাসের জগতে এই ঘাসের থেকে ওই ঘাস সেরা এটা আসলে ভুল।ঘাস যখন চাষ করবেন যদি আপনার মাটির উর্বরতা থাকে এবং সেখানে যদি আপনি সার, গোবর সার  সঠিক পরিমাণে দিতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো ঘাস পাওয়ার আশা করা যায়।উর্বর জমিতে ঘাস চাষ করলে আপনি সব জাতের ঘাস থেকে ভালো ফলন আশা করতেই পারেন এটাই স্বাভাবিক। 


    বর্তমানে সবচাইতে ভালো ঘাস জারা জাতের ঘাস অনেকেই বলে থাকেন  । জারা ঘাস চাষ পদ্ধিতি নিম্নে আলচনা করা হয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে পাকচং,হাই সুপার হাইব্রিড,সি এন সি 4 ,  উৎপাদন দিকে এই তিন জাতের ঘাস প্রায় সমান সমান।কিন্তু সব চাইতে জোরা ঘাসের মধ্যে প্রোটিন ও পুষ্টিগুণ বেশি রয়েছে। 


    প্রোটিনের দিক দিয়ে জারা ঘাস সবচেয়ে বেশি যেমন: পাকচং প্রোটিনে  রয়েছে 9.5 ,লাল পাকচং প্রোটিন 16.73 এবং জারা ঘারে প্রোটিন রয়েছে 20 থেকে ২৫ % জারা ঘাস চিন থেকে আনা হয়েছ।


    প্রোটিনের দিক দিয়ে জারা ঘাস  এগিয়ে থাকলেও   উৎপাদনের দিক দিয়ে  এগিয়ে নেই তেমন। বর্তমান সময়ে পাকচং ঘাস সবচাইতে বেশি ফলনশীল হয়ে থাকে। এবং বর্তমানে    সুপার হাইব্রিড সবচেয়ে বেশি ফলনশীল ঘাস। 


    অনেকে মনে করেন বেশি প্রোটিন ঘাস ভালো কম  প্রোটিন ভালো না আসলে ভুল ধারণা আমি বলব যে গবাদি পশুর জন্য  কাঁচা ঘাস সর্বোচ্চ। যখন আপনি গবাদিপশুকে কাঁচা ঘাস দিবেন তাহলে গবাদিপশুর প্রোটিনের ভাগ এবং খাদ্যের অভাব পূরণ হয়ে যাবে। 

    অন্য বিষয়

    ছাগলের জন্য কোন ঘাস ভালো-,ঘাস চাষ পদ্ধতি ,গরু ঘাস চাষ,20 থেকে 30 টা ছাগলে কতটুকু ঘাস চাষ করা প্রয়োজন,পানির ঘাস চাষ পদ্ধতি,জার্মান ঘাস চাষ পদ্ধতি, দশটি গরুর জন্য কতটুকু ঘাস চাষ করব,নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি জানতে ক্লিক করুন

    রাম ছাগলের বাচ্চার দাম,কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি,ছাগলের বৈশিষ্ট জান্ততে ক্লিক করুন

    পাকচং ঘাস চাষ পদ্ধতি,পারা ঘাস চাষ পদ্ধতি,নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধিতি



    অনলাইনের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ(yyy mm dd) দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই এবং জন্ম নিবন্ধন অনলাইনের কপি ডাউনলোড জানতে ক্লিক করুন

    কয়েল পাইপের দাম জানতে ক্লিক করুন

    মটরের পাইপের দাম- এবং বিভিন্ন সাইচের পাইপের দাম জানতে ক্লিক করুন

    পাকচং ঘাস চাষ পদ্ধতি

    পাকচং ঘাস চাষ করার পদ্ধতি  ঘাস চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম জমি প্রস্তুত করতে হবে এবং জমিতে  3 থেকে চারটি চাষ দিতে হবে। এবং জমিতে ইউরিয়া সার সহ গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে  এরপর জমিতে কাটিং লাগাতে হবে। জমিতে দুই জোটের কাটিং  লাগাবেন আপনারা।


     2গিটের কাটিং এমনভাবে জমিতে লাগাবেন যাতে দু'পাশেই মাটির সঙ্গে স্পর্শ থাকে এবং কাটিংগুলো মাটির এক ইঞ্চি নিচে পুঁতে দিবেন। এবং আগাছা পরিষ্কার করে রাখবেন তাহলে আপনি ভালো গাছের ফলন আশা করতে পারেন।

     

     ঘাস ফলন বেশি হওয়ার উপায় 

    ঘাস ভালো ফলন আশা করা যায় যদি আপনার জমির আগাছা মুক্ত থাকে। ভালো ঘাস উৎপাদন করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার জমি আগাছামুক্ত।  এবংসমতল ভূমিতে  ঘাস রোপন করা। এবং ঘাস কাটি সঠিকভাবে এবং সুন্দরভাবে করা। দুইটি কাটিং করে  গিট বা   কান্ড নেবেন।



    অনেকেই কাটিং ঘাস লম্বালম্বিভাবে রোপন করে থাকে যার ফলে ঘাস কম হয় এবং না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘাস রোপন করার নিয়ম হচ্ছে মাটির সাথে লাগিয়ে দেওয়া সমতলভূমি উপড়ে ফেলে দেওয়ার মতো  বিষয়টা।   যেমন একটা লাঠি মাটিতে ফেলে দিলে সমতল অবস্থায় থাকে ঠিক একইভাবে কাটিং ঘাস রোপন করতে হয় তবে ঘাস এর ক্ষেত্রে একটু মাটিতে  ঢুকিয়ে দেওয়া।


    অর্থাৎ 45 ডিগ্রি এঙ্গেলে কাটিং ঘাস রোপন করতে হবে। যার মানে দাঁড়ায় যেন নিচের গিট বাকান্ড এবং উপরের গিট মাটির সঙ্গে স্পর্শ হয়।তাহলে দেখা যায় নিচের দিক থেকেও অনেক সময় কুশি বের হয় এবং উপরের দিক থেকে কুশি ফেটে ফেটে বের হবে।এমন ভাবে  ঘাস রোপন করতে হবে যাতে দুপাই মাটির সাথে স্পষ্ট হয়। 


    ভালো ভাবে যদি আপনি কাটিং চারা রোপণ করতে পারেন তাহলে অনায়াসে 60থেকে 50 টি ঘাস একসাথে পাওয়ার আশা করতে পারেন। প্রত্যেকটি ঘাসের আপনি এ ধরনের ভালো মানের ঘাস উৎপাদন করতে পারবেন যদি কাটে ঘাস সঠিক ভাবে লাগাতে পারেন এবং উর্বর জমি তার সাথে সার এবং গোবর সার ব্যবহার করতে পারেন পরিমাণমতো। এবং  সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

    পাকচং ঘাস অনেক ভালমানের উৎপাদনশীল ঘাস । এবং পাকচং ঘাস বাংলাদেশের খামারিদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। দেখা যায় গরু পালন বা ছাগল পালন বা গাড়ল পালন বা মহিষ পালন দেখা যায় সকলেই বেশিরভাগ পাকচং ঘাস উৎপাদন করে থাকেন। বর্তমানে জলাবদ্ধ এলাকায় পানির ঘাস  উৎপাদন বেড়েছে  পানির অনেক ভালমানের উৎপাদন হয়ে থাকে।



    জারা ঘাস   চাষ  পদ্ধিতি


    জারা ঘাস চাষ পদ্ধতি জারা ঘাস চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে জমি প্রস্তুত করতে হবে। জমি প্রস্তুত করার জন্য সর্বপ্রথম ভালো পাওয়ার টিলার দিয়ে আপনাকে তিন থেকে চারটি চাষ দিতে হবে জমিতে।ভালো করে চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে ভালো মানের ফলন পাওয়ার জন্য।

    এবং এর সাথে গোবর সার ব্যবহার করতে হবে মনে রাখতে হবে এর সাথে কাঁচা কবর দেওয়া যাবেনা।শুকনো খাবার মাটির সাথে মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করতে হবে।এরপর জমি চাষ দেয়ার পর জমি পাঁচ থেকে সাত দিন রোদ্দুরে শুকাবো। রোদে থাকার কারণে জমিতে থাকা জীবাণু নষ্ট হয়ে যাবে।এবং পাঁচ সাতদিন পর আপনার জন্য ঘাস লাগানোর উপযুক্ত হয়ে যাবে।

    ঘাস লাগানোর নিয়ম
    ঘাস লাগানোর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি শুতা বা ধরি ব্যবস্থা করতে হবে।এটি দিয়ে  আপনারা লাইন সোজা করে নিতে পারবেন। যারা ঘাসের বীজ সংগ্রহ করা যায় না এর জন্য। সুতা  লাগানো হয়ে গেলে আপনারা সতা বরাবর যারা ঘাসের কাটিং   রোপন করবেন।

     কাটিং লাগানোর নিয়ম
     কাটিং ঘাস  একগিটের   এবং দুই গিঁটের হয়।অনেকে বলে থাকেন এক গিটের কাটিং ঘাস ভালো হয়ে থাকে এবং সুস্বাস্থ্য ঘাস হয়ে থাকে। ভালো মানের কাটিং এক মাস পর্যন্ত রাখা যায় কাটিং করে। তবে বেশিদিন কাটিং রাখার জন্য অবশ্যই ভালো মানের কাটিং হতে হবে।

    তবে কাটিং লাগানো সবচেয়ে ভালো হয় দ্রুত লাগানো। কাটিং অবস্থায় তারা হয়ে যাওয়া  কাটিং অবস্থায় ছাড়া হয়ে গেলে কিভাবে লাগাবেন কাটিং গুলো জানুন।কাটিং তিন ধরনের হয়ে থাকে এক গিটের কাটিং দুই গিটের কাটিং এবং চারা অবস্থায় কাটিং। 

    এক গিটের কাটিং লাগারো নিয়ম । কাটিং এর যে চোখ থাকে তা  মাটির উপর দিকে লাকবেন। কাটিং মাটির এক ইঞ্চি নিচে লাগাবেন। এবং দুই গিটের কাটিং এর চোখ মাটির উরের দিকে লাগাবেন এবং মানিট ১ ইঞ্চি নিচে লাগাবেন। এক সাতে দুটা কাটিং লাগাতে পারেন দুই এক সাথে টাকিং লাগালে এর মাঝখানে ২ ইঞ্চি  ফাকা রাখবেন  ।  দুই কাটিং লাগাবেন এক গিটের ক্ষেত্রে । 

    চারা যুক্ত কাটিং  এমন ভাবে পুতে দিতে হবে যাতে চার ভেঙ্গে না যায়। যে কোনো ধরনের কাটিং মাটির এক ইঞ্চি নিচে লাগাতে হবে। 

    ২ গিটের কাটিং লাগানোর নিয়ম হচ্ছে মাটির সাথে সমান্তরালভাবে লাগাবেন যাতে মাটিতে দুই গিট মাটির সঙ্গে স্পর্শ থাকে।কাটিং গুলো এক থেকে দেড় ফিট দূরত্ব লাগাবেন এবং। দুটি লাইনের মাঝে দের ফিট  জায়গা ফাঁকা রাখবেন । 

     জারা মানের দিক থেকে এবং পুষ্টিমানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে যে ঘাস সেই ঘাসের নাম হল জারা  ঘাস । জারা লাগানোর 35 থেকে 40 দিনের মাথায় কিন্তু আপনারা কেটে খাওয়াতে পারবেন এই ঘাসের কাটিং বছরের যে কোন মাসে যে কোন ঋতুতে আপনারা লাগাতে পারেন ।

    আপনারা জানেন বর্তমানে বাংলাদেশের ঘাসের মধ্যে যে কয়েক প্রজাতির ঘাস রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে ফলনের দিক থেকে এবং পুষ্টিমানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে যে ঘাস সেই নাম হল জারা ঘাস ।জারা ঘাস আপনারা যখন চাষ করবেন তখন নিশ্চয় বুঝতে পারবেন এই ঘাসের কতটুকু ভালো । 


    পারা ঘাস চাষ পদ্ধতি


    পারা ঘাস চাষ পদ্ধতি   পারা ঘাস  চাষ করার আগে অবশ্যই আপনাদের জমি নির্বাচন করে নিতে হবে। পারা ঘাস চাষ জমি  নির্বাচনের ক্ষেত্রে  পানি দ্বারা আবদ্ধ  কাদামাটি  জমির নির্বাচন করতে হবে। পরিত্যক্ত জমি  5 থেকে  10 পানি এমন  জমিতে হালচাষ দিয়ে নিতে হবে ।

    ডোবা  বা পুকুরে হাল চাষ করা  প্রয়োজন নেই। আপনাদের কাজ শুধু  পারা ঘাস এর কান্ড রোপন করা। পারা ঘাস রোপন করার ক্ষেত্রে আপনাদের একটি নির্দিষ্ট  মাপ থাকতে হবে কারণ এটি খুবই বর্ধনশীল একটি ঘাস।এবং কি পারা ঘাস এর কান্ড অনেক চিকন হয়ে থাকে অন্যান্য দেশের তুলনায়।
     
    অন্যান্য ঘাস যেমন মোটা হয়ে থাকে পারা ঘাস অনেক চিকন হয়ে থাকে কারণ পারা ঘাস পানির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। পারা ঘাস রোপন করার ক্ষেত্রে আপনারা একটি কান্ড থেকে অপর একটি কান্ড পর্যন্ত মাঝখানে 12 ইঞ্চি জায়গা ফাঁকা রাখবেন এবং দুটি লাইনের মাঝে 18 ইঞ্চি ফাঁকা রাখবেন। 

    পারা ঘাস  উচ্চ বর্ধনশীল  একটি ঘাস। এবং উৎপাদনে সর্বাধিক পরিমাণ। কারণ এই ঘাসটি অধিক লাভজনক কারণ এই কাজটি 12 মাস চাষ করা যায় এবংএবং স্থায়ী ঘাস ঘাস একবার রকম করলে আর প্রথম করতে হয় না এই  ঘাসপানিতে তলিয়ে গেল মরে না  বন্যার সময় এই খাস চলে যাওয়ার পর ঘাসের উপর  অংশ পচে যায় কিন্তু গোড়া থেকে যায় পানি নেমে গেলে পরবর্তীতে আবার নতুন করে ঘাস জন্মায়।

     পারা ঘাস একবার রোপণ করলে দ্বিতীয়বার  আর রোপন করতে হয় না কারণ এই কাজটি অনেক শক্ত হয়ে থাকে পানি যদি 10 থেকে 15 হয় তাহলে এই কাজটি মারা যায় না দেখা যায় পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ঘাস রোপন ছাড়াই নতুন করে পারা ঘাস জন্ম হয় এবং এই খাসের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে।

     এই কাজটি সারা বৎসর রোপণ করা যায় এবং এখান থেকে সারা বছর ঘাস পাওয়া যায় এই  ঘাসটি পানি    অবস্থা এই  ঘাসভালো উৎপাদন দিয়ে থাকে। এবং এই কাজগুলো করতে এবং ছাগল অনেক ভালোভাবে খেয়ে থাকেন।  এই ঘাস মহিষ বা পানি  ঘাস নামে পরিচিত।

    পারা ঘাস  পানি  ঘাস নাম হবার কারণ এই ঘাস বারো মাস  পানির নিচে থেকেই জন্ম হয় এবং বার্মার পানি থাকা অবস্থায় এখান থেকে ফলন পাওয়া যায়। এবং এই খাস লবণাক্ত পানি সহ্য করতে পারে। সাধারণত এই ঘাস  চাষ করা হয় জলাবদ্ধ জমিতে যেখানে বারোমাসি পানি থাকে। এই খাস সমতলভূমি চাষ করা যায়

    বর্তমানে পরিত্যক্ত জলাবদ্ধ জায়গা এবং   পুকুর  মত   এই  ঘাস রোপন করছে । বর্তমানে বাংলাদেশের বহু অঞ্চলে পারা ঘাস পরিত্যক্ত স্থানে রোপন করে আসছে। শুধুমাত্র পারা ঘাস গবাদি পশু  খাদ্য ব্যবহার তা  নয় এটি হাস হাঁস মুরগি পাখি কবুতর এবং ব্লাক কাপ মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

     পারা ঘাস  রোপন করার সময় হচ্ছে  বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস  পারা ঘাস এর কান্ড থেকে  অংকুর জন্মায় সেখান থেকেই পাড়া  ঘাস জন্ম হয়। এবং পারা ঘাস একটি কান্ড থেকে একাধিক কান্দে রূপান্তরিত হয় ।আপনারা জানেন নেপিয়ার ঘাস একটি কান্ড থেকে অনেক  কান্ড হয় ঠিক একই ভাবে   পাড়া  ঘাস থেকে অনেক  জন্মহয়।

    অন্যান্য ঘাসে যেমন পানি সেচ সার প্রয়োগ করতে হয় পারা ঘাস এর ক্ষেত্রে সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় না।পারা ঘাস অনেক পুষ্টি সম্পন্ন এবং অনেক বর্ধনশীল হয়ে থাকে। 

     

    নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি-বীজ থেকে নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি 


    বীজ থেকে নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি  নেপিয়ার  বীজ রোপন করার জন্য  দুটি  ডিজে মাঝখঅনে 7 থেকে 12 ইঞ্চি  জায়গা সরকার রাখবেন এবং দুটি লাইনের মাঝে দুই থেকে আড়াই ফুট জায়গা ফাঁকা রাখবেন। 

     কাঁচা ঘাস উৎপাদনে নেপিয়ার ঘাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে নেপিয়ার ঘাস  বীজ থেকে উৎপাদন করা যায়। নেপিয়ার ঘাস চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম  পানিবিহীন জমি প্রয়োজন এবং পানি নিষ্কাশন করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

    নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি
    নেপিয়ার ঘাস চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম জমি নির্বাচন করতে হবে জমিতে  তিন থেকে চারটি চাষ দিয়ে জমির  ঘাস  ঘাস রোপন করতে হবে।  এরপর  নেপিয়ার ঘাস কান্ড জমির লাগাতে হবে । নেপিয়ার ঘাস  কান্ড  বা  গিট  রেখে কাটিং করতে হবে।

    এমনভাবে নেপিয়ার  ঘাস এর   কাটিং জমিতে রোপণ যাতে  কাটিংয়ের দুই প্রান্ত  যমের সঙ্গে স্পর্শ করে।  একটি কাটিং থেকে অপর কাটিং এর দূরত্ব এক ফিট পরিমাণ হবে। এবং একটি লাইন থেকে অপর লাইনের দূরত্ব  দুই থেকে আড়াই ফুট পর্যন্ত হবে।

    নেপিয়ার ঘাস  চাষ  জমিতে গোবর সার এবং এর সাথে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে ।উর্বর মাটি  এবং পরিমাণমতো সার প্রয়োগ করতে পারলে আপনি  ভালো মানের ঘাস ফলন আশা করতে পারেন।

    বৃষ্টি পানি বা বর্ষার পানি জমে থাকে না এ ধরনের জমি নির্বাচন করতে হবে নেপিয়ার ঘাসের জন্য। প্রায় সব ধরনের জমিতে নেপিয়ার ঘাস রোপন করা যায়। নেপিয়ার ঘাসের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। 

    নেপিয়ার ঘাস চাষের সময়
     সাধারণত নেপিয়ার ঘাস সারা বছরই চাষ করা যায়। প্রচন্ড শীত এবং বর্ষা পানি না থাকা অবস্থায় বীজ বপন করা যায়। নেপিয়ার ঘাস কাটিং পদ্ধতিতে বর্ষার শেষ প্রান্তের দিকে বপন করতে হয় এতে ভালো হয়। কেননা বর্ষা  পানি নেমে গেলে নেপিয়ার ঘাস কাটিং পদ্ধতিতে লাগিয়ে দেয়া হয়।

    জৈষ্ঠ বা বৈশাখ প্রথম বৃষ্টির পর চারা বা কাটিং নেপিয়ার ঘাস লাগালে ।প্রথম বছরে তিন থেকে চারবার ঘাস কাটা যেতে পারে। চারা বা কাটিং লাগানোর পর জমি উপহার রোদ বৃষ্টি হয় বা রস কম হয় মাটিতে তাহলে চারার গোড়ায় পানি সেচ দিতে হবে। 

     
    নেপিয়ার ঘাস চাষ করার জন্য জমিতে চার থেকে পাঁচটি চাষ দিতে এবং মই দিয়ে আগাছা মুক্ত করে নেপিয়ার বীজ বা কান্ড লাগানো উত্তম। 
     
     

    সুদান ঘাস চাষ পদ্ধতি-জার্মান সুদান ঘাস চাষ পদ্ধতি


    জার্মান সুদান ঘাস চাষ পদ্ধতি প্রথমে জমিতে দুই থেকে তিনটি কাজ দিতে হবে এবং এর সাথে পরিচিত হবে। জমিতে চাষ এর কাজ সম্পন্ন হলে জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইউরিয়া সার  আমি এখান 33  শতাংশ  জমির সার প্রয়োগ হিসাব দেখিয়ে দেবো আপনাদের  যে জমি সে  পরিমাণ অনুসারে সার প্রয়োগ করবেন।

    সুদান  ঘাস চাষ  করার জন্য সার   প্রতি   33% শতাংশে,  10 কেজি ইউরিয়া, এম ও পি ১৫ কেজি ,টিএসপি 20 কেজি, আমি আপনাদের 33% একটা হিসাব দিয়েছি  এখন যে  পরিমাণ জমি রয়েছে সে পরিমাণ সার প্রয়োগ করবেন। 

    দুইটি   চাষ  চার্জ দেওয়া আপনি  সার প্রয়োগ করবেন এরপর আপনারা আরেকটি চাষ জমিতে দিবেন। যার ফলে মাটির সঙ্গে স্যার মিশে যাবে প্রয়োজন হলে আরেকটি চাষ দিয়ে নিবেন। যতসব দিবেন তত ভালো হবে ঘাস। মোট তিন থেকে চারটা চায় নিতে পারেন এরপর মাটি ঝুরঝুরা হয়ে গেলে।

    এরপর সুদান জার্মান ঘাস  এর বীজ মাটিতে সমানভাবে  সিটিয়ে বপন করে দেবেন। পরবর্তীতে 2 টা মই দিবেন।   মই  দেওয়া উদ্দেশ্য যেন মাটি  সাথে মিশে যায়। দুইবার জমিতে  মই দেওয়া  জমি সেচ দিতে।

    এমনভাবে জমিতে সেচ দিতে হবে যাতে জমিতে পানি না জমে থাকে পানি জমে থাকলে বিজ গজাবে কম। কারান পানির ভিতরে বীজ গজানোর ক্ষমতা কম থাকে ।চারা গজানোর 15 থেকে 20 দিন পর পানি  জমা হয়ে থাকলে সমস্যা নেই। কিন্তু জমিনে  বীজ বপন 5 থেকে 7 দিন পর্যন্ত জমিতে পানি না জমে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    বীজ বপনের পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে চারা দেখা দেবে ।চারার বয়স যখন 15 থেকে 20 দিন হবে ওই সময় আবার   সার প্রয়োগ করতে হবে। সার  প্রতি 33 শতাংশ  33% 10 কেজি ইউরিয়া, জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট বা দস্তা  2 কেজি। ম্যাগনেসিয়াম  সালফার 5 কেজি। 

    যদি আপনার জমি লোনা যুক্ত হয় তাহলে 20 কেজি জিপ সার প্রয়োগ করতে পারেন। সার প্রয়োগ হয়ে গেলে সেচ দিয়ে দিতে হবে ।এভাবেই প্রতি 18 থেকে 20 দিন পর একই ভাবে  সার এবং সেচ চালিয়ে যেতে হবে।এই ঘাস 30 থেকে 35 দিন বয়স হলে কাটা যায় ।এবং এই খাস সারাবছর চাষ করা যায়।

    আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিষয়গুলো এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে পাকচং ঘাস চাষ পদ্ধতি ঘাস চাষ সুদান ঘাস চাষ পদ্ধতি নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি জারা  ঘাস চাষ  পদ্ধতি, পারা ঘাস চাষ পদ্ধতি  এবং আলোচনা জমি  জমি নির্বাক নিয়ম, আলোচনা  হয়েছে জমি সার  প্রয়োগ করার নিয়ম।

    এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট করা হয় এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন। এই ওয়েবসাইটে পূর্বে    আর তথ্য  তথ্যমূলক পোস্ট করা  রয়েছে  সেগুলো  দেখতে যাতে আপনি আর নতুন  উপকার আসবে।

    LikeYourComment