ছাগলের জন্য কোন ঘাস ভালো- ঘাস চাষ পদ্ধতি -গরু ঘাস চাষ

ছাগলের জন্য বাকসা ভালো ঘাস চাষ পদ্ধতি জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন তাহলে ঘাস চাষ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন

    আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন আজকে আলোচনা করব ঘাস  চাষ পদ্ধতি  এই পোস্টে বিভিন্ন ধরনের ঘাস চাষ পদ্ধতি দেওয়া থাকবে। এবং আরো থাকবে গরুর জন্য এবং ছাগলের জন্য কোন ঘাস ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়েই সাজানো হয়েছে।

    এবং আরো আলোচনা করা হয়েছে 20 থেকে 30 টি গরু জন্য কত জায়গা ঘাস লাগাতে হয়। আবারও বলি এই পোস্টে কয়েক ধরনের ঘাস চাষ পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে আপনারা বিস্তারিত দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন

    রাম ছাগলের বাচ্চার দাম,কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি,ছাগলের বৈশিষ্ট জান্ততে ক্লিক করুন

    মটরের পাইপের দাম- এবং বিভিন্ন সাইচের পাইপের দাম জানতে ক্লিক করুন

    চোখের জন্য কোন লেন্স ভালো জানতে ক্লিক করুন

    ছাগলের জন্য কোন ঘাস ভালো



    কয়েল পাইপের দাম জানতে ক্লিক করুন

    সুপার স্টার এলইডি লাইটের দাম সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

    ফ্রিজের কম্প্রেসার দাম কত এবং ওয়ালটন ফ্রিজের কম্প্রেসারের দাম কত এবং কম্প্রেসার কত প্রকার জানতে ক্লিক করুন

    ছাগলের জন্য কোন ঘাস ভালো

    ছাগল  ভেরার  জন্য বাকসা ঘাস সবচেয়ে ভালো । কারণ ছাগল ভেড়া বাকসা ঘাস খেতে খুবই পছন্দ করে। নেপিয়ার এধরনের যে জাত গুলো রয়েছে সেগুলো ছাগল বেশি খেতে চায় না। এই ঘাস গরু ও খা কিন্তু ছাগলের জন্য অনেক ভালো । গাছটি অনেক চিকন ও নরম হয়ে থাকে যার কারণে একটি ছাগল খেতে খুব পছন্দ করেন এবং অনেক ভালো।


    যাদের ছাগলের খামার ভেড়ার খামার তারা বাকসা  জাতের ঘাস চাষ করতে পারেন। বাকসা ঘাসের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে অন্যান্য দেশের তুলনায় নিম্নে বাকসা ঘাসের চাষ করার সুবিধা গুলো বর্ণনা করা হলো:


    বাকসা ঘাসের সুবিধা হলো  পানি থাকলেও ঘাস পাবেন।  বর্ষার সময় এখান থেকে আপনি ঘাস পাবেন না কিন্তু যখন পানি নেমে যাবে তখন আপনি ঘাস পাবেন। কারণ বর্ষার সময় এই ঘাস গুলো উপরের অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও নিচে গোড়া থেকে আবার গাছ জন্ম নেবে নতুন করে আবার এই ঘাস লাগাতে হয় না বা বপন করতে হয় না।


    বর্ষার সময় যদি ১৫ ফিট বা ২০ ফিট পানিও  হয় তাহলেও কোন সমস্যা হবে না।পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোড়া থেকে আবার নতুন করে ঘাস জন্ম নেবে। এজন্য এই ঘাস একবার লাগালে আপনি অনেকদিন ঘাস খাওয়াতে পারবেন ছাগল এবং ভেড়াকে যেহেতু এই ঘাস একবার বপন করলে আর বারবার চাষ করতে হয় না কারণ বর্ষার মধ্যে নষ্ট হয় না। 


    বাকসা ঘাসের বৈশিষ্ট্য হলো একবার যদি আপনি খেতে  বপন  করেন তাহলে আর আপনাকে নতুন করে ঘাস বপন করতে হবে না কারণ এই ঘাস  বর্ষায়    পচেনা। একবার  যদি বপন করেন তাহলে গোড়া থেকে যদি না তুলেনতাহলে এই খাস আর শেষ হবে না।একবার বুনলেই হয়ে যাবে আর বুনার প্রয়োজন হয় না।


     নেপিয়ার বা অন্যান্য যাতে যে গাছ গুলো রয়েছে সেগুলো বর্ষার পানিতে মরে যায় দেখা যায় বর্ষার আগে ঘাস গুলো অনেক সুন্দর তরতাজা থাকে কিন্তু বর্ষার মধ্যে সেগুলো মরে যায়। মারা যাওয়ার কারণে নতুন করে আবার ঘাস লাগাতে হয় ।কিন্তু বাকসা একবার বপন করলেই হয়ে যায়।


    বাকসা ঘাস একদিক দিয়ে কাটবেন এবং অপর দিক দিয়ে দেখবেন আবার হয়ে যাচ্ছে। ঘাস একবার কাটা হয়ে গেলে পরে যে আপনার ঘাড় জন্ম নেবে সেখানে পরিমাণমতো আপনি ইউরিয়া সার ব্যবহার করবেন। ঘাস উৎপাদনে খরচ অনেক কম।


     যদি আপনি বাকস ঘাসের মধ্যে  সেচ  দিতে পারেন তাহলে  25 30 দিনের মধ্যে ঘাস করতে পারবেন আবার ।যদি আপনি এই ঘাসে সেচ না দিতে পারেন তাহলে 40 থেকে 45 দিন পর আপনি ঘাস কাটতে পারবেন। তবে ঘাসের আকার অনেক বড় হবে এই কয়দিনে।


    যদি আপনার জমি উচ্চ হয় তাহলে আপনি সবসময় এভাবেই ফলন পেতে থাকবেন। আর যদি জমি নিচে হয় তাহলে বর্ষার সময় ফলন কিছুদিনের জন্য পাবেন না। যদি বর্ষার সময় আপনার ঘাস খেতে 5 থেকে 6 ইঞ্চি পানি হয় তাহলে আপনি ফলন পাবেন সমস্যা হবে না যদি তার থেকে পাঁচ ফিট হয় পানি তাহলে   কিছুদিন ফলন পাবেন না আবার পানি নেমে গেলে ঘাস পাবেন।


    আপনাদের যদি আমার থাকে তাহলে দুই থেকে তিন ধরনের গাছ লাগাবেন তাহলে গবাদিপশুর একটা ব্যাপার থাকেন। দেখা যায় গবাদিপশু একটা গাছ বারবার খেতে চায় না। দেখা যায় ১৫দিন এক জাতের ঘাস খাওয়ালেন পরে আবার পনেরোদিন অন্য জাতের ঘাস খাওয়ালেন।খেতে ছাগল এবং গরু খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। 


    20 থেকে 30 টা ছাগলে কতটুকু ঘাস চাষ করা প্রয়োজন

    20 থেকে 30  টা ছাগলের কতটুকু জমি ঘাস চাষ করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে যেহেতু বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বর্তমানে শিক্ষিত যুবকরা গবাদি পশুর ওপর একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা করতে চায়। যেহেতু ছাগল ক্রয় করার আগে খাস এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন এর জন্য ঘাস সম্পর্কে জানুন।


    20 থেকে 30 টা ছাগল পালনের জন্য নেপিয়ার বা অন্য ভালো মানের জাতের এক বিঘা জমি ঘাস চাষ করলে আপনি 20 থেকে 30 টা ছাগলের ঘাস এর যোগান দিতে সক্ষম। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন ঘাসগুলো অনেক ভালো মানের এবং ফলন অনেক ভালো হয়। 

     দশটি গরুর জন্য কতটুকু ঘাস চাষ করব

    দশটি গরুর জন্য কতটুকু ঘাস চাষ করব এ ব্যাপারে জানার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনি যে  জমিতে ঘাস লাগাবে সে জমি কতটুকু উর্বর এবং সে জমি উঁচু-নিচু কেমন সে ব্যাপারে বুঝতে হবে। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে আপনি কি ধরনের গরু লালন পালন করবেন ষাঁড় গরু নাকি গাভী গরু ।আপনারা অবশ্যই জানেন ষাঁড় গরুর খাদ্য কম লাগে এবং গাভী গরুর খাদ্য বেশি লাগে।


    অনেকে আবার ঘাসের উপর গুরুত্ব না দিয়ে দানাদার খাবারের ওপর গুরুত্ব দিতে চান ।যদি আপনি দশটি ঘাসের একটি  ফারাম করতে চান তাহলে  আপনাকে কাঁচা ঘাসের উপর গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। যদি আপনি কাঁচা ঘাসের উপর গুরুত্ব না দেয় তাহলে পরবর্তীতে দেখবেন পশু বিক্রি করার পর আপনার খাবারের পর টাকা বেশি হয়ে গেছে।


    কাঁচা ঘাসের উপর গুরুত্ব দিলে লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কাঁচা ঘাস ছাড়া গরু মোটাতাজা লাভজনক হওয়া যায় না আপনার যত টাকায় থাকুক না কেন। গরু ডাকে যদি কাঁচা ঘাস না দিতে পারেন তাহলে খ র এবং ঘাস মিশ্রন করে খাওয়াতেপারেন। 


    একটা গরুর জন্য 5শতাংশ  ঘাস চাষ করবেন। 10 টাকার জন্য 50 শতাংশ ঘাস চাষ করলে হয়ে যাওয়ার কথা্। যদি আপনার    ষাঁড় গরু এবং গাভী থাকে তাহলে আপনি 60 থেকে 70 শতাংশ  জায়গা ঘাস চাষ করলে আপনার কাছে সংকট হবেনা আশা করা যায়। যার মানে দাঁড়ায় দুই থেকে আড়াই বিঘা জমিনের ঘাস।


    ঘাস চাষ পদ্ধতি

    পানির ঘাস চাষ পদ্ধতি

    পানি চাষ চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে পানি জমে এমন আবদ্ধ কাদামাটি যুক্ত জায়গা নির্বাচন করতে হবে । এরপর পানির ঘাট থেকে কান্ড সংগ্রহ  করে নিতে হবে। যেমনি  নেপিয়ার বা অন্য জাতের ঘাস থেকে যেমন কান্ড সংগ্রহ করা হয় থেকে কিভাবে পানির দেশ থেকে কান্ড সংগ্রহ করে নিতে হবে।


    পানির  ঘাসের  কান্ড সংগ্রহ করার সময় একটি দিক খেয়াল রাখতে হবে  যেন পানি ঘাসের দুইটি  কান্ড থাকে। এরপর কান্ড হলো নির্বাচিত  কাদামাটির জমির উপর নির্ধারিত স্থানে   রোপণ করতে হবে। গোড়ালির দিকটি পানির দিকে রোপণ করতে হবে। 5 থেকে 6 ইঞ্চি পরপর    পানি ঘাস লাগিয়ে দেবেন বা আদহাত পরপর ঘাসগুলো রোপন করে দিতে হবে।


    পানের ঘাস পানিতে 12 মাস চাষ করা।এছাড়া আপনারা   পানির ঘাস  উচ্চ  নিচু  এবং সমতল ভূমিতে  পানির ঘাস চাষ করা যায়। পানিতে পানির ঘাস চাষ করলে সুবিধা অনেক এবং লাভ অনেক এবং পরিশ্রম কম দিতে হয় কেননা আগাছা সমস্যা থাকে না সার প্রয়োগ করতে হয় না। 


    পানিঘাটা জন্য বাড়তি কোনো পরিশ্রম করতে হয় না  পানি ঘাসের  কান্ড বা বীজ থেকে  ঘাসগুলো জন্মায়। পানির ঘাস  গবাদি পশু   খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে হাঁস  টার্কি  দেরকে ঘাস খাওয়ানো যায় কবুতর আরো অন্যান্য পাখিরা খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 


    পানি  ঘাসের চাহিদা নেপিয়ার ঘাসের মতই। নেপিয়ার ঘাসের পরেই পানির চাহিদা বর্তমানে সকল অঞ্চলে পানির ঘাস চাষ হচ্ছে কারা এই কাজটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। খুব দ্রুতই ঘাসে প্রণীত হয় ঘাসের একটি কান্ড থেকে একাধিক কান্ড সৃষ্টি হয় এই পানি ঘাসগুলো 5 থেকে 6 ক্ষেত্রে থাকে

    জার্মান ঘাস চাষ পদ্ধতি



    জার্মান ঘাস চাষ পদ্ধতি

    জার্মান ঘাস চাষ পদ্ধতি জার্মান ঘাস গরু-ছাগলের পছন্দনীয় ঘাস।জার্মান ঘাস দ্রুত বর্ধনশীল এবং উচ্চ ফলনশীল ঘাস।গবাদি পশু বাণিজ্যিকভাবে করার জন্য জার্মান ঘাস খুবাই  গুরুত্বপূর্ণ।কারণ হচ্ছে অধিকাংশ জমি  আমাদের বাংলাদেশের নিচু এবং জলাবদ্ধ আর যেসব জমিতে পানি জমে থাকে বর্ষার পানি আসে সে সকল জমির জন্য সবচাইতে উত্তম হচ্ছে জার্মান ঘাস।


    কারণ আমরা জানি নেপিয়ার পাকচং ঘাস গুলো অনেক ফলনশীল আমরা জানি নেপিয়ার ঘাসের গোড়ায় পানি জমলে গাছগুলো মারা যায় সে ক্ষেত্রে জার্মান ঘাস হচ্ছে সর্বোত্তম চাষাবাদের ক্ষেত্রে জার্মান ঘাস চাষের জন্য জমি নির্বাচন জার্মান ঘাস নিচু ও উচ্চ জলাবদ্ধ  জমিতে যেহেতু ভালো জন্মায়।


    সে ক্ষেত্রে  প্রায়  জমিতে   জার্মান ঘাসের চাষ করা যায় তবে পানি যেসব জমিতে জমে না সে ক্ষেত্রে জার্মান ঘাস চাষ করা যায় তবে পানি সেচ দিলে জার্মান ঘাসের ফলন ভালো হয়।

    জার্মান ঘাস রোপনের সময় 

    জার্মান ঘাস রোপনের সময় মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই ঘাস চাষের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় তবে এই খাস সারা বছরই চাষ করা যায় রোপণের নিয়ম একসারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব 18 ইঞ্চি ও ঘাস থেকে ঘাসের দূরত্ব 12 ইঞ্চি হলে ভালো হয় ।

    জার্মান ঘাসের বংশবিস্তার জার্মান ঘাসের বীজ নেই বললেই চলে তাই কাটিং পদ্ধতিতে ঘাস অথবা মোথা দ্বারা এই  ঘাসের বংশবিস্তার করতে হয় জার্মান ঘাসের চারা তৈরি পদ্ধতি জার্মান ঘাস পরিপক্ক অবস্থায় তিনটি গ্রিট রেখে কাটিং করতে হয়।


    জার্মান ঘাস উর্বর জমিতে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায় আর ভাল ফলনের জন্য জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গোবর দিতে হয় এবং চারা বা কাটিং লাগানোর দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর একর প্রতি 40 কেজি ইউরিয়া ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রতিবার ঘাস কাটার পর একর প্রতি 35 থেকে 40 কেজি ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হয়।


    জার্মান ঘাস কাটিং এর নিয়ম জার্মান ঘাস রোপন এর 50 থেকে 60 দিনে প্রথম কাটা যায় জার্মান ঘাস বছরে প্রায় পাঁচ বার কাটা যায় আর বছরে একর প্রতি 30 থেকে 45  টন সবুজ ঘাস পাওয়া যায় সর্বশেষ একটি কথা বলতে পারে সেটি হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশে আপনারা যারা খামারিরা আছেন এবং খামারের সাথে জড়িত এবং ছাগলের খামার করছেন অলরেডি।


    যারা গবাদি পশু পালন করার  চিন্তা করছেন তাদেরকে আমি বলব আপনার নেপিয়ার পাকচং ঘাস রোপন করেন এবং প্লাস পাশাপাশি কিছু জমিতে জার্মান ঘাস রোপন করেন কারণ হচ্ছে যখন আমাদের প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং বর্ষা মৌসুমে সে আমাদের জমি গুল পানিতে শরবর হয়ে যায়।


     তখন আসলে আমাদের নেপিয়ার ঘাস গুলো মারা যায় কেটে ফেলতে হয় তখন ঘাসের সংকট দেখা দেয় আর সেক্ষেত্রে তখন আপনারা যদি জার্মান ঘাস থাকে তাহলে পনি যতই হোক না কেন জার্মান ঘাস কখনো পানিতে  মরে না।


    আপনারা খুব ভালোভাবেই চাষাবাদ করতে পারবেন এবং গরু-ছাগলকে সবুজ ঘাসে চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।


    বীজ থেকে নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি


    নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি-বীজ থেকে নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি 

    বীজ থেকে নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি  কাঁচা ঘাস উৎপাদনে নেপিয়ার ঘাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে নেপিয়ার ঘাস  বীজ থেকে উৎপাদন করা যায়। নেপিয়ার ঘাস চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম  পানিবিহীন জমি প্রয়োজন এবং পানি নিষ্কাশন করার ব্যবস্থা থাকতে হবে ভালো মানের।


    বৃষ্টি পানি বা বর্ষার পানি জমে থাকে না এ ধরনের জমি নির্বাচন করতে হবে নেপিয়ার ঘাসের জন্য। প্রায় সব ধরনের জমিতে নেপিয়ার ঘাস রোপন করা যায়। নেপিয়ার ঘাসের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। 


    নেপিয়ার ঘাস চাষের সময়

     সাধারণত নেপিয়ার ঘাস সারা বছরই চাষ করা যায়। প্রচন্ড শীত এবং বর্ষা পানি না থাকা অবস্থায় বীজ বপন করা যায়। নেপিয়ার ঘাস কাটিং পদ্ধতিতে বর্ষার শেষ প্রান্তের দিকে বপন করতে হয় এতে ভালো হয়। কেননা বর্ষা  পানি নেমে গেলে নেপিয়ার ঘাস কাটিং পদ্ধতিতে লাগিয়ে দেয়া হয়।


    জৈষ্ঠ বা বৈশাখ প্রথম বৃষ্টির পর চারা বা কাটিং নেপিয়ার ঘাস লাগালে ।প্রথম বছরে তিন থেকে চারবার ঘাস কাটা যেতে পারে। চারা বা কাটিং লাগানোর পর জমি উপহার রোদ বৃষ্টি হয় বা রস কম হয় মাটিতে তাহলে চারার গোড়ায় পানি সেচ দিতে হবে। 


    নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি

    নেপিয়ার ঘাস চাষ করার জন্য জমিতে চার থেকে পাঁচটি চাষ দিতে এবং মই দিয়ে আগাছা মুক্ত করে নেপিয়ার বীজ বা কান্ড লাগানো উত্তম। 


    নেপিয়ার ঘাস জমি প্রস্তুত  

    এক থেকে দুই টন জৈব সারা প্রয়োগ করতে হবে  .প্রতি একর জমিতে। এছাড়া রাসয়নিক সার হিসাবে ইউরিয়া , পটাস সাবর ব্যবহার করা যেতে পারে।

    এ পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে ছাগলের জন্য কোন গাছ ভালো, এবং 20 থেকে 30 টি গরু কত শতাংশ জায়গায় ঘাস লাগে এবং আলোচনা করা হয়েছে নানা ধরনের ঘাসের জাত ও ঘাস কিভাবে চাষ করতে হয় এবং বপন করতে হয়। আশা করি আপনারা  এই পোস্ট থেকে ঘাস  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।


     প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট করা হয় এই ওয়েবসাইটে পূর্বে তথ্যমূলক আরো পোষ্ট রয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন আশা করা যায় সেগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন।

    LikeYourComment