আমাজন বন কোথায় অবস্থিত-আমাজন জঙ্গল
অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট বা আমাজন জঙ্গল শুধু পৃথিবীর বৃহত্তম বনাঞ্চল না। জীব বৈচিত্রের ঘনত্বের বিচারে শীর্ষস্থানীয় অধিকারী অর্থাৎ প্রতি বর্গমিটারে সংখ্যক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে তা কথাও চোখে পড়বেনা। প্রায় সাড়ে 5 কোটি বছরের পুরোনো জঙ্গলের মাঝখানে বয়ে গেছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী ।
অ্যামাজন জঙ্গল আয়তনে এত বড় চেয়ে রাজনৈতিকভাবে এর উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে নয় দেশের। তবে বাণিজ্যিক কারণে নিয়মিত নাচলে বিস্তীর্ণ এলাকা উজার করা হচ্ছে যার পরিণতিতে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা ও পৃথিবীর ক্রামে হ্রাস পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বিষয়টা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মত অবস্থা তৈরি করেছে ।অ্যামাজন বৃহত্তম জঙ্গল নিম্নে বিস্তারিত দেখুন -
অন্য পোষ্ট
কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার নাম কি এবং কুয়েতের টাকার ছবি জানতে ক্লিক করুন
যুক্তরাজ্য কোন দেশ-ব্রিটেন কোন দেশ-অয়েসল কোন দেশ-স্কটল্যান্ড কোন দেশ জানতে ক্লিক করুন
মরিশাস দেশ কোথায়-মরিশাস দেশ পরিচিতি এবং অজানা তথ্য জানতে ক্লিক করুন
কাতার কত বর্গ কিলোমিটার- কাতারের ইতিহাস-কাতার আয়তন ও অবস্থান জানতে ক্লিক করুন
চীনের মহাপ্রাচীর দৈর্ঘ্য কত-চীনের মহাপ্রাচীর জানতে ক্লিক করুন
আমাজন বন কোথায় অবস্থিত
আমাজন বন দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত। এবং অ্যামাজন জঙ্গল ৭০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার পরিবেষ্টিত। আমাজন বনের অরন্যর প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আদ্র জলবায়ু দ্বারা প্রভাবিত।আমাজন জঙ্গল টি নয়টি দেশজুড়ে এর অরণ্য বিস্তৃত।
আমাজন জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্তে অবস্থান করেছে সে দেশগুলো হল : পেরু সিমান্তে অবস্থান ১৩ , ব্রাজিলে ৬০ % শতাংস, , ভেনেজুয়েলা ৬ % শতাংস ,বলিভিয়া ৮ % শতাংস ,সুরিনাম ২.৫ % শতাংস ,গায়না ৩% শতাংস কিছু বেশি,ফ্রেঞ্চ গায়ানা ১.৪ % শতাংস কলম্বিয়া ৭ % শতাংস, ইকুয়েটর ১ % শতাংস।
আমাজন জঙ্গল দক্ষিণ আমেরিকায় আমাজন অবস্থিত। আমাজন বন টি পৃথিবীর সবচাইতে বড় বনাঞ্চল। আমাজন নদী আমাজন বনের জীবনীশক্তি মহাবন আমাজন নয়টি দেশের প্রায় 70 লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এমাজন বন।
আমাজন বনের আয়তন
আনুষ্ঠানিক হিসেবে আমাজন জঙ্গলের বর্তমান আয়তন প্রায় 55 লাখ বর্গ কিলোমিটার বা 21 লাখ বর্গ মাইল ।আয়তনের দিক থেকে আমাজন বাংলাদেশের তুলনায় 38 গুন বড়।এবং মহাবন আমাজন নয়টি দেশের প্রায় 70 লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সমগ্র পৃথিবীতে যত রেইনফরেস্ট আছে তার অর্ধেকই হলো আমাজন ।
অ্যামাজন জঙ্গল কোন একক রাষ্ট্র হতো । তাহলে আয়তনে বিশ্বের নবম বৃহত্তম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেত ।আগে যেমনটা জানানো হয়েছে অ্যামাজন বিশ্বের বৃহত্তম জঙ্গল । অ্যামাজন বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট বা ক্রান্তীয় বর্ষা প্রবণ অঞ্চল ।
অ্যামাজন জঙ্গল
আমাজন বনের সৃষ্টি
বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম জঙ্গটির সৃষ্টি হয়েছিল আনুমানিক সাড়ে 5 কোটি বছর আগে ।এর আগেই ভূপৃষ্ঠের টেকটোনিক প্লেটগুলোর জারণের ফলে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা এর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।দুই মহাদেশে মধ্যবর্তী আটলান্টিক মহাসাগরের আয়তন বৃদ্ধি পায় একয় সময় । এয় সময় পৃথিবীর ক্রান্তীয় এলাকার তাপমাত্রা এবং সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যায় ।
যার ফলে আমাজন নদীর অববাহিকা বিশাল এই অ্যামাজন জঙ্গলের সৃষ্টি হয়।সূচনা থেকে পূর্ণাঙ্গ জঙ্গলে পরিণত হতে অ্যামাজনের সময় লেগেছিল প্রায় দুই কোটি বৎসর অবশ্য বাণিজ্যিক কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস শুরুর আগে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ম্পন পূর্ব উপকূলে বিস্তৃতি ছিল ।
আমাজন জঙ্গলের জীবজন্তু
আমাজন 40 হাজার প্রজাতির প্রায় 3 হাজার 900 কোটি বৃক্ষ রয়েছে পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের 20% উৎপাদিত হয় আমাজন বন সে কারণে একে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম আমাজন বন ।
আকাশের বিশালতার মতোই আমাজনের প্রাণী ও উদ্ভিদ এর মাঝেও রয়েছে অবিশ্বাস্য বৈচিত্র জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ আমাজন বনে আছে প্রায় 40,000 জাতের গাছ 1300 জাতের পাখি 2200 জাতের মাছ 427 যাতে স্তন্যপায়ী 378 জাতের সরিসৃপ 428 জাতের উভচর প্রাণী এবং 25 লক্ষ জাতের পোকামাকড় ।
আমাজন বনের পাখির সৌন্দর্য
আমাজন বনের সবচেয়ে সুন্দর পাখি হচ্ছেন স্কারলেট ম্যাকাও পাখি যাকে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম সুন্দর পাখি গুলোর একটি আকাশ নীল লাল হলুদ পাখির যাক উরে যেতে দেখে মনে হবে আপনি যেন একটা উড়ন্ত রংধনু দেখছেন ।এছাড়াও আছে হারপিগলযারা সুযোগ পেলেই মানুষের বাচ্চা অস্বীকার করতে সক্ষম ।
সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিপদজনক অনেক প্রাণী আমাজন জঙ্গলে বাস করে চিতাবাঘ, বিদ্যুৎ ইল,মাংসখেকো পিরানহা, বিষাক্ত ড্রাগস সহ অসংখ্য বিষাক্ত যাতে সাপ রয়েছে আমাজন বনে।
এখন পর্যন্ত হয়ে জঙ্গল পুরোটা ঘুরে দেখার সম্ভব হয়নি জীববিজ্ঞানীদের পক্ষে জঙ্গলের যতটুকু আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে অন্তত 40 হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ এর সন্ধান পেয়ে ।
টেকটনিক প্লেটের চলনের কারণ এই আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা ভূখণ্ড দুটো আলাদা হয়ে গেছে কয়েক কোটি বছর আগে এই দুটো মহাদেশের মধ্যে একটি অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ আছে এখনো আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বালি আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে আমাজন নদীর অববাহিকা গিয়ে পড়ে।একটা বড় অংশই মূলত ফসফরাস যা উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ।
নাসার ক্যালিপসো স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ধারণকৃত চিত্র অনুযায়ী প্রতিবছর ধূলিঝড়ে সাহারা মরুভূমি থেকে প্রায় 18 কোটি 20 লাখ টন বালি উড়ে যায়। এই বাতাসে ভেসে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে 2600 কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়।প্রথিমোধ্যে বালি মহাসাগরে পড়লে ও প্রায় 2 কোটি 77 লাখ টন বালি অ্যামাজন জঙ্গলের মাটিতে এসে পৌঁছায় যার মধ্যে প্রায় 2 কোটি 20 লাখটই ফসফরাস ।
বিস্ময়কর ব্যাপার হলো অ্যামাজন জঙ্গলের উর্বরতা বৃদ্ধি কারি প্রাকৃতিক সার এর শতকরা 56 ভাঙিয়াছে সাহারা মরুভূমি একটি এলাকা থেকে।
আমাজন বনের নদী
আমাজন বনের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত নদী টি আমাজন নদী হিসেবে পরিচিত। পেরুর আন্দিজ পর্বতের নেভাদছ সিনসি নামক চূড়া থেকে নদীর উৎপত্তি। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী এই নদী বিশ্বের যে কোন নদীর তুলনায় বেশি পরিমাণ জল ধারণ করে প্রায় 1000 উপ নদীর মিলিত হয়ে আমাজন নদী গঠিত এসব উপনদী গুলি বনের জীবনীশক্তি।
প্রধান কয়েকটি উপনদীর মধ্যে 17 টি নদীর দৈর্ঘ্য 1 হাজার মাইলেরও বেশি মনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত আমাজন নদী এই বোনের বিস্তৃতির পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব উপনদী বিশাল জঙ্গলের মধ্যে
আমাজন জঙ্গলে যাতায়াত ব্যবস্থা
আমাজন জঙ্গলে যাতায়াত ব্যবস্থা জন্য সবচেয়ে কার্যকরী পথ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় আমাজন নদী। দক্ষিণ আমেরিকার ৫টি দেশের তিন হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পতিত হয় ।
7 হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অ্যামাজন বিশ্বের দীর্ঘতম নদী তালিকায় দ্বিতীয়। মিশরে অবস্থিত নীল নদের দৈর্ঘ্য অ্যামাজন এর চেয়ে বেশি।কিন্তু পানি প্রবাহের হিসেবে অ্যামাজন এর ধারে কাছেও কোন নদ নদী নেই।
এই নদীর মোহনা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 21 কোটি লিটার পানি আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়ে বিশ্বের বৃহত্তম নদ নদী তালিকায় পরবর্তী সাতটি সম্মিলিত জলপ্রবাহ এর চেয়ে কম ।পৃথিবীর সবগুলো নদীর মোহনায় যে পরিমাণ পানি প্রতিদিন সাগর বা মহাসাগরের যায় । তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ ই এই অ্যামাজন নদীর মোহনা দিয়ে প্রবাহিত হয় ।
দক্ষিণ আমেরিকার পাঁচটি দেশের তিন হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পতিত হয় এ নদীর মোট পানির প্রায় 20 ভাগ পানি সমুদ্রে বহন করে আমাজন নদী যেখানে সাগরে গিয়ে মিশেছে সেখানে প্রতি সেকেন্ডে 42 লক্ষ ঘনফুট জল সাগরে পতিত হয় বর্ষা মৌসুমে এই পানির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় 70 লক্ষ ঘনফুটে।
শুধু তাই না এই আমাজন নদীর অববাহিকা আয়তন হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম। এর আয়তন 70 লাখ বর্গ কিলোমিটারের বেশি অ্যামাজন নদীর একটি বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর উৎপত্তি প্রশান্ত মহাসাগরের কয়েকশ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত আন্দিজ পর্বতমালায় হয়েছে ।অথচ প্রশান্ত মহাসাগরের মিলিত হবার বছরে প্রায় 7 হাজার কিলোমিটার ঘুরে আটলান্টিক মহাসাগরে মিশেছে ।
দীর্ঘ এবং খরস্রোতায় অ্যামাজন নদীর পুরোটা সাঁতরে এক অনন্য রেকর্ড করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মার্টিন স্টেল 2007 সালে তিনি আমাজন নদীর উৎপত্তিস্থল থেকে শুরু করে মোহনা পর্যন্ত সাতার কেট অতিক্রম করেন। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য ট্রেন কিতানা 66 দিন প্রতিদিন 10 ঘণ্টা করে আমাজন নদীতে সাঁতার কাটতে হয়েছিল ।
ব্রাজিল এবং অ্যামাজন
ব্রাজিলিয়ান আমাজনের বুকে বেশকিছু বৃত্তাকার নকশা দেখতে পাওয়া যায় ।নকশাগুলো আজও পর্যন্ত রহস্যে ঘেরা নৃতাত্ত্বিক গন এই ধাঁধার উত্তর এর সন্ধান করে চলেছেন। ধারণা করা হয় নকশাকৃত অংশগুলো সমাধি অথবা সুরক্ষা ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতোপ্রচলিত মতে প্রাচীন আমাজনিয়ান নকশা শিল্পী ছিলেন ।
তবে এই নকশা আঁকার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে যেমন কোন যন্ত্রপাতির তথ্য গবেষণা করেও পাওয়া যায়নি প্রাপ্ত আলামত থেকে চিহ্নিত করা যায় এসব স্থাপনা 12 থেকে 15 বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল।
অ্যামাজনের আশ্চর্য বিষয়
আমাজনের আশ্চর্য একটি রহস্যময় বিষয় হল এর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এক ফুটন্ত নদী আক্ষরিক অর্থেই এ নদীর পানি অত্যন্ত উষ্ণ এ নদীর পানির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 93 ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে । বিজ্ঞানীরা এখনো নদীর পানি উত্তপ্ত হবার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি ।স্থানীয়রা মনে করে এটি এক বিশেষ প্রাকৃতিক শক্তির ফলে তারা কখনোই এ নদীতে সাঁতার কাটে না ।
আমাজনের বিভিন্ন অধিকার প্রজাতির উদ্ভিদ এর মধ্যে রয়েছে ভিক্টোরিয়া অ্যামাজন ইয়া নামের এক প্রকার জলপদ্দ ।ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়ার নামে এর নামকরণ করা হয়েছে ।পদ্মপাতা গুলো আয়তনের প্রায় 3 মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে এমনকি এসব পাতা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ভার বহন করার মতো শক্ত সমর্থ ।
অ্যামাজন জঙ্গলে মানুষের বসতি
প্রত্যতাত্ত্বিকদের হিসেবে আমাজন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় মানুষের বসতি শুরু হয় এখন থেকে প্রায় সাড়ে 11 হাজার বছর আগে এরপর প্রায় 10 হাজার বছর উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা সম্পর্কে ইউরোপ এশিয়া এবং আফ্রিকার অধিবাসীদের কোনো ধারণাই ছিল না এই অবস্থার অবসান ঘটে পঞ্চদশ শতকে যখন ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকায় পদার্পণ করেন ।
ওই সময় আমাজন সংলগ্ন এলাকায় প্রায় 50 লাখ মানুষ বসবাস করতেন তারপর স্প্যানিশ ঔপনিবেশিকদের হাতে আদিবাসীদের নিচ্ছিন হবার কাহিনী অনেকেরই জানা। তবে আগ পর্যন্ত সেখানেই বিদ্যমান আদিবাসী সংস্কৃতি গুলো ছিল যেমন বনেদি তিনি ঐতিহ্যবাহী।
একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানীরা অ্যামাজন জঙ্গলে কিছূ স্থাপনা খুঁজে পান যেগুলো খ্রিস্টাব্দে প্রথম শতকে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।এখন প্রত্যন্ত এলাকায় 500মতআদিবাসি গত্রের বসবাস রয়েছে বলে ধারণা করা হয় ।
সমাজবিজ্ঞানীদের ভাষণ অনুযায়ী এর মধ্যে অন্তত 50 টি গোত্রের সদস্যরা এখন পর্যন্ত কোন সভ্যতার মুখোমুখি হননি ।
আমাজন বনের সাথে মানবকূলের সম্পর্ক বেশ পুরনো আমাজনে বসবাসরত বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী তাদের বসত বাড়ি গড়ে তুলেছিল নদী ঘেসা অঞ্চলগুলোতে যাতায়াত মাছ ধরা এবং জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে তারা বাসস্থান নির্বাচন করত।
অতীতে আমাজন বনের যে সকল মানুষের বসবাস ছিল তারা প্রচলিত বিশ্বাস এবং কর্ম ক্ষমতার ভিত্তিতে বিভিন্ন সমাজ বিভক্ত ছিল বর্তমানে বিভিন্ন জাতের প্রায় দুই কোটি আদিবাসী মানব আমাজন বনের ভেতরে বাস করে 1600 শতাব্দীতে আমাজনে ইউরোপীয়দের আগমনের ফলে অ্যামাজনীয় সংখ্যার হ্রাস পেতে থাকে ।
গবেষণায় দেখা যায় আমাজনের 11 দশমিক 8 শতাংশ জায়গা সেখানকার অধিবাসীরা ব্যবহার করছে কিন্তু তাদের দ্বারা বোনের জীববৈচিত্রের তেমন কোন ক্ষতি সাধন হয় অথচ আমাজন অঞ্চলে ইউরোপীয়দের আগমনের পর থেকেই বনের জীব বৈচিত্র ব্যাহত হতে থাকে ।
বর্তমানে আমাজন বনের প্রায় 400 থেকে 500 টি আমেরি ইন্ডিয়ান আদিবাসী জনগোষ্ঠী বাস করে।ধারণা করা হয় এদের মধ্যে কমপক্ষে 50 টি আদিবাসী গোষ্ঠীর সাথে পৃথিবীর সভ্য সমাজের কোনো সম্পর্ক নেই ।
আমাজনের আদিবাসী মতোই আফ্রিকার জঙ্গলের আদিবাসী আছে যারা সভ্য পৃথিবীর সাথে কোন যোগাযোগই রাখতে চায় না কঙ্গোর জঙ্গলে বসবাসরত এমনই এক মানব সম্প্রদায় হল পিগনি মাত্র 4 উচ্চতার এই মানুষটি পৃথিবীর সবচেয়ে খাটো মানব সম্প্রদায় হিসেবেও পরিচিত সভ্য সমাজের কাছে বন মানুষ হিসেবে পরিচিত জঙ্গলের সন্তান ।
অ্যামাজনের বনভূমি হ্রাস পাওয়ার কারণ
আমাজনের বৃক্ষরাজি পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের 20 শতাংশ অক্সিজেন তৈরিতে ভূমিকা পালন করে সেই সাথে বাতাস থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বণ-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে আর এ কারণেই আমাজন পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে বিবেচিত কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সারা বিশ্বের মতো আমাজনেও অবাধে চলছে বৃক্ষনিধন বনের গাছ কেটে বসতি স্থাপনের কারণেই প্রধানত আমাজনের বনভূমি রাস পাচ্ছে ।
1960 সালের আগে আমাজনের ভিতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় শুধুমাত্র প্রাচীন পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমাজনের জমিতে চাষ করা হতো কিন্তু আমাজনের জমিগুলো বছরের অল্প সময়ের জন্য উর্বর থাকে সে কারণে চাষিরা সব সময় নতুন জমির খোঁজে বন উজাড় করতে শুরু করে ।
1970 সালে শুরু হয় ট্রানঅ্যামাজন হাই ওয়ে নির্মাণের কাজ। ভাগ্যবশত আমাজনের হুমকিস্বরূপ এই হাইয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায় তারপরও 1990 সালের মধ্যে আমাজনের চার লক্ষ কিলোমিটার এলাকার বনভূমি ধ্বংস করা হয় ।
2000 সালে আমাজনের উদ্ধারকৃত বনভূমির পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ লাখ 87 হাজার বর্গকিলোমিটারের ।অপরিকল্পিত বন নিধনেরকারণে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন আগামী 50 বছরের মধ্যে আমাজনের বনাঞ্চল বিলীন হয়ে যেতে পারে ।এত দ্রুত আমাজনের বন নিধনের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়ন এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে ।
বিশ্বের বৃহত্তম জঙ্গল বাণিজ্যিক কারণে নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে 2018 সাল নাগাদ বিজ্ঞানীদের হিসেবে অ্যামাজনের শতকরা 70 ভাগ এলাকায় উজাড় হয়ে গেছে তাদের আশঙ্কা অনুযায়ী পরিমাণ শতকরা 25 ভাগ ছাড়িয়ে গেলে অ্যামাজন ক্রমান্বয়ে বনাঞ্চল থেকে তৃণভূমিতে পরিণত হবে।
যার ফলে জঙ্গলে বিদ্যমান জীব বৈচিত্রের একটা বড় অংশই বিরক্ত হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী 991 থেকে 2000 সাল পর্যন্ত 10 বছরে প্রায় দুই লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকার বনাঞ্চল উজাড় করা হয়েছে এই জমি সরকারি এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে গবেষক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে বিষয়টি স্বল্পমেয়াদী বেশি লাভজনক হলেও দীর্ঘ মেয়াদে পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে
অ্যামাজন জঙ্গলে বৃষ্টিপাত
অ্যামাজন জঙ্গলে প্রতি বছর গড়ে 120 ইঞ্চি বা 10 ফুট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় তবে কোথাও কোথাও বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 4ইঞ্চি বা 33 ফুট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এমন বৃষ্টিপাতের পরে আমাজন জঙ্গলে বিদ্যমান প্রায় চারহাজার কোটি গাছের ডালপালা এখনো যে অনেক সময় বৃষ্টির পানি মাটি পর্যন্ত পৌঁছতে 10 মিনিটের বেশি সময় লেগে যেতে পারে ডালপালার ঘনত্বের কারণে অ্যামাজনের মাটিতে শতকরা 1 ভাগের বেশি সূর্যের আলো পৌঁছায় না
আশা করি আপনারা এই পোস্ট থেকে অ্যামাজন জঙ্গল সম্পর্কে অনেক ধরনের তথ্য জানতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত এ ধরনের নিত্য নতুন তথ্য পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এবং এই ওয়েবসাইটে পূর্বে আরো তথ্যমূলক পোষ্ট রয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন ।