যুক্তরাজ্য কোন দেশ-ব্রিটেন কোন দেশ-অয়েসল কোন দেশ-স্কটল্যান্ড কোন দেশ

ইউ কে এর পুরো নাম পড়লে বিষয়টি বুঝতে পারবেন দেশটির পুরো নাম হচ্ছে দ্য ইউনাইটেড কিংডম অফ গ্রেট ব্রিটেন এন্ড নর্দান আয়ারল্যান্ড

    এই পোস্টে ব্রিটিশদের জট খোলার চেষ্টা করব ।ব্রিটেনের, ইউ কে, অথবা যুক্তরাষ্ট্র  এই তিনটা দেশের  নাম নিয়ে কমবেশি আমরা প্রত্যেকেই কখনও না কখনও ধাঁধায় পড়েছি  সন্দেহ নেই ।এই তিনটি দেশের বিস্তারিত জানার জন্য এই পোষ্টি বিস্তারিত দেখুন তাহলে সম্পূর্ন বুঝতে পারবেন তাহলে শুরু করা যাক-

    ফুটবল ক্রিকেট দেখতে গেলে সেখান থেকে ইংল্যান্ড আবার অলিম্পিকে গেলে ইংল্যান্ড নামের কেউ নেই পদক তালিকা এ গ্রেট বৃটেনের নাম আবার আপনি যদি বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী হন তাহলে হয়তো জেনে থাকবেন জাতিসঙ্ঘের ইংল্যান্ড কিংবা গ্রেট ব্রিটেন কোন দেশ নেই । জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে ইউনাইটেড কিংডম যুক্তরাজ্য ।

    একসাথে আবার আয়ারল্যান্ড ,ওয়েলস , স্কটল্যান্ড, এর একটা জট সবকিছু গুলেয়ে যাবার আগেই চলুন ব্রিটিশদের জট খোলার চেষ্টা করি  নিম্নে দেখুন ব্রিটিশদের জট । মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তানা হলে গুলিয়ে যাওয়ার সম্ভনা রয়েছে।


    কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার নাম কি এবং কুয়েতের টাকার ছবি জানতে ক্লিক করুন



    যুক্তরাজ্য কোন দেশ-ব্রিটেন কোন দেশ-অয়েসল কোন দেশ-স্কটল্যান্ড কোন  দেশ

    এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানতে ক্লিক করুন

     
    যুক্তরাজ্য কোন দেশ-ব্রিটেন কোন দেশ-অয়েসল কোন দেশ-স্কটল্যান্ড কোন  দেশ 

    সবার আগে জানুন আইল্যান্ড সম্পর্কে সর্বপ্রথম আয়ারল্যান্ডের গোলক ধাঁধাঁ  থেকে বের হওয়া যায়। ইউরোপের মানচিত্রে মোটামুটি যে দুটি দ্বীপ দেখা যায় বড় তাদের মধ্যে বাঁদিকের অপেক্ষাকৃত ছোট  দীপ হচ্ছে আয়ারল্যান্ড। একটা সময় বাঁদিকের সম্পূর্ণ দ্বীপটি নিয়েই নাম ছিল আয়ারল্যান্ড। 

        

     1921 আয়ারল্যান্ড দুই  ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় ।উত্তরের ছোট্ট একটা অংশ নিয়ে গঠিত হয় নর্দান আয়ারল্যান্ড এবং বাকি অংশের নাম হয় রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড আর  ডানদিকের অপেক্ষাকৃত বড়  দ্বীপ  হচ্ছে গ্রেট ব্রিটেন।


    অনেকেই পুরো দ্বীপটিকে ইংল্যান্ড ভেবে  ভুল করেন সত্যিয়ে  ইংল্যান্ড ওখানেই আছে এবং সাথে আছে আরো দুটো দেশ স্কটল্যান্ড আর ওয়েল উত্তরের বড় একটা অংশ স্কটল্যান্ড দক্ষিণের প্রায় পুরোটাই ইংল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের পশ্চিমবঙ্গের ছোট একটা অংশ ওয়েলস অবস্থিত আর এই গ্রেট বৃটেনের সাথে নর্দান আয়ারল্যান্ড মিলে হয় একটি দেশ যুক্তরাজ্য বা  ইউনাইটেড কিংডম ।


    ইউ কে এর পুরো নাম পড়লে বিষয়টি বুঝতে পারবেন দেশটির পুরো নাম হচ্ছে দ্য ইউনাইটেড কিংডম অফ গ্রেট ব্রিটেন এন্ড নর্দান আয়ারল্যান্ড অর্থাৎ ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড নর্দান আয়ারল্যান্ড এই চারটি দেশ মিলে যুক্তরাজ্য ইউনাইটেড কিংডম ।


    কথা হচ্ছে এই চারটি যদি নিজেরাই দেশ হয় তারা সবাই মিলে আবার কেমন করে নতুন আরেকটা দেশ হিসেবে থাকে যুক্তরাজ্য   অনেকটা দেশের ভেতর দেশ এর মতন একটা ব্যাপার স্কটল্যান্ড ওয়েলস নর্দান আয়ারল্যান্ড সবারই নিজস্ব জাতীয় পতাকা পার্লামেন্ট ভোটিং সিস্টেম রাজধানী এবং সাহিত্য শাসিত প্রশাসন রয়েছে ।


    কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এখনও তারা পুরোপুরি সার্বভৌম নয় পৃথিবীর মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ কি হচ্ছে যুক্তরাজ্য গত প্রায় 500 বছরের ইতিহাসে নানারকম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকেরে যুক্তরাজ্য।


    ইংল্যান্ড আর ওয়েলস একত্র হয়  1936 সালে এর পর  1907 সালে স্কটল্যান্ড যুক্ত হয় ইংল্যান্ডের সাথে তখন ইংল্যান্ড ,স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এই তিনটি  দেশ নিয়ে গঠিত হয়   দ্য কিংডম অফ গ্রেট ব্রিটেন।


    প্রায় 100 বছর পরে 1801 সালে আয়ারল্যান্ডে যুক্ত হয় গ্রেট বৃটেনের সাথে। তাতে নাম পরিবর্তন করে  নতুন নাম হয় দ্যা ইউনাইটেড কিংডম অফ গ্রেট ব্রিটেন এন্ড আয়ারল্যান্ড ।

    এরপর গত শতাব্দীর শুরুর দিকে এসে আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণের অধিকাংশ মানুষ গ্রেট ব্রিটেন থেকে সরে আসতে চাইলে আয়ারল্যান্ড ভেঙে দুটো দেশ  হয়ে যায় দক্ষিণা রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রকাশিত হয় আর নর্দান আয়ারল্যান্ড বৃটেনের সাথে হয়ে গেলে আবারনতুন নাম নিতে হয় যুক্তরাজ্যের  সেটি এখনও বিদ্যমান ।

     

    যতটা সহজেই যুক্ত হয়ে যায় আর আলাদা হয়ে যায় বলে ফেললাম ইতিহাসটা অতটা সহজ ছিলো না দুটো প্রক্রিয়াতেই দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম যুদ্ধ আর রক্তপাত হয়েছে স্বায়ত্তশাসিত দেশ হলেও স্কটল্যান্ড ওয়েলস আর নর্দান আয়ারল্যান্ড সার্বভৌম দেশ না হওয়ার কারণ হচ্ছে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ।


    কাগজে-কলমে বাকিংহাম প্যালেসে যুক্তরাজ্যের সব ক্ষমতার অধিকারী গত 65 বছরের ধরে পুর  বৃটেনের  রানী হয়ে আছেন   দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার আগে আরো 65 জন রাজা এবং রাণী শাসন করেছেন ব্রিটেনকে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিন ধরেই সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান যেখানে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এর অধীনে যুক্তরাজ্য পরিচালিত হয় রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাম্রাজ্যের প্রধান ।

     

    আর রাষ্ট  এবং সরকারের প্রধান হচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ।এই চারটি দেশ রানীকে রাজ্যের প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নিজেরা স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীন প্রশাসনের অধিকার পেয়েছে অন্তত কাগজে-কলমে এখনো ব্যাপারটা তাই রয়ে গিয়েছে যদিও চাইলেই যে কোন রাজ্য এ  রাজ্য পরিচয় থেকে বেরিয়ে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে ।


    2014 স্কটল্যান্ডে এই নিয়ে গণভোট হয় । পড়তে অবাগ লাগলেও যেখানে খানিক  ব্যবধানে বৃটেনের অংশ হয়ে থাকেতে  চাওয়া মানুষেরাইবিজয় বিজয় লাভ করে।

     

    এখনো স্কটল্যান্ডে এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড এর অনেক জনগণ মনে করেন তাদের যুক্তরাজ্য থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া উচিত হয়তো আরো বছর কয়েকের  মধ্যেই দেশ দুটিতে  আবারো গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।  চারটি দেশে বসবাসকারী মানুষের আলাদা চারটি জাতির নাম যথাক্রমে ইংলিশ, স্কটিশ ওয়েলস, এবং নর্দান আইরিশ । 


     ভাষা ও পুরোপুরি এক না অথচ তাদের কারণে আলাদা পাসপোর্ট নেই এদের সবাই ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ব্রিটিশ নাগরিক। ঠিক করে বলতে সবাই এমনকি নর্দান আয়ারল্যান্ড এর মানুষেরাও ইউনাইটেড কিংডম এ বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিক আসলে বিষয়টা হয়তো জটিল ঘটনা যদি না বিভিন্ন খেলার বিভিন্ন রকম রুপ না থাকতো ।


    ফুটবল বিশ্বকাপে চারটি দেশ আলাদা আলাদা আন্তর্জাতিক দল নিয়ে অংশগ্রহণ করে সবার নিজেদের আলাদা আলাদা নিজেদের আলাদা বোর্ড  এবং লিগ আছে।


     ক্রিকেট হিসাবটা একটু অন্যরকম সেখানে চারটি আলাদা জাতীয় দল থাকলেও ক্রিকেট  বোর্ড তিনটি  নর্দান আয়ারল্যান্ড এবং  স্কটল্যান্ড এর আলাদা আলাদা বোর্ড  আছে ।কিন্তু অয়েলস আর ইংল্যান্ডে মিলে একটি ক্রিকেট বোর্ড  যার নাম হচ্ছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েস ক্রিকেট বোর্ড। 

     

    আবার জাতিসংঘের মতে অলিম্পিকেও পুরো  ইউনাইটেড  কিংডম একসাথে একই পতাকার নিচে অংশগ্রহণ করে তবে বিশ্ব খেলাধুলার এই সর্বোচ্চ আসনে তাদের নাম হয় গ্রেট ব্রিটেন এসব জটিলতার মধ্যে আবার রয়েছে চারটি দেশের আলাদা পতাকা এবং সম্মিলিত পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক ।

    ইংল্যান্ড কি- গ্রেট ব্রিটেন কি - যুক্তরাজ্য কি আরো বিস্তারিত

     


    ইংল্যান্ড কি- গ্রেট ব্রিটেন কি - যুক্তরাজ্য কি আরো বিস্তারিত


    ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ ব্রিটিশ নামটির সাথে খুব ভালোভাবেই পরিচিত প্রায় 200 বছর তারা অন্যায় ভাবে আমাদের দেশ শাসন করলেও তাদের দেশ সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি প্রথমেই আলোচনা করা যাক গ্রেট ব্রিটেন সম্পর্কে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি দ্বীপ হল গ্রেট ব্রিটেন এই দ্বীপের আয়তন প্রায় 2 লক্ষ 30 হাজার বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশের আয়তনের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ বড় ।

    জনসংখ্যা

    গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপ ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ এবং পৃথিবীর  নবম বৃহৎ দ্বীপ এর প্রায় সাড়ে 6 কোটি লোক বসবাস করে জনসংখ্যার বিচারে গ্রেট ব্রিটেন পৃথিবীর তৃতীয় জনবহুল দ্বীপ  ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপ এবং জাপানের হংস দেব পরেই এর অবস্থান ।


    গ্রেট ব্রিটেন  সুধু বৃহৎ দ্বীপ নয় এটি একটি বিশাল দ্বীপপুঞ্জ বটে গ্রেট বৃটেনের মূল দ্বীপ কে কেন্দ্র করে এর আশেপাশের প্রায় 1000 টি ছোট দ্বীপ আছে ।গ্রেট ব্রিটেন দিতে তিনটি রাজ্য বা দেশের অবস্থান দেশগুলো হলো ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস । এসব রাজ্যের আলাদা আলাদা রাজধানী আছে যেমন 


    ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন,

    স্কটল্যান্ড রাজধানী এডিনবরা 

    ওয়েলসের রাজধানী কার্ডি


    ভৌগোলিক অবস্থান

    ভৌগলিক এবং রাজনৈতিকভাবে এই তিনটি দেশকে একসাথে বোঝাতে গ্রেট ব্রিটেন বলা হয় এবার আসা যাক যুক্তরাজ্যের ব্যাপারে গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপ সহ  বাইরের আরো বেশ কিছু অঞ্চল এবং দ্বীপ মিলে  যুক্তরাজ্য গঠিত তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো উত্তর আয়ারল্যান্ড।


     উত্তর আয়ারল্যান্ড

    তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো উত্তর আয়ারল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশের তৃতীয় বৃহৎ এবং পৃথিবীর 20 তম  বৃহত আয়ারল্যান্ড।আইরিশ সাগর এর মাধ্যমে র মাধ্যমে থাইল্যান্ড দ্বীপ এবং গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপ দুটি পৃথক হয়েছে।


    যুক্তরাজ্য

    আইল্যান্ড দ্বীপের উত্তর দিকের একটি অংশ আইল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যুক্তরাজ্যের মধ্যে রয়েছে সেজন্য ব্রিটিশদের এই দেশের আনুষ্ঠানিক নাম হল ইউনাইটেড কিংডম অফ গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড নর্দান আয়ারল্যান্ড অর্থাৎ গ্রেট বৃটেনের তিনটি রাজ্য এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড মিলে গঠিত দেশকে যুক্তরাজ্য নামে পরিচিত 


    গ্রেট ব্রিটেন

    গ্রেট ব্রিটেন এর সবচেয়ে প্রাচীন নাম হল এলবিয়ন যার অর্থ এলবিয়ন জাতির বিগ তবে 2000 বছর আগে এই দ্বীপপুঞ্জ পিটানিক নামে পরিচিত ছিল । পরবর্তীতে রোমানরা সেখানকার মূল দ্বীপটি   দখল করার পর থেকে অঞ্চলটি ব্রিটানিয়া নামে পরিচিতি পেতে থাকে ।

     ব্রিটানিয়া অর্থ হল ব্রিটনদের দেশ গ্রিক লেখকদের টলেমি এই অঞ্চলের দীপ গুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে ব্রিটেনের দ্বীপকে বড় দ্বীপ ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড দ্বীপ কে ছোট ব্রিটেনের হিসেবে উল্লেখ করে ।

     রাজনৈতিক

    সেখান থেকেই বড় দ্বীপ বা গ্রেট ব্রিটেন নামটির প্রচলন হয় বর্তমানকালে ভৌগলিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রেট ব্রিটেন বলতে বৃহৎ এই দ্বীপকে এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইংল্যান্ড ,স্কটল্যান্ড  এবং ওয়েলস কি বুঝায় ।

    গ্রেট ব্রিটেন মধ্যে উত্তর আয়ারল্যান্ড অন্তর্ভুক্ত নয় তবে অনেক সময় সমগ্র যুক্তরাজ্য বোঝাতে গ্রেট ব্রিটেন নামটি ব্যবহৃত হয় যদিও ভৌগলিক সংজ্ঞা অনুযায়ী তা সঠিক নয়  ।


     ইংল্যান্ড

    তবে সবচেয়ে প্রচলিত ভুল টি হলো যুক্তরাজ্যকে ইংল্যান্ড নামে সম্বোধন করা ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গেছি ইংল্যান্ড হলো যুক্তরাজ্যের চারটি রাজ্যের মধ্যকার একটি মাত্র রাজ্য তবে ইংল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজ্য সমগ্র গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের তিনভাগের দুইভাগ অঞ্চল জুড়ে ইংল্যান্ডের অবস্থান ।


    ইংল্যান্ড এর জনসংখ্যা

    ইংল্যান্ড এর আয়তন প্রায় বাংলাদেশের সম্মান। এই রাজ্যটি ইংলিশ চ্যানেলের মাধ্যমে ইউরোপের মূল ভূখন্ড থেকে পৃথক হয়েছে জনসংখ্যার দিক থেকেও রাজ্যটির সবচেয়ে বেশি জনবহুল শুধু জনবহুল  বললে কম বলা হবে কারণ সমগ্র যুক্তরাজ্যের 83 শতাংশ লোক ইংল্যান্ডেই বসবাস করে ।


    লন্ডন কোন দেশের রাজধানী

    ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন যুক্তরাজ্যের ও রাজধানী ।লন্ডন শুধু ইংল্যান্ড বা যুক্তরাজ্যের নয় সমগ্র ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ নগর এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র ইউরোপ-আমেরিকার শহরগুলো তুলনায় লন্ডন অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ কারণ সমগ্র যুক্তরাজ্যের 13 শতাংশেরও বেশি লোক এই একটিমাত্র শহরে বাস করে ।


    বাকিংহাম প্যালেস

    লন্ডন সহরে  থাকা বাকিংহাম প্যালেস পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজপ্রাসাদ ।অতীতে এখান থেকেই ব্রিটিশরা সারাবিশ্বের চারভাগের একভাগ অঞ্চল শাসন করেছে সেজন্য উনিশ শতকের শুরু থেকে শহরটি বহুজাতিক বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক বিশ্ব নগরীতে পরিণত হয় ।বর্তমানেও প্রতিবছর প্রায় দুই কোটি লোক বিখ্যাত লন্ডন শহরে ঘুরতে আসে।


    যুক্তরাজ্যের রাজ্য

    যুক্তরাজ্যের রাজ্য গুলোর মধ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক থেকে ইংল্যান্ডের পরেই স্কটল্যান্ড এর অবস্থান। আঠারো শতকের  স্কটিক  নবজাগরণের পর থেকে স্কটল্যান্ড ইউরোপের বুদ্ধিবৃত্তিক শিল্প শক্তি এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয় স্কটল্যান্ড এর মূল ভূখণ্ড ছাড়াও এর অধীনে 790 দ্বীপ আছে ।


    স্কটল্যান্ড এর আয়তন এবং টাকার নাম

    স্কটল্যান্ড বাংলাদেশের চাইতে দেড় গুণ এর বেশি বড়। 300 বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে একত্রিত হলেও এখনো পর্যন্ত স্কটল্যান্ড এর নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা এবং নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে যুক্তরাজ্য স্কটল্যান্ড এর মুদ্রার নাম পাউন্ড স্টার্লিং ।


    তবে স্কটল্যান্ড এর ব্যাংকগুলো তাদের মুদ্রা নিজেরাই ছাপায়।1999 সালে স্কটল্যান্ড স্বায়ত্তশাসন অর্জন করে ।তখন থেকে তাদের নিজস্ব পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হয় ।বর্তমানে স্কটল্যান্ড এর সবচেয়ে বড় শহরগুলোর গ্লাসগো এবং রাজ্যের রাজধানী এডিনবরা এর দ্বিতীয় বৃহৎ শহর।


    যুক্তরাজ্যের তৃতীয় বৃহৎ রাজ্য হল  অয়েলস।অয়েলস  আয়তন বাংলাদেশের সাত ভাগের এক ভাগ এই দেশের অধিকাংশ এলাকা পর্বতমালা তাছাড়া ওয়েলসের রুক্ষ এব্রক থেব্রু সমুদ্র উপকূলের জন্য রাজ্যটি সুপরিচিত ।


    উত্তর আয়ারল্যান্ড 

    ওয়েলস এর প্রধান শহর এবং রাজধানী হল কার্ডিফ যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত সবচেয়ে ছোট রাজ্য উত্তর আয়ারল্যান্ড রাজ্যটি বাংলাদেশের আয়তনের দশভাগের একভাগ মাত্র ।এই দেশের সবচেয়ে বড় শহর এবং রাজধানী হল বেলফাস্ট।

     বেলফাস্ট 

    অতীতে বেলফাস্ট জাহাজনির্মাণ শিল্পের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এখানেই ছিল তৎকালীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ শিপইয়ার্ড বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক এই বেলফাস্টে নির্মাণ করা হয়েছিল । 

    বন্ধুরা আশাকরি আমি আপনাদেরকে ইংল্যান্ড গ্রেট ব্রিটেন এবং যুক্তরাজ্য কি-কেন-কিভাবে এবং তাদের পরিচিত সম্পূর্ণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তো আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এ এবং আপনারা সম্পুর্ন পোস্ট করেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।


     এধরনের পোষ্ট প্রতিনিয়ত পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্য মূলক পোস্ট করা হয় এজন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে আরো রয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন যা আপনার উপকারে আসবে। 


    LikeYourComment