থাইরয়েড হরমোন কমানোর উপায়
সালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা ভালো আছেন এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে থাইরয়েড হরমোন কমানোর উপায় আপনারা মনোযোগ সহকারে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে থাইরয়েড হরমোন কমানো যায়। নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে দেখুন:-
এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানতে ক্লিক করুন
থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না জানতে ক্লিক করুন
থাইরয়েড হরমোন কমানোর উপায়
থাইরয়েড দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হাইপোথাইরোডিজম যেটা ডাক্তার গন কমলি দেখে থাকে অথাং আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমন অথাৎ হাইপার থাইরয়েডিজম হাইপার যে আপনার হাইপার গ্ল্যান্ড থেকে থঅইরয়েড বেশি বেশি বের হচ্ছে।
এখ থাইরয়েডর খুঁটিনাটি নিয়ে আপনাদের ধারণা দিব । কোনো রোগী ডাক্তারের কছে কোনো থাইরয়েড রিপোট নিয়ে যান । তখন ডাক্তার গন তাদের কে প্রথম প্রশ্ন করে থাকেন -রোগী কোন কেটাগরিতে পরে । আপনারা অবশ্যই জানেন ডাক্তাররা থাইরয়েড পরীক্ষা করার জন্য যে পরীক্ষাগুলো দিয়ে থাকে তা হল ট্রি 3 , ট্রি4, ট্রি এস এইচ ট্রেস্ট গুলো দিয়ে থাকেন।
তারমধ্যে টিএসএইচ অথাৎ থাইরয়েড হরমোন । টি এস এইচ এই পরিক্ষাটি ডাক্তার গন বেশি দিয়ে থাকেন এবং এটি সচর আচর দেখা যায় ।মজার ব্যাপার হলো টিএসএইচ এবং থাইরয়েড ফাংশন এটি উল্টো পথে চলে সেটাকে বলা হয় রেসিপ্রোকাল রিলেটেড।
আমাদের অনেকই ধারণা আছে যে থাইরয়েড যদি আমাদের কম থাকে থাইরয়েড হরমোন বা হাইপোথাইরয়েডিজম থাকবে তার মানে আমাদের ট্রি এস এইচ ও কম থাকবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিটা অপজিট অফ বা উল্টো
আপনি যদি হাইপাথাইরয়েডিজম রোগীর হন তাহলে আপনার ট্রি এস এইচ সাধারণের থেকে বেশি বেশি থাকবে রক্তে যদি হাইপার যদি থাইরয়েডিজম অর্থাৎ আপনার রক্তে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে টিএসএইচ খুব কম থাকে0.005 এরকম ডাক্তার গন পেয়ে থাকেন ।
সুতরাং অনেকেইটিএসএইচ কম কি বেশি দেখে হাইপার ধারণা করার চেষ্টা করেন কিন্তু মনে রাখতে হবে সেটি উল্ট পথে চলে। দ্বিতীয় কথা ট্রি 3 , ট্রি4, ট্রি এস এইচ ডাক্তার গন এবং রোগিরা এক নিঃশ্বাসে বলে থাকেন।
অনেকে বোঝে থাইরয়েড টেস্ট করা মানে সবসময় এই তিনটে একত্রে করা মূলত তা নয়। ডাক্তাদের ব্যাখ্যাটা অন্যরকম কিন্তু আপনি যদি হাইপোথাইরয়েডিজম ডাক্তার গন সন্দেহ করে । তখন হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীর চিকিৎসা করে । সে ক্ষেত্রে ডাক্তার গন ট্রি 3 , ট্রি4, ট্রি এস এইচ কোন রোল উত্তর হয় না ।
ডাক্তাদের শুধু ট্রি4, ট্রি এস এইচ করতে হয় এক্ষেত্রেও ট্রি4, ট্রি এস এইচ শুরুর দিকে ডায়াগনোসিসের জন্য লাগে ডাক্তার গন ওষুধ দেওয়ার পরে যখন পেশেন্টকে ফলোআপ করে বা পর্যায়ক্রমে দেখতে থাকে তখন শুধু টিএসএইচ করে ডাক্তার গন ফলোআপ করতে পারে। টিএসএইচ পরিমাপের ওপরই নির্ভর করে আপনার ওষুধের দোষ কি হবে।
কিন্তু যখন আপনি হাইপার থাইরয়েডিজম ভাবছেন বা তার জন্য ব্যবস্থা নিচ্চেন। তখন কিন্তু ট্রি 3 রোল রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ডাক্তার গন ট্রি 3 , ট্রি4, ট্রি এস এইচ তিনটি টেষ্ট ডাক্তার গন একত্রে করে থাকেন।
সুরাং আমাদের মনে রাখতে হবে ডাক্তার যে হাইপোথাইরয়েড দেখে বা আপনি যদি ভাবেন যে আপনারা হয়তো হচ্ছে আপনি জানতে চান আছে কিনা তাহলে শুধু টিএসএইচ করালেই হয় কিছু করার দরকার লাগে না
মুন্নি আমরা যে হাইপোথাইরয়েড দেখি আপনি যদি ভাবেন যে আপনারাই কোথায় গাজন হয় তো হচ্ছে আপনি জানতে চান আছে কিনা তাহলে শুধু ট্রি4, ট্রি এস এইচ করালেই হয় ট্রি 3 করার দরকার লাগে না ।
একটা ব্যতিক্রম আছে সেন্ট্রাল হাইপোথাইরয়েডিজম যেখানে ট্রি4, ট্রি এস এইচ দুটোই কম আসতে পারে সেটি নিয়ে আলোচনা করব না সেই বিষটি একটু জটিল হযে যাবে।
ডাক্তারকে বা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন থাইপোথাইয়েহ হলে আমাদের খাওয়া-দাওয়া কি করতে হবে । থাইরয়েড রোগির জন্য খাওয়া-দাওয়ার কোন বিধি-নিষেধ নেই। বিষেশ করে হাইপোথাইরয়েডিজম রোগিদের জন্য।
অকেরই বাঁধাকপি ধারণা আছে যে বাঁধাকপি খেলে হয়তো আপনার তাইপোথাইরযেড বৃদ্ধি পায় । এটা আসলে সটিক নয় এটি এক ধরনের ভ্রন্তা ধারনা । বাধাঁকটি ডাক্তারি ভাষায় গয়েট প্রজেন্ট বলে। অর্থাৎ আপনি যদি এগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করেন তাহলে আপনার গলগন্ড অথাৎ গলায় থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ফুলে যায় সেটি থিওরোডি ক্যাল সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কিন্তু প্রথম কথা মনে রাখতে হবে যে পরিমাণ গয়েট প্রজন্ট হিসেবে কাজ করলে তার পরিমাণ অনেক বেশি হতে হয় সচরাচর আমরা নরমাল ডেলিভারি ঐ পার্টিকুলার সবজি কখনোই খাইনা। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে আপনি কী খাচ্ছেন বা না খাচ্ছেন সেটা আপনার হয়তো গয়েট প্রজেন্ট থিরডিক্যালা হিসেবে গণ্য হতে পারে।
কিন্তু রক্তে থাইরয়েডের ক্ষেত্রে তার খুব একটা রোট নেই আপনার টিএসএইচ এর উপর আপনার ওষুধের ডোজ নির্ধারিত হয় এটি ট্রি এস এইচ সঙ্গে এর কোনো অন্যঅন্য সম্পর্ক নেই সুতরাং এক কথায় যদি আমরা বলি বাংলায় থাইরয়েড এর জন্য খাওয়া-দাওয়ার কোনো বিধিনিষেধ নেই।আপনি সচ্ছন্দে সমস্ত কিছু খেতে পারেন ।
ওষুধ খাবার নিয়ম সম্বন্ধে আমাদের অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে যেমন আমরা শুধু মনে করি যে থাইরয়েডের ওষুধ টা সকালে খালি পেটে খেলে এই হয়ে যায় এটা অনেকাংশে সত্যি কিন্তু আরো কতগুলো খুঁটিনাটি জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে প্রথম কথা হ্যা ।
থাইরয়েডের ওষুধ মানে এক্ষেত্রে আমরা নিব থাইরক্সিন এর কথা বলছি যেটা বাজারে এলট্রক্সিন থাইরক্স আরো অন্য নাম ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।
ডাক্তার গন যে ট্রি 4 রক্তে ট্রেস্ট করে সেই থাইরক্সিন হচ্চে ট্রি 4 । মূলত ট্রি 4 হরমন সেটি টেবল হিসেবে খেয়ে থাকেন।
ঔষধ সাধারনত সকালে খালি পেটে খেতে হয় সত্যি কথা কিন্তু মনে রাখতে হবে ওষুধের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার একটা ত্রিশ চল্লিশ মিনিটের গ্যাপ রাখতে বলা হয় ওষুধ খাওয়ার পরে আমরা সচরাচর চা বা অন্য খাবার খেয়ে থাকি বা ওষুধ সঙ্গে সঙ্গে ট্রি খান ।
এই কাজ গুলো করলেই ভালো যদি আপনি খাবার এবং ঔধন সেবনে 30-40 মিনিট সময় মাঝ রাখতে পারেন । তাহলে ঔষধর এবজবশন টা ভালো হয় কেউ যদি লম্বা সময়ের জন্য আয়রন ক্যালসিয়াম গ্যাসের ওষুধ খান । তাহলে সেগুলো সাধারনত দুপুরেই বা রতে নেওয়া ভালো ।
কেননা থাইরয়েডের ওষুধের সঙ্গে খেলে দেখা গেছে থিওরিটিক্যাল থাইরয়েডের ওষুধের আবার এবজমশন যার মানে শরীরের মধ্যে ওষুধ যায় কম।
যদি কক্ষন আপনি ওষুধ খেতে ভুলে যান অনেকে ঐ ডোজ আর খেয়ে থাকেন না।দুপুরে বা বিকেলে খেয়ে নেন এটা কখনোই করবেন না যদিও বলা উচিত নয় থাইরয়েডের ট্রিটমেন্ট লাইভ লোং চলে হাইপোথাইরয়েডে ঔষধ।
তবু যদি কখনো মিস হয়ে যায় তাহলে পরদিন সকালে আপনি একসঙ্গে ডোবল ডোজ মানে এক সাথে দুই ডোজ এক সাথে খেয়ে নিতে নিতে পারেন। পরের দিন সকারে দুই ডোজ এক সাথে কেয়ে নিবেন।
তাতে কোন শরীরের ক্ষতি হয় না কিন্তু ওই ট্যাবলেটটা মিস করার থেকে পরদিন সকালে একসঙ্গে দুটো ট্যাবলেট খেয়ে নেওয়া ভালো না আপনার যে সারা সপ্তাহের কোটা ট্যাবলেটের থাইরক্সিনের সেটা যেন ঠিক থাকে।
এবার আলোচনা করি হাইপার থাইরয়েডিজম সম্পর্কে অর্থাৎ যেখানে শরীরের রক্তে থাইরয়েড এর মাত্রা বেশি আছে আপনার যখন ব্লাড টেস্ট করে তখন এক্ষেত্রে টি3 বা টি4 এর পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি আসে এবং টিএসএইচ সব সময় আনডিটেকটিভ বা খুব কম দেখা যায়।
এক্ষেত্রে ডাক্তার গন রক্তে থাইরয়েড হরমোন বেশি থাকাকে একচুয়াল ডাক্তারি পরিভাষায় থাকে থাইরক্সি । এই থাইরয়ের রক্তে দুটো কারনে বারতে পার পারে এটা আমাদের একটু জানতে হবে একটা হচ্ছে হাইপার থাইরয়েডিজম অর্থাৎ আপনার যে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড সেখান থেকে হরমোন বেশি তৈরি হচ্ছে ।
আরেকটা বলা হয় থাইরয়েডাইটিস অর্থাৎ সামন্ন ইনফর্মেশন হওয়ার জন্য সাময়িকভাবে কিছুটা হরমোন হঠাৎ করে রক্ত চলে আসে আপনি পড়ে বুঝতে পারছেন এটা সমরিক । এটা আমাদের জানা কেন জরুরী না কিন্তু ব্লাড রিপোর্ট দুটোরই এক থাকে । ট্রি3 ও ট্রি4 বেশি এবং টি এস এইচ কম।
কেন দুটোর থাইরডক্সি এর কারন । দুটোর ক্ষেত্রেই রক্তে থাইরয়েড হরমোন বেশি থাকে কিন্তু যদি হাইপারথাইরয়েডিজম হয় অর্থাৎ আপনার গ্যান্ড বেশি বেশি কাজ করছে সে ক্ষেত্রে তার কাজকে কমানোর জন্য ওষুধ দিতে হয়।
এই এন্টিথাইরয়েড মেডিকেশন সাধারণভাবে দেশ থেকে দু বছর দেওয়া হয় এছাড়াও কিছু বিকল্প চিকিৎসা আছে ।যদি থারয়েডক্সি হয় হাহলে কিন্তু কোনো চিকিৎসা লাগে না। কেনানা এটা নামেই সামরিক সুতরাং কয়েক মাসের মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে থাইরডের নরমালে চরে আসে আবর কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমে ও যায় ।
ডাক্তারগণ আপনাকে দেখে তারা চিকিৎসা দিবে থারয়েডক্সি তাহলে কোনো চিকিৎসা লাগেনা । যদি আপনার থাইরয়েড হয় তাহলে সেক্ষেত্রে এক থেকে দেড় বছর ওষুধ সেবন এবং চিকিৎসা করলে তা স্বাভাবিক চলে আসে।
আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন তো আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিন তাহলেই সম্পূর্ণ বিষয় বুঝতে পারবেন যে আপনার জন্য কি চিকিৎসা রয়েছে সেটি তারা দিবে এবং তার পরবর্তী সময়ে আপনি ভালো হয়ে যাবেন।।
আশা করি আপনারা থাইরয়েড সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন থাইরয়েড যদি হয় তাহলে তার লক্ষণ হচ্ছে আপনার গলা ফুলে যাওয়া এটাই মূলত প্রধান লক্ষণ অনেকে বলে থাকেন থাইরয়েড হলে নানা ধরনের খাবারের নিষেধাজ্ঞা খাবারে রয়েছে।
তো আপনারা উপরে পোস্ট পড়ে বুঝেছেন যে আপনাদের কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত মূলত খাবার খাওয়ার কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই ডাক্তার ভাষা থেকে বর্ণনা করা হয়েছে।
তো আপনারা নানা ধরনের পোস্ট দেখে ঘাবড়াবেন না থাইরয়েড দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি সমস্যার জন্য দ্বিতীয় কেস সময় লাগে যে রোগটি যাওয়ার জন্য কিন্তু একসময় সেটি শেষ হয়ে যায় এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে এ সময়ে ওষুধ সেবন করলে নরমাল পজিশনে আসা যায়।
থাইরয়েড নরমাল কত-থাইরয়েড হলে বাচ্চা নেওয়া যায় নাকি
থাইরয়েড নরমাল হল 2.5 এই লেভেল । এই মাত্রায় যদি আপনি থাইরয়েড নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি ওই সময় বাচ্চা নিতে পারেন।2.5 মাত্রায় থাইরয়েড আনা যায় খুব সহজে। এজন্য ডাক্তারের পড়ামশ নিতে হবে।
আশা করি আপনারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে থাইরয়েড কমানোর উপায় এবং থাইরয়েড নরমাল কত এবং বর্ণনা করা হয়েছে থাইরয়েড হলে বাচ্চা নেওয়া যাবে কি।
আসলে মূলত অনেকে অনেক ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন আবার অনেক অনেকেই অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাহলে নানা ধরনের খাবার নানা ধরনের খাবার পরামর্শ এবং আরো অন্যান্য বিষয় দিয়ে থাকেন যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।