মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদ

তেল রপ্তানিতে বিশ্বে দশটি দেশ তেল যোগান দিয়ে যাচ্ছেন আজকের এই পোষ্টে শিষে থাকে ১০ টি দেশের তালিকা এবং এসব দেশের আয় সহ বিভিন্ন ধরনের গুরুপ্ত তথ্য

    ব্ল্যাক গোল্ড বা  (Crude Oil)  যাই বলুন না কেন এটাকে পুঁজি করে বিশ্বের বড় দেশ নিজেদের সামগ্রী অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন করে নিয়েছেন। 2018 এক সমীক্ষা অনুযায়ী বিশ্বের প্রথম স্থান কারী রপ্তানি পণ্য হচ্ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল। 


    তেল রপ্তানিতে বিশ্বে দশটি দেশ তেল যোগান দিয়ে যাচ্ছেন আজকের এই পোষ্টে শিষে থাকে ১০ টি দেশের তালিকা এবং এসব দেশের আয় সহ বিভিন্ন  ধরনের গুরুপ্ত পূর্ন তথ্য দিব এই পোষ্টে তাই আপনার ধৈর্যসহকারে নিম্নে পোস্ট পরুন- 

    কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার নাম কি এবং কুয়েতের টাকার ছবি জানতে ক্লিক করুন

    যুক্তরাজ্য কোন দেশ-ব্রিটেন কোন দেশ-অয়েসল কোন দেশ-স্কটল্যান্ড কোন দেশ জানতে ক্লিক করুন

    এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানতে ক্লিক করুন

    মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদ-তেল রপ্তানিতে কোন দেশ প্রথম স্থান

    তেল রাজনীতি কাকে বলে ।তেল কূটনীত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

    মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদ 


    মধ্যপ্রাচ্য অনেক দেশ রয়েছে যাদের প্রচুর পরিমাণে অশোধিত পেট্রোলিয়াম জ্বালানি তেল সম্পদে রয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ তেল রপ্তানি করে তাদের সামগ্রী অর্থ পূরণ করেন।  এবং কি তেল বিক্রি করে সেসব দেশ অনেক ধনী হয়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে শেষে থাকা তেল রপ্তানি কারী দেশ এবং যেসব দেশ বেশি তেল রপ্তানি করে থাকে  সে দেশেরবর্ণনা করা হলো -


     kazakhstan

    তেল রপ্তানিতে 10 নাম্বারে রয়েছে  kazakhstan  ।  উত্তর মধ্য এশিয়ায় কাজাকিস্তান হল বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারী দেশ ।1991 সালে  ডিসেম্বর মাসে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে এই জাতিতে গঠিত হয়েছিল।2018 সালে এই দেশটি সারা বিশ্বব্যাপী তেল যুগান দিয়েছিল3.3 ভাগ। যার মূল্য প্রায় 37.8  বিলিয়ন ডলার ।


     nigeria

    তেল রপ্তানিতে 9 নাম্বারে রয়েছে nigeria । আফ্রিকা মহাদেশের  পশ্চিমে অবস্থিত ফেডারেল রিপাবলিক নাইজেরিয়া হল বিশ্বের নবম তেল রপ্তানিকারী দেশ। এদেশের রাজনৈতিক অবস্থা প্রজাতান্ত্রিক সরকার  হিসেবে দেশ পরিচালিত হয় ।এই দেশে প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়1960  সালে।


     নাইজেরিয়ান  ভূমির আকারে ভিত্তিতে   টেক্সাসের সাথে তুলনীয় । 2018 সালে দেশটি  বিশ্বব্যাপী  তেল যোগান দিয়েছিল 3.8 ভাগ । যার মূল্য দাঁড়ায় 43.6 বিলিয়ন ডলার।


    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র/ ইউনাইটেড স্টেট 

    তেল রপ্তানিতে 8  নাম্বারে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র/ ইউনাইটেড স্টেট । উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত মেক্সিকো এবং কানাডা সীমানায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর তৃতীয়তম বৃহত্তম দেশ।1st তেল রপ্তানি তালিকা রয়েছে অষ্টম নম্বরে।


    2018 সালে বিশ্বের মোট তলের  বিশ্বব্যাপী যোগান দিয়েছিল 4.3  বিভাগ।  যার বিক্রয় মূল্য দাঁড়ায় 48.3 বিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী 2014 সাল থেকে দেশটি থেকে অপরিশোধিত তেল আন্তর্জাতিক তেল বিক্রয় 3 শতক  বৃদ্ধি পেয়েছে। 


    ইরান

    তেল রপ্তানিতে সপ্তম স্থানে রয়েছে ইরান ।  ইরান মধ্যপ্রাচ্য স্থ্যল  অশ্চল  অনুসারী দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। 2018 সালের দৃষ্টি বিশ্বের মোট তেলে  4.5 ভাগ তেল যোগন দিয়েছিল । যার মূল  প্রায় 50 মিলিয়ন ডলারের ।

    কুয়েত

    তেল রপ্তানি করে কুয়েতের স্থান 6.. 1752 সালে প্রতিষ্ঠিতকুয়েত একটি ছোল তেল সম্পন্ন দেশ । যা উত্তরে সৌদি আরব এবং দক্ষিনে ইরাক বেষ্টিত। কুয়েতে তেল বিশ্বের মোট তেলের 10 ভাগ বিদ্যমান । দেশটি তেল রপ্তানি করে পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হয়েছে।

    কুয়েত 2018 সালে  পুরো বিশ্বে 8.6   ভাগ তেল  যোগ দিয়েছিল। যার মূল্য  প্রায় 51.7  বিলিয়ন ডলার।  এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ এর সুন্দর্য অনেক বেশি।


    আরব আমিরাত / দুবাই

     তেল রপ্তানি করে পাঁচ নম্বরে রয়েছে আরব আমিরাত । সংযুক্ত আরব আমিরাত রাজধানী   দুবাই আমরা সবাই চিনি। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত সাতটি স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি ফেডারেশন 1971 এই দেশগুলো স্বাধীনতা লাভ করে ।


    আরব আমিরাত 2018 সালে বিশ্বব্যাপী তেলের  যোগান দিয়েছে 5.3 ভাগ । যার মূল্য প্রায় 58.4  বিলিয়ন ডলার।

     

     কানাডা

    তেল রপ্তানি  দেশ হিসাবে 4 নাম্বারে রয়েছে কানাডা। উত্তর আমেরিকার উত্তর অংশে অবস্থিত একটি দেশ। 2018 সালে সারা বিশ্বব্যাপী তেল যোগান দিয়েছিল 5.9 ভাগ।  যার এর মূল্য প্রায় 66 .9 বিলিয়ন ডলার ধারণা করা হয় পুরো বিশ্বের 10 ভাগ হেলথ কানাডাতে রিজার্ভ রয়েছে।


    ইরাক

    তেল রপ্তানি  কারী দেশ  হিসাবে তিন নম্বরে রয়েছে ইরাক। ইরাক পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারী দেশ। ইরাকের রাজধানীর নাম বাগদাদ। দেশটিতে বেশির ভাগ সময় যুদ্ধ লেগেই থাকে। বেশি যুদ্ধ লাগার কারণে তেল বিক্রি করে সেই মূল্য দেশে সঠিক কাজে ব্যয় করতে পারে না। ধারণা করা হয় এরা কে তেলের প্রতি অন্যান্য দেশের দৃষ্টি কারণে । এখনো ইরাকে যুদ্ধ  বিধ্বস্ত।


    ইরাক 2018 সালে সারা বিশ্বব্যাপী তেল রপ্তানি করেছিল 8.6 ভাগ । যার মূল্য প্রায় 91.7 বিলিয়ন ডলার ইরাকে প্রচুর পরিমাণে তেল   রয়েছে যারফলে   অন্যান্য দেশগুলো দেশের প্রতি আকৃষ্ট।

    বিশ্বে তেল রপ্তানিতে কোন দেশ দ্বিতীয় স্থান

    রাশিয়া

    পুরা বিশ্বে তেল রপ্তানিতে রাশিয়া হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারী দেশ । রাশিয়া সরকারিভাবে ফেডারেশন নামে পরিচিত। কারণ রাশেদের সেনাদের বলা হয়   রুষ সেনা। যেটি উইউরোপ এবং  এশিয়া  অবস্থিত রাশিয়া একটি ট্রান্সকন্টিনেন্টাল জাতি যা পূর্ব ইউরোপ এবং উত্তর এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত।রাশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত। 


    যেটি উত্তর এশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ  দেশের রাজধানীর নাম মস্কো। 2017 সালের তথ্য অনুযায়ী রাশিয়ার মোট জনসংখ্যা 144.5 মিলিয়ন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা হচ্ছে 164.5  মিলিয়ন। 


    আমেরিকা 2018 সালে  পুরো বিশ্বে তেল রপ্তানি করেছেন বিশ্বে মোট  11.4 ভাগ যোগান দিয়ে ছিল  যা পুরো বিশ্বে যোগান দিয়েছিল।  যার মূল্য প্রায়  129 মিলিয়ন ডলার।

    বিশ্বে তেল রপ্তানিতে কোন দেশ প্রথম স্থান


    তেল রপ্তানি  কারি দেশ হিসেবে সৌদি আরব বিশ্বে এক নম্বারে রয়েছ। সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র । দেশটি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় দেশ ।বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল মজুদ রয়েছে সৌদি আরবে।  সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি তেল মজুদ রয়েছে।

    সৌদি আরব


    সৌদি আরবের রাজধানীর নাম রিয়াদ 2018 সাল অনুসারে সৌদি আরব বিশ্বের মোট তেলের 16 .1 ভাগ যোগন দিয়েছিল । যার মূল্য প্রায় 182.5 বিলিয়ন ডলার।খুব বেশি তেল উৎপাদন করা হয় বলে এখানে অধিক কর্মস্থানের   সৃষ্টি হয়েছে।

    যার ফলে বাংলাদেশ সহ আরো অন্যান্য দেশের মানুষ বৈদেশিক মুদ্রা আয় পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। 2018 সালে পুরো বিশ্বে প্রায় 1 ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে  তেল বেচা কেনা হয়েছে। 


    2024 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেল রপ্তানিতে তৃতীয় নাম্বারের অবস্থান করবেন অনেকে মনে করেন। বিশেষজ্ঞের মতামত প্রকাশ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর তেল রপ্তানি কারক হিসেবে তৃতীয় নাম্বারে চলে আসতে পারেন। 


    ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়ায় দ্রুতই তেল ফুরিয়ে যাবে তাই আমাদেরকে অবশ্যই তেলের বিকল্প নবায়ন যোগ্য    শক্তি  উৎস খুঁজতে হবে।এবং তেলের ব্যবহার সীমিত করতে হবে ।


    যেহেতু তেল একবার ব্যবহার করা যায় পুনরায় তেল ব্যবহার করা যায় না। এমন একটি পদার্থ  যা শুধুমাত্র একবার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় এভাবে তেল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে একসময় পুরো বিশ্বে তেল খুঁজে পাওয়া যাবে না।


     এর জন্য তেল ব্যবহারে সীমিত করতে হবে এবং তেল ছাড়া অন্য উপায়ে শক্তির উৎস খুঁজতে হবে।  কারণ একসময় পুরো বিশ্বে তেল পাওয়া যাবে না ধীরে ধীরে তেলের খনি গুলো ফুরিয়ে আসছে।  বর্তমান বিশ্বে তেল ছাড়া কোন কিছু বিকল্প করা যায় না। কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই তেল  সারা বিকল্প  নেই।


    তাই আমাদের প্রত্যেককেই এখন থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত।  এবং কি অন্যদেরকে সতর্ক করানো উচিত তেলের ব্যবহার সীমিত করা উচিত।


    এ পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে তেল সম্পর্কে এবং মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পর্কে এবং আরো নানা তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে আশাকরি আপনারা এ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন এবং অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন ।


    এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের তথ্য মূলক  পোস্ট করা হয় আপনারা প্রতিনিয়ত এ ধরনের পোস্ট পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন কেননা এই ওয়েবসাইটে  পোস্ট গুলো তথ্য ভরপুর থাকে।


    এর জন্য আপনারা এই ওয়েবসাইট এর সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে পূর্বে আরো পোস্ট করা হয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন সেগুলো অনেক তথ্যমূলক পোস্ট যারকান পূর্বের পোস্ট গুলো দেখলে আপনাদের উপকারে আসবে।


    LikeYourComment