ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার-ফরিদপুর জেলার জন্ম । এবং ইতিহাস
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করো ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার এবং ফরিদপুর জেলা সম্পর্কে নানা তথ্য নিয়ে তো আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি ভাল করে পড়ুন তাহলে ফরিদপুর জেলা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তাদের খাবার বিষয় জানতে পারবেন।
নওগাঁ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তির নাম এবং নওগাঁ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
মিরসরাই কিসের জন্য বিখ্যাত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন্রসিসস
ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার
ফরিদপুর পেলার বিখ্যাত খাবর হচ্ছে মিষ্টি , পিঠা,পদ্মার ইলিশ এবং খেজুরের গুড়।
ফরিদপুর বিখ্যাত খাবার পদ্মার ইলিশ
ফরিদপুরে অন্যতম বহুল পরিচিত একটি খাবার হচ্ছে পদ্মার ইলিশ। পৃথিবীব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন পদ্মার ইলিশ শুধুমাত্র বাংলাদেশেই এবং ভারতের পাওয়া যায় । পদ্মা নদী থেকে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ পাওয়া যায়।
পদ্মা নদীর ইলিশ বাংলাদেশের লোক খাই নি এমন মানুষ পাওয়া খুবই কষ্টকর কারণ পদ্মা নদীর ইলিশের নাম ছড়িয়ে আছে সারা দেশব্যাপী। পদ্মা নদীর ইলিশ অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে আশাকরি বাংলাদেশ হলে আপনি অবশ্যই পদ্মা নদীর ইলিশ খেয়েছেন আপনি হয়তো জানেন পদ্মানদীর সম্পর্কে এর সুস্বাদুকে ও সম্পর্ক জানেন।
ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ যখন আসে ঠিক তখন পদ্মার ইলিশের কেনার ভিড় দেখা যায় ক্রেতাদের। পদ্মা নদীর ইলিশ অধিক বিখ্যাত হওয়ার কারণে এটি মূল্য তুলনামূলক অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে বাংলাদেশ। পদ্মা নদীর ইলিশ সব সময় পাওয়া যায় না একটি নির্দিষ্ট সময়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পাওয়া যায়।
পৃথিবীর প্রায় 60 % 1951 হয়ে থাকে বাংলাদেশের বাংলাদেশের সবচাইতে সেরা ও গুণগতমান সম্পন্ন এবং সুস্বাদু দিক দিয়ে বিখ্যাত রয়েছে পদ্মা নদীর ইলিশ পদ্মা নদীর ইলিশ সুস্বাদু এবং সুগন্ধি হওয়ার কারণে এর নাম দেখ এত বেশি।
গ্রাম বাংলার অনেক মানুষ এবং শহরের মানুষ অনেকেই এমন পাওয়া যায় যে যারা ইলিশ মাছ হলে একটু ভালো খেতে পারে ইলিশ মাছ তাদের কাছে অনেক প্রিয় ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত খাবার একটি তালিকায় থাকে পদ্মা নদীর ইলিশ ।
পদ্মা নদীর ইলিশ খ্যাতি পেয়েছে তার সুস্থতার জন্য এবং সুঘ্রাণের জন্য এ ধরনের সুগ্রান এবং সুস্বাদু আর কোন মাছের মধ্যে পাওয়া যায় না।
ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত পিঠা
ফরিদপুর জেলা পিঠা একটি বিখ্যাত খাবার কারণ এটি তাদের অন্যতম খাবারের তালিকায়। ফরিদপুর জেলায় নানা ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে বিশেষ করে হেমন্তকালে কৃষকরা নতুন ধান ঘরে তোলার সময় কৃষকরা ধান ভেঙে তৈরি করে থাকে নানা ধরনের পিঠা ।
অতীতের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বাংলাদেশেও হেমন্ত সময় প্রায় পুরো বাংলাদেশে এই কৃষকরা ঘরে নতুন ধান তোলার সময় তারা পিঠা তৈরি করত এবং নানা ধরনের খাবার তৈরি করত যা অন্যতম সুস্বাদু হয়ে থাকত।
গ্রামবাংলার পূর্বে যখন নতুন ধান ঘরে তোলা হতো তখন কৃষকদের মুখে হাসি থাকত এবং কারণ আমার ধরনের খাবার তৈরি করে থাকতো নতুন ধান দিয়ে।
বিশেষ করে শীতকালে সময় তৈরি করা হয় খেজুরের গুড় আর সেই গুড় দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠা গ্রাম বাংলার অধিকাংশ পরিবারেই শীতকালে নানা ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে যা গ্রামবাংলার ঐতিহ্য।
ফরিদপুর অঞ্চলের নানা ধরনের পিঠার মধ্যে অন্যতম রয়েছে যেগুলো সেগুলো হলো রস চিতিই বা রসের পিঠা,এই খাবারটি সাধারণত শীতকালে তৈরি করা হয় প্রায় গ্রামবাংলার এবং শহর অঞ্চলে শীতকালে পিঠাটি তৈরি করে থাকে বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই।
শীতকালে বিভিন্ন ধরনের পিঠা
সারা বাংলাদেশে শীতকালে নানা ধরনের পিঠা তৈরি করতে দেখা যায় তারমধ্যে ফরিদপুরের বিখ্যাত পিঠাগুলো হচ্ছে ভাপা পিঠা, শাহি ভাপা পিঠা , দূধ টিঠা . দুধ চিতই, খোলা চিতই, খেজুরের রসে ভাপা পিঠা , খোলা চিতই, সিদ্ধ কুলি টিাঠা, খেঅলা চিতই, পাটি সাপ্টা , ও তিলের কুলি ।
এছাড়াও ফরিদপুরজেলায় আরো নানা ধরনের পিঠা তৈরি করে থাকেন যা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকেন।
ফরিদপুর জেলা খেজুরের গুড় বিখ্যাত
ফরিদপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হল খেজুরের রসের গুড়। খেজুরের গুড় ফরিদপুর থেকে সারা বাংলাদেশ দেওয়া হয়। ফরিদপুর জেলার খেজুরের গুড় অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত ।
হাত-পা জ্বালায় প্রচুর পরিমাণে খেজুর গাছ থাকার কারণে ফরিদপুর জেলায় শীতকালে ফরিদপুর জেলার বাসিন্দারা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে সেখান থেকে ভেজাল মুক্ত খেজুরের গুড় তৈরি করে থাকে এবং এই অনেক সুগ্রান হয়ে থাকে।
আপনি যদি বাংলাদেশের লোক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ফরিদপুর জেলার খেজুর রসের গুড় সম্পর্কে জেনে থাকবেন। ফরিদপুর জেলার খেজুরের রস দিয়ে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে নানা ধরনের পিঠা তৈরি করে থাকেন।
ফরিদপুরে নানা ধরনের খেজুরের গুড় পাওয়া যায় যেমন ঝোলাগুড়, পিটালি , দানা গুড় . ইত্যাদি।
ফরিদপুরে জেলার মিষ্টি
ফরিদপুর জেলার নানা ধরনের মিষ্টি সম্পর্কে আপনাদের বলি ফরিদপুর জেলায় ভালো মানের মিষ্টির নাম: লাডু মূল্য 320 টাকা, লেনচা মিষ্টি 340 টাকা কেজি , ছানার জেলাপি মূল্য 340 টাকা কেজি,রেসের রসগুলা মূল্য 250 টাক কেজি, কাজু সন্দেস মূল্য460 টাকা কেজি ,
নানা ধরনের মিষ্টি যা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে ।
ফরিদপুর জেলার জন্ম । এবং ইতিহাস
ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল এখানে রয়েছে অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশেষ ব্যক্তিত্বপূর্ণ গুণীজন ও দর্শনীয় স্থান নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখুন-
ফরিদপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত 1786 সালে মান্তাতরে এ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় 1815 সালে ফরিদপুর নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ সেখ ফরিদ উদ্দিন এর নাম অনুসারে।
এই জেলার পূর্বনাম ছিল ফতেহাবাদ ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠানসহ সন 1786 হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ঢাকা।
1807 খ্রিস্টাব্দে ঢাকা-জামালপুর প্রদেশে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরের ফরিদপুর সদর ওয়ান্দ ফরিদ পুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি মহাকুমা সমন্বয় ফরিদপুর জেলা পূর্ণাঙ্গতা পায়।