কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ-কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
বিসমিল্লাহ রহমান রাহিম আজকের আলোচনা করবো কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সহজ তা হল ভারত, মালয়েশিয়া, চায়না ,এসব দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই যেতে পারে স্টুডেন্ট ভিসায় নিম্নে আরো বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে দেখুন-
ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম জানতে ক্লিক ককরুন
ফ্যামিলি ভিসা আমেরিকা জানতে ক্লিক করুন
ওয়ালটন ফ্রিজের কম্প্রেসারের দাম কত জানতে ক্লিক করুন
কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভারত, চায়না, মালয়েশিয়া ,খুব সহজে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়।এসব দেশে খুব সহজে আপনি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন ।
মূলত সকল দেশের ভিসা পাওয়াই সহজ যদি আপনার যোগ্যতা স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকেন কারণ পৃথিবীর সকল যেতে চায় তাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবচেয়ে মেধাবীরা আসুক আর তাদের জন্য কিছু করুক এটা সবাই চায় আপনিও আমিও।
মূলত আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন আপনার যেমন যোগ্যতা হবে সে অনুযায়ী আপনি ভিসা পাবেন এটাই স্বাভাবিক কারণ কেউ কম পারলে তাকে বেশি দেবে এমনটা হয় না সাধারণত এখানে সবাইকে তার দক্ষতা এবং যোগ্যতা নিয়ে যেতে হয়।
সাধারণত বাংলাদেশেল বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের চাহিদা থাকে আমেরিকা বা কানাডা ইউরোপ কান্টি দেশগুলোতে পড়ার ইচ্ছা জাগে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বেশি।
আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা জানতে ক্লিক করুন
কানাডায় পড়াশোনা
উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ কানাডায় পড়াশোনা অবস্থান রয়েছে এক নম্বর কারণ এখানে সুবিধা অনেক বেশি পাওয়া যায় বর্তমানে কানাডা এমন একটি দেশ যা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অনেক এগিয়ে আছে অন্যান্য দেশের তুলনায়।
তো আপনারা চাইলে কানাডায় গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন কারন বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থীরাই কানাডায় পড়াশোনা করতে যায় তো আপনারো দেখতে পারেন।
যেহেতু বাংলাদেশে থেকে অনেক শিক্ষার্থী কানাডায় পড়াশোনা করতে চায় এবং তাদের সুযোগ সুবিধা অনেক ভালো আমার মনে হয় যে দেশে আপনি যেতে পারেন পড়াশোনা করার জন্য উচ্চ লেভেলের হলে আপনি ইউএস বা অন্যান্য উন্নত মানের কান্টি বেছে নিতে পারেন।
কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসা পাব
স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য ধরুন কানাডা বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে চান সবচেয়ে ভালো এবং বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ।তাহলে সর্বপ্রথম আপনার যেখানে দাঁড়ায় তা হল সে বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে যাওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করা । প্রস্তুতি বা তৈরি করা বলতে শুধু ভালো রেজাল্ট কে বঝয়না ।
আপনি যে দেশে স্কলারশিপ বা পড়াশোনার জন্য যেতে চান সে দেশের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখা জরুরি।
আপনি যদি আসেন পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন সে দেশ আপনার জন্য কেমন হবে সেই স্থান আপনি টিকে থাকতে পারবেন কিনা সেটিও যাচাই করে নেওয়া ।এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানে নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা এবং উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আপনার প্রাথমিক ভর্তির অনুমতি জানিয়ে প্রথমত চিঠি দেবে তাই তাকে অফার লেটার বলে।
আপনাদের অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারা আপনাকে একটি অফার লেটার দিবে যা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বারবার করা উচিত। যাতে সে বিষয়গুলো সে ভালোভাবে বুঝে নিতে পারে এবং কি বুঝে নেয় যে টিউশন ফি ও অন্যান্য বিষয় সেই অফার লেটারে উল্লেখ থাকবে এজন্য সেটা পড়া অত্যন্ত জরুরী।
কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন জানতে ক্লিক করুন
আপনি যে প্রতিষ্ঠান ভর্তি হওয়ার জন্য উল্লেখিত দেশ থেকে তাদের পাঠানো অফার লেটার বা ভর্তির অনুমতি পত্র উল্লেখিত ডাটা মাধ্যমেই উক্ত প্রতিষ্ঠানে আপনাকে পৌঁছাতে হবে। তা যদি না হয় তাহলে আপনার ভর্তি বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।
আপনি দেখতে পারবেন যে আপনাকে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফার লেটার দিয়েছেন সেখানে নির্দিষ্ট তারিখে রয়েছে সেই তারিখের পূর্বে আপনাকে উক্ত দেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
দেখা যায় ভিসা গ্রহণের বা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছুটা পার্থক্য থাকে সেটা স্বাভাবিক কারণ। একেক দেশের নিয়ম একেক রকম কিন্তু প্রায় সকল দেশের ভিসার নিয়ম একই কিছুটা পার্থক্য।
ভিসা নিয়ম কিছুটা পার্থক্য হলেও যে দেশের ভিসা চান সেদেশের ভিসা পেতে হলে সর্বপ্রথম সে দেশের ভিসা আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হয়।কখনো কখনো দেখা যায় উক্ত দেশের প্রতিষ্ঠান ভিসার আবেদন পত্র করে থাকেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যদি আবেদনপত্র সংগ্রহ করা না যায়।বা তা না দেয় তাহলে ওই দেশের নির্দিষ্ট দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে ।এবং সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে নির্ভুলভাবে প্রয়োজনীয় ডাটা এবং আপনার ডকুমেন্টগুলো দূতাবাসের কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
এবং তাদের নির্দিষ্ট ইন্টারভিউ থাকবেন তাদের ইন্টারভিউর মাধ্যমে আপনাকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে ।ভিসার জন্য সাধারণত যে ধরনের কাগজপত্র লাগে বা প্রয়োজন তা নিম্নে-
ভিসা পাওয়া জন্য ডুকুমেন্ট
*পাসপোর্ট পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে এক বছর থাকতে হবে। এবং জন্মতারিখ পেশা ও অন্যান্য সকল তথ্য সাথে শিক্ষাগত কাগজপত্রের সাথে মিল থাকতে হবে আপনার পাসপোর্ট এর ।পাসপোর্ট করা না থাকলে পাসপোর্ট করে নিন এবং কি পাসপোর্ট তথ্যগুলো সার্টিফিকেট সাথে মিল রেখে করবেন।
* শিক্ষাগত কাগজপত্রঃ নম্বরপত্র, সনদপত্র,প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ মূলকপি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমানপত্র বা অফার লেটার।
* বাহিরে পড়াশোনার জন্য আর্থিক সামর্থ্য লাগে কিছু কিছু দেশের এমন অনেক বেশি তো সেখানে যাওয়ার জন্য আপনার আর্থিক সামর্থ্য প্রমান পত্র দেখাতে হবে।
* সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে, পরিস্কার ভদ্র পোশাকে ও স্পষ্ট ছবি । ছবির সাইস 35বাই 45 mm দুই কপি ছবি।
*ভাষাগত দক্ষতার প্রমানপত্র।পুলিশ ছাড়পত্রঃ পুলিশ ছাড়পত্রের জন্য নিজ নিজ থানায় যোগাযোগ করে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাধ্যমে খুব সহজে এটি সংগ্রহ করা যায়।আপনার বিরুদ্ধে দেশ ও আইনবিরোধী কন কাজে জরিত থাকের অভিযোগ থাকলে আপনি পুলিশ ছাড়পত্র পাবেন না।
*টিউশন ফি’র ব্যাংক ড্রাফটঃ প্রতিষ্ঠান ভেদে টিউশন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে সাধানত । বিভিন্ন প্রতিষ্টন এর ভিভিন্ন ধরনের এমাউন্ট হয়ে থাকে ।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
কানাডায় পড়াশোনার জন্য প্রতিবছর গড়ে অনার্স কোর্স করার জন্য 15 লাখ টাকা প্রয়োজন। যেহেতু কানাডা উন্নত দেশ।
কানাডা একটি অন্যতম উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এবং এ দেশটি খুবই শান্ত প্রিয় নিরাপদ একটি দেশ যার নাম কানাডা ।অনেকেই এখানে ভ্রমণ করতে চায় এবং যায় ভ্রমণপিপাসুরা এবং হানিমুনে যেতে চয় এবং যায় কানাডায়।’
উন্নত দেশ হওয়ার জন্য বাংলাদেশ টাকার মুল্যে 15 লাখ টাকা হলেই সেখানে অনার্স কোর্স করা যায় প্রতিবছর বাবদ।
ইউরোপ দেশে স্টুডেন্ট ভিসা
বাংলাদেশের ঢাকায় ইউরোপ দেশের স্টুডেন্ট ভিসার কাজের অন্তর্ভুক্ত । তো আপনারা দেখুন যে বাংলাদেশে এম্বাসি শিক্ষার্থীদের কোন দেশ বেশি দিচ্ছে ।
বাংলাদেশ বেশি স্টুডেন্ট ভিসা দিচ্ছে তাহলে লেদারলেন্ড,নেদারল্যান্ড বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা দিচ্ছে 8 7% ।
আশাই করা যায় লেদারলেন্ড পড়াশোনার মান ভালো নেদারল্যান্ডে পড়াশোনা করার জন্য প্রতিবছর ছয় হাজার থেকে সাত হাজার ইউরো খরচ হবে বাংলাদেশ অনেকেই এখানে পড়াশোনা করছেন এবং বর্তমানে এপ্লাই করতেছেন।
দ্বিতীয় ডেনমার্ক
এখানে স্টুডেন্ট ভিসার নেওয়অ গর হার হচ্ছে 83%।অনেক শিক্ষার্থী ডেনমার্কের পড়াশোনা করতেছেন তো সেখানে পড়াশোনা করার জন্য প্রতিবছর 6 থেকে 7 হাজার ইউরো খরচ হয়।
ডেনমার্কে পড়াশোনা করার জন্য একটি মজার বিষয় রয়েছে তা হলো কোন ধরনের ব্যাংকের ড্রাফট প্রয়োজন হয়না। যে কেউ পড়া শুনা করতে যেতে পারেন।
তৃতীয় জার্মানি
জার্মানিতে শিক্ষার্থীদের ভিসার হার হচ্ছে 87 %। 6000 আবেদনে 5000 হয়ে গেছে গত বর্ষর।জার্মানিতে পড়াশোনা সম্পুর্ন ফ্রী। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগটি নিতে পারেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতেছেন এবং সেখানে তারা ভালো মানের চাকরি করতেছেন ও পরিবার নিয়ে সেটেল হয়ে গেছে।
জার্মানের যার জন্য যদি আপনার ব্লক একাউন্টে 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা দেখাতে পারেন এবং আপনার রেজাল্ট 6 বা 7 % দেখাতে পারেন। তাহলে আপনারা খুব সহজে জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য আবেদন করতে পারেন।
চতুর্থ সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর ভিসা প্রাপ্ত হার প্রায় 74%.। বাংলাদেশ থেকে এখানে একটু পড়াশোনা করতে কমে যায় ।এখানে আবেদন কম পড়ে এবং আবেদনের সংখ্যা খুবই কম থাকে।
পঞ্চম স্প্যান
বর্তমানে স্পেনে প্রচুর মানুষ রয়েছে বাংলাদেশি।এখানে রয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। স্থানে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে বর্তমানে এখানে পড়াশোনা করার জন্য আপনার রেজাল্ট মার্কশীট একটু বেশি লাগে সেদিকে দেখি আপনারা এপ্লাই করে নিবেন।
আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সহজ তা হলো ভারত, চায়না, মালয়েশিয়া সেগুলো আপনাদের কে সুন্দরভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি এবং আপনাদের আরও জানিয়েছেন ইউরোপ কান্ট্রি তে কোন কোন দেশের জন্য বাংলাদেশে থেকে যাওয়া শিক্ষাগত মান এবং তারা ভিসা দিয়ে থাকেন বেশি হারে সে সম্পকে।
এই পোস্টে যে যে বিষয়ে আলোচনা করেছি তা হল কোন কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় সহজে ,কানাডার পড়াশোনা, কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসা পাব, ভিসা প্রসেসিং করবেন যেভাবে, ভিসা পাওয়ার জন্য ডকুমেন্ট, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ, ইউরোপ দেশে স্টুডেন্ট ভিসা।
আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে এই ওয়েবসাইটে আরো নানা দেশের ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা দেশ ইনফো ক্যাটাগরিতে গিয়ে দেখতে পারেন সেখানে অনেক তথ্য রয়েছে যা আপনাদের উপকারে আসবে।
এই ওয়েবসাইটে নানা ধরনের পোস্ট করা হয় সেগুলো পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এবং এই ওয়েবসাইটে আরো পোষ্ট রয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন যা আপনার উপকারে আসবে।