নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান

নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান,নোয়াখালী দর্শনীয় স্থান হচ্ছে,,গান্ধি আশ্রম ,কল্যান্দি জমিদার বাড়ি,বজরা শাহী মসজিদ, নিঝুম দ্বীপ,মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর,মাইজ

     নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো এবং নোয়াখালী ভ্রমণ গাইড লাইন দেওয়ার চেষ্টা করব ।তো আপনারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পরলে নোয়াখালী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। যা আপনার ভ্রমণ করার আগ্রহ বাড়িয়ে দিবে নিম্নে দেখুন নোয়াখালী সম্পর্কে


    মিরসরাই কিসের জন্য বিখ্যাত জানতে ক্লিক করুন

    নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান

    নোয়াখালী দর্শনীয় স্থান হচ্ছে,,গান্ধি আশ্রম ,কল্যান্দি জমিদার বাড়ি,বজরা শাহী মসজিদ, নিঝুম দ্বীপ,মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর,মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দীঘি, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর,স্বর্ণ দ্বীপ,ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল,উল্লেখযোগ্য। আরো বিস্তারিত নিচে দেখুনঃ

    নোয়াখালী পরিচিতি জেনে নিন বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে হচ্ছে নদীতীরবর্তী জেলা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপু।এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত নোয়াখালী জেলা এই জেলাটি দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত।প্রাচীন নদী ভুলুয়া আর খরস্রোতা ও মেঘনাথ জনপথের জনপদ দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।

    নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান-মুছাপুর ক্লোজার


    মুছাপুর ক্লোজার

    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার মুসাপুর গ্রামে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজারএটি মানুষের একটি প্রিয় ভ্রমণপিপাসু জায়গা এখানে মানুষ   ভবন করতে আসে দূর দূরান্তথেকে।এর অবস্থান হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের  ‍কুল গেরা ফেনী নদীর পাশে অবস্থিত।মুছাপুর ক্লোজার  এখানে দেখা যায় সমুদ্র সৈকতের অপরূপ দৃশ্য এবং চোখ ধাঁধানো পাখির ডাক ও যাক ।আরো রয়েছে বন্যপ্রাণী সহ নানা ধরনের মহরম দৃশ্য যা মানুষকে মুগ্ধ করে দেয় ।

    মুছাপুর ক্লোজার এই অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য এখানে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমায় এই অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য।

    নওগাঁ দর্শনীয় স্থান জানতে ক্লিক করুন

    নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান-বজরা শাহী মসজিদ


    বজরা শাহী মসজিদ

    বাজার শাহী মসজিদ বলা হয় নোয়াখালী জেলা প্রথম প্রাণকেন্দ্র শহর। বাজার শাহী মসজিদ এর অবস্থান নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পাশে অবস্থিত।বজরা শাহী মসজিদ নির্মিত হয়েছিল দিল্লির শাহী জামে মসজিদ এর অনুকরণেক।

    দিল্লির সম্রাট বাদশা বেগমগঞ্জে বজরা অঞ্চলে এই বজরা মসজিদ দান করেছিলেন দুই সহোদর আমান উল্যা ও ছানা উল্যাকে।এই মসজিদটি নির্মাণ কাজের জন্য 100 একর জমি বন্দোবস্ত রাখেন।বজরা শাহী মসজিদের সম্মুখভাগেই সেই দীঘি।

    এই মসজিদটি তৈরি করা হয় মার্বেল পাথর দিয়ে   যার কারনে এর সৌন্দর্য আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এ মসজিদের প্রধান ফটকের দুই পাশে রয়েছে দেওয়াল ঘড়ি। যাক অপরূপ দৃশ্য দেখা যায় বজরা শাহী মসজিদ এর সামনে গেলে।

    কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নোয়াখালী


     কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নোয়াখালী

    নোয়াখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রয়েছে নোয়াখালী জেলা থেকে 12 কিলোমিটার দূরে ভাষা আন্দোলনের সাক্ষী নোয়াখালী কেন্দ্র শহীদ মিনার অবস্থিত।এই শহীদ মিনার স্থাপিত হয় হাজার 1952 সালে ভাষা আন্দোলনের সময়।

    সেই সময় থেকে আজও নোয়াখালীর জেলা ন্দ্রীয় শহীদ মিনার জায়গা  এখন দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমায়।

    গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী


    গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী

    নোয়াখালী দর্শনীয়  ও ঐতিহাসিক একটি স্থান হচ্ছেন গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী এর অবস্থান জেলাসদর মাইজদী কোর্ট থেকে 25 কিলোমিটার উত্তরে সোনাইমুড়ী উপজেলা বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশেই অবস্থান গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী।

    গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী এটি স্থাপিত হয় তৎকালীন সময় জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে।ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়   গান্ধী আশ্রম নোয়াখালী ১৯৪৬ সালের শেষভাগে সারা ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে নোয়াখালীতে। 

    নোয়াখালীর আরো অন্যান্য দর্শনীয় জায়গা।

    নোয়াখালীর দর্শনীয় জায়গা হচ্ছেখখঃ নোয়াখালীর উপকূলে নতুন জেগে ওঠা চরে বন বিভাগের সৃজনকৃত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল,নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,সোনাপুরে লুর্দের রানীর গির্জা,মাইজদী শহরে অবস্থিত নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ,কমলা রানীর দীঘি,মাইজদী বড় দীঘি।

    লক্ষীপুরের দর্শনীয় স্থান

    লক্ষ্মীপুর চট্টগ্রাম বিভাগের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা লক্ষ্মীপুর। লক্ষ্মীপুর এর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে মেঘনা নদী,  নারিকেল ও সুপারির বাগান,দালাল বাজার জমিদার বাড়ী,কামানখোলা জমিদার বাড়ী, তিতা খাঁ জামে মসজিদ,  জ্বীনের মসজিদ, ভোম রাজার দিঘী, খোয়া সাগর দিঘী ইত্যাদি।

    লক্ষ্মীপুর জেলায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে সেগুলো হলোঃ রায়পুরের জিনের মসজিদ, দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, কামানখোলা জমিদার বাড়ি, প্রকৃতির   জড়ানো বেশকিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে এই লক্ষ্মীপুর জেলায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মতিরহাট  আলেকজান্ডার মেঘনার তীর,মেঘনার তীর,বিশাল ঝাউবন ও তেগাছিয়া স্লুইস গেট ।

    কামান খোলা জমিদার বাড়ি

    জমিদার বাড়ি লক্ষীপুর এর অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থান অবস্থান রয়েছে লক্ষ্মীপুর সদর থেকে পশ্চিম লক্ষীপুর।জমিদার রাজা রক্ষণী নারায়ণের বাড়ি স্থাপত্য রয়েছে প্রাচীন যুগে। দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, জঙ্গল তৈরি হওয়ায়   পড়ে আছে বাড়িটি।

    চর আলেকজান্ডার লক্ষ্মীপুর 

    চর আলেকজান্ডার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার 4 নং ইউনিয়ন অবস্থিত চর আলেকজান্ডার এটি মূলত একটি সমুদ্র চর অপরূপ দৃশ্য জেলেরা মাছ ধরেন এখানে  ভ্রমণ পিপাসুরা গোসল করে এখানে।

    আলেকজান্ডার মেঘনা পাড়া শুরু হয় নদী রক্ষা বাঁধ থেকে নদী রক্ষা বাঁধ আঁকাবাঁকা হওয়াতে পূর্বে দিক থেকে সূর্যের অস্ত যাওয়া দৃশ্যে যার মাঝ হাড়িয়ে যায় ভ্রমণ   প্রিয় মানুষ।

    আলেকজান্ডার মেঘনা পাড়া বিভিন্নউৎসবে  সময় হাজার হাজার   পর্যটকদের ভিড় জমে এখানে হৃদয় ছুয়ে দেয় এই প্রকৃতি।

    লক্ষ্মীপুরে রয়েছেন কমরেড তোয়াহা চর স্মৃতিসৌধ । যার অবস্থিত লক্ষ্মীপুরে জেলায় কমলনগর হাজির হটে। তিতা খাঁ মসজিদ অবস্থান হচ্ছে  লক্ষ্মীপুর জেলার সদর বাজার এলাকায় এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।

    তেগাছিয়া স্লুইস গেট ও বিশাল ঝাউবন

    তেগাছিয়া স্লুইস গেট ও বিশাল ঝাউবন

    তেগাছিয়া স্লুইস গেট ও বিশাল ঝাউবন এর অবস্থান হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার দক্ষিণের রামগতির জনপদ দক্ষিণ পূর্বে তেগাছিয়া বাজার পেরিয়ে মেঘনার কূলেই স্লুইস গেট।

    তেগাছিয়া ঝাউবন বিশাল প্রশস্থ এটি এটি দেখতে অনিন্দ্যসুন্দর, তেমনই সারি সারি ঝাউগাছের মাঝে বিকেলের সূর্যের উঁকি মন ছুঁয়ে যায়। এখানকার পরিস্থিতি আগে যেমন ছিল না বর্তমান সময়ে তরুণদের হাতে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এখন ভ্রমণ প্রেমীদের আকর্ষণ করেছে এ জায়গাটি।

    আশা করি এই পোস্টটি আপনারা সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন এ ধরনের পোস্ট পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে আরো পোস্ট হয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন।

    LikeYourComment