নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি বিখ্যাত হলেন পন্ডিত শ্যাম পক্লর চৌধুরী , -প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবি, আরো বিশেষ ব্যক্তিবর্গের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো ঃ
এর পোস্ট এ যে যে বিষয় নিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি ,নড়াইল জেলার ইতিহাস ,নড়াইল জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস,নড়াইল জেলার নামকরণ, নড়াইল জেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ।
নড়াইলের আবাদি জমি, নড়াইল জেলার অর্থনীতি ও কলকারখানা,নড়াইল জেলার জেলা উপজেলা কয়টি ,নড়াইল জেলার নদ-নদী কয়দি , নড়াইল জেলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার হার।
মিরসরাই কিসের জন্য বিখ্যাত জানতে ক্লিক করুন
নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম পন্ডিত শ্যাম পক্লর চৌধুরী , -প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদ এবং আইননঙ্গ । ভূবনখ্যাত শ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পী, উদয় শন্কর ও আন্তর্জাতিক ক্যাতিসম্পন্ন সেতার বাদক, পন্ডিত রবিশঙ্কর এর পিতা। মরহুম ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ, হযরত খানজাহান আলীর সময় রাজ্য ( সীমান্ত বহড়ে নিয়োজিত ছিল) নিম্নে আরো বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ নাম বর্ণনা করা হলো আপনারা দেখুনঃ
হযরত খানজাহান আলীর,সৈয়দ নশেদ আলী, ফজলুল হক মন্ত্রিসভার মন্ত্রী,কমল সেন তেভাগা আন্দোলনের প্রধান নেতা,এস এম সুলতান বিখ্যাত চিত্রশিল্পী,নূর মোহাম্মদ শেখ বীরশ্রেষ্ঠ,শরিফ কুরছুদ জামান বীর মুক্তিযোদ্ধা নড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য আসন ২।
আরো নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি মাশরাফি বিন মর্তুজা - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক এবং সংসদ সদস্য। শামীমা সুলতানা কবি ঔপন্যাসিক এবং রাজনীতিবিদ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ কৃষকলীগ।
আরো দেখুনঃ মারান পরশ কবি ও শিশু সাহিত্যিক , ডক্টর রথেন্দান বুস রসায়নবিদ, চারু কবি মুজলি মুদ্দিন ১৩ সালে রচিয়তা, কবি আলা বিজয় সরকার বিখ্যাত কবি গান গয়ায়ক , ডক্টর নিহান রন্জন গুপ্ত প্রায় ৫০টি উপনাসের লেখক। নূর জাল্লাল তেবেগা আন্দনের মদ্ধ মনি, কমলা দাশ গুপ্ত নজুর সঙ্গিত শিল্পি।
আলো দেখুন নড়াইল বিখ্যাত ব্যাক্তি শেখ আব্দস সালাম সর্বকনিষ্ট শহীদ বুদ্ধীজীবি, অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ মিয়া- টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রতিষ্টতা ও সমাজ বিঙ্গন অনুষদের ডিন এবং নড়াইল জেলা মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নেতুত্বদানকারী।
আরো দেখুন অদ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন কুয়েটের উপাচর্য। ল্যপনেনেট উপচর্চ আগতলা মামলার অন্যতম আসামি। বায়বাহাদুর রন্জ নাথ মজুমদার , শরিফ নরুল আপবিয়া বাজনিতি বিদ ও সমাজ সেবক , অধ্যপক ডক্তর মোহামোদ আবু ছিনহা বি বি এস অর্নাস এমি বি এস কামিল পিএসডি দৈৗওলুদ পুর হিসাব বিঙ্গানে সাবেক সভাপতি হিসাব বিঙ্গান বিভাগ উটি ব্যবসায় প্রসাক ইসলামি বিশ্ব বিদ্যালয় কুষ্টিয়া।
নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান জনিতে ক্লিক করুন
নড়াইলের দর্শনীয় স্থান
নড়াইল জেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নড়াইল জমিদার বাড়ি,হট বাড়িয় জমিদার বাড়ি। এস এম সুলতান চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয়,গোয়ালবাথান গ্রামের মসজিদ আরো নিম্নে দেখুনঃ
কদমতলা মসজিদ,নয়ালদিতে গাজির দরগার, উজির পুরে রাজা কেসর রাইয়ের বাড়ি , জুর বাংলা অষ্টাদশ শতাব্দিতে নিমিত রাধা গবিন্দ মন্দির , লক্ষি পাসার কালি বাড়ি , নিসিনাথ তলার মধুমতি নদীর উপর নির্মিত চাপায়ের সেতু, আঠা বাটি নদীর তীরবর্তী সৃশ্য , চিত্রা রেছট , নিলি বিলি পিকনিক ইস্পট।
আরো দেখুনঃ শপ্ন বিথী, রোনিমা রেছট গল্ড ক্লাব , ভাধা ঘাট , বিক্টরিয়া কলেজ , চিত্র, নদি , হাট বাড়িয়া বাড়ি পার্ক, অমরিত নগর কচারি বাড়ি , চিচি গঙ্গ ধর পাগলা ঠাকুরের আশ্রম , উলিয়ার ফোর কেনল .নব গঙ্গা ও মধুমতি নদীর সংযোগ সস্থাপনা করার জন্য খনন করা হয়।
নড়াইল জেলার ইতিহাস
নড়াইল প্রতিষ্ঠিত হয় 1861 সালে যশোর জেলার অধীনে নড়াইল মহাকুমা প্রতিষ্ঠিত হয় ।নড়াইল শব্দটি স্থানীয় লোক মুখে নড়াল নামে উচ্চারিত হয়। এ সময় নরাইর থানা কালিয়া থানার সমন্বয়ে নড়াইল মহাকুমা গঠিত হয়।
1960 সালে আলফাডাড়্গা থানা যশোর হতে ফরিদপুর জেলার অন্তভুক্ত হয়। 1984 সালে ১ লা মার্চ লাড়াইল মহাকুমাকে জেলায় রুপান্তুর করা হয়। সেই সময় থেকে নকড়াইল জেলা নামে আরেকটি ভুখন্ড তৈরি হয় ।
নড়াইলয়ের প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন ম শাফায়াত আলি। ম শাফায়াত আলি তিনি সর্বপ্রথম নড়াইল জেলার প্রশাসক।
নওগাঁ বিখ্যাত ব্যক্তির নামও দর্শনীয় স্থান জানতে ক্লিক করুন
নড়াইল জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
নড়াইল জেলার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবদান রয়েছে মহান। নড়াইল জেলা বাংলাদেশেল দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযোদ্ধা অধ্যুষিত জেল নড়াইল। নড়াইল জেলা প্রায় 2000 হাজার মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে।
বাংলাদেশের বীরশ্রেষ্ঠদের সাতজনের মধ্যে নড়াইল জেলার একজন বিখ্যাত বিখ্যাত হলেন মরহুম ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ নড়াইল । সুনাম ধন্দ নড়াইয়ের কৃত সন্তান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী ও তার দোসরদের হাতে শাহাদাত বরণ করির সংখ্যা একেবারে কম নয়। পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক চিত্রা নদীর পাড়ে লঞ্চঘাটের পল্টেুনের উপর ২৮00 লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী ।
অগণিত মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত ও মা-বোনের ইজ্জত ওঅত্যাচারিত লাঞ্চিত । অস্ত্র ও সংগ্রামের ফলে ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর নড়াইল হানাদার মুক্ত হয় । এসময় সারা মুক্তি যদ্ধাদের মুক্ত করা হয় ।
নড়াইল জেলার নামকরণ
নড়াইল জেলার নামকরণ নিয়ে বেশ কিছু মতামত দেখা যায়।এগুলোর মধ্যে আমি উল্লেখযোগ্য বিষয় গুলো বর্ণনা করছি। আপনার নিম্নে মনোযোগ সহকারে দেখুনঃ
নড়াইলে নাম করনে , গবেষক এস , এম রইস উদ্দন আহমদ এর মতে লড়েআল হতে নড়ইল নামের উৎপত্তি ঘটে। যারা সত্তরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তাদেরকে লড়ে বলা হয়।
হযরত খানজাহান আলীর সময় রাজ্য সীমান্তে। সীমান্ত বহড়ে নিয়োজিত ছিল। নড়াইল এলাক নদী নালা খাল বিল বেষ্টিত। খাল কেটে রাজ্যের সীমানেরত পরীক্ষা তৈরি করা হত।
খাল পরীক্ষা করার জন্য পাশে চওড়া উচু আইলের উপর দ্বারিয়ে নারে বা লক্ষী সোনারা পাহাড়া দিত। এভাবেই লড়েআল হতে লড়াল > নড়াইল নাম উৎপত্তি ঘটে যা জনশ্রুতে জানা যায়।
২ য় মত নড়াইল নামকরন
দ্বিতীয় মতটি হচ্চে নড়ানু নাম থেকে নড়াইল নামের উৎপত্তি ঘটে। বাংলাদেশের অনেক স্থানের নামের সাথে ইর প্রত্যয় যুক্ত আছে যেমন টাঙ্গাইল, ঘাটাইল, বাসাইল , নান্দাইল ইত্যাদি।
প্রত্যেক স্থানের নামকরণের সাথে কিংবদন্তি বা কাহানি প্রচিলিত আছে। একটি বড় পাতরে সরানোকে কেন্দ্র করে নড়াল বা নড়াইল নামের উৎপত্তি ঘটে বলে কেউ কেউ মানে করেন।
নড়াইল জেলার বিভন্ন পেসার মানুষ
নড়াইল জেলার প্রধান পেশা হচ্ছে কৃষি ৪৭.৫৫ % , মৎস্য ২.৮৮% , কৃষি মজুর ১৮.০২%। শ্রমিক মুজুরি ২.৪৪%,, শিল্প ১.৩১%,,,, ব্যবসা ১০.৯২ শতাংশ। চাকুরী ৭.৮৪ % ,, পরিবহন ২.৬ % এবং আরো অন্যান্য পেশা ৭.৪৪ শতাংশ।
নড়াইলে আবাদি জমি
নড়াইল জেলা একটি কৃষি প্রধান জেলা মোট আবাদযোগ্য জমি রয়েছে ৭৮৪৫৮ হেক্টর এর মধ্যে একক ফসল ৪৩ .১৭ % ,,,,দ্বৈত ফসল ৪৪.২৫ % এবং ত্রিফসলী জমি ১২.৮৫ %।
নড়াইল জেলার জেলার প্রধান শস্য হচ্ছে ধান, পাট, তেলবীজ, আলু ,গম .শসিসা, আখ , কলা ইত্যাদি।
বিল্পতি বা প্রায় বিলপ্তি সশ্য মধ্যে রয়েছে নীল , কাউন , তুলা, এবং বারলি।
নড়াইলে প্রধান ফল আমা ,কাঠাঁল ,পেঁপে ,কলা, নারিকেল , জাম এবং শুপাড়ি।
নড়াইল জেলার অর্থনীতি ও কারখানা
নড়াইল জেলায় রয়েছে বৃহৎ শিল্প ও মাঝারি শিল্প এরমধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ
বস্ত্রকল ১ টি , বিস্কট কারখানা রয়েছে ৬ টি , করাত কল ৪২ টি, কলম কল ১ টি, চাল ও আটা কল ৪৫ টি , বরফ কালখানা ১৮ টি।
নড়াইল জেলায় কুটির শিল্পে ব্যবহৃত বাস ,তাত , কাঠের , কাজ , সনকার , কামার, কুমকার , দরজি ইত্যাদি অন্তর ভুক্ত।
নড়াইল জেলায় থানা ও উপজেলা কয়টি
নড়াইল জেলায় তিন টি উপজেলা ও একটি থানা রয়েছে। এগুলো স্থান হচ্ছে , কালিয়া , নড়াইল সদর , লোহাগড়া , এবং নড়াগাতী।
নড়াইলে জাতীয় সংসদে নড়াইলে জাতীয় সংসদে, কলিয়া্ উপজেলা ও নড়াইল উপজেলা ৫ টি ইউনিয়ন দিয়ে নড়াইল জেলা এক আসন। লোহাগড়া ও নড়াইল পৌরসভা ৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে ২ আসন।
নড়াইল জেলার নদ-নদী
নড়াইল জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে নদী গুলোর নাম হচ্ছে,আঠারোবাঁকি নদী, চিত্রা নদী, নবগঙ্গা নদি, মধুমতি নদী, ওবৈরব নদ নদী।
এ জেলায় রয়েছে প্রচুর বিল ও হাউ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইছামতির বিল ও চাচুরি বিল।
নড়াইল জেলার শিক্ষার হার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
নড়াইল জেলা গড় সাক্ষরতা ৩৫.৬৫ % , এদের মধ্যে পরুষ রয়েছে ৪২ . ২৩ %, এবং মহিলা রয়েছে ২৮.৯৯ %।
নড়াইল জেলায় শিক্ষার জন্য উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।তার মধ্যে রয়েছে কলেজ 17 টি ,কারিগরি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান একটি, উচ্চ বিদ্যালয় 94 টি,উচ্চ বিদ্যালয় 94 টি,জুনিয়ার হাই স্কুল 22 টি ,মাদ্রাসা 85 টি। মক্তব 160টি। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় 227 টি,,
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় 287 টি,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় 287 টি, আর্ট স্কুলে একটি,ব্যাতি মূলক স্কুল একটি ।বৃত্তিমূলক স্কুল একটি, বৃত্তিমূলক স্কুল একটি,কম্মুনিটি স্কুল ৬ টি ,স্যাটেলাইট স্কুল হাজার 19 টি।
নড়াইল জেলার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সেগুলোর নাম নিচে বর্ণনা করা হলো-
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ,,ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল ,,,, নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ,, কালিয়া পাইল হাইস্কুল
নড়াইল জেলা সম্পর্কে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন এ ধরনের পোস্ট পাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে আরো পোষ্ট রয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন