কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন-কুয়েতের টাকার নাম কি-কুয়েতের টাকার ছবি
আজকে আপনাদেরকে জানাবো দুবাই সম্পর্কে দুবাইয়ের টাকার নাম ডিনার এবং জানাবো কুয়েতের ছবি এবং কেন কুয়েতের টাকার মান বেশি সে সম্পর্কেও জানাবো আপনাদের এবং কে নানা দেশের টাকার নাম আপনারা নিম্নে জানতে পারবেন ।
এজন্য এ পুষ্টি সম্পন্ন ভালো করে দেখুন তাহলেই সম্পূর্ণ বিষয় বুঝতে পারবেন আপনারা এবং কিং আপনাদের যে বিষয় জানা দরকার সে বিষয়টা জানতে পারবেন খুব সহজে দেখুন-
অন্যঅন্য বিষয় গুলো
ফ্যামিলি ভিসা আমেরিকা জানতে ক্লিক করন
বিখ্যাত জায়গা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
এক পোস্টের মাঝের দিকে আরো পাঁচটি দেশের মুদ্রার মান অনেক বেশি তা নিয়ে আলোচনা করব। তা নিম্নে দেখুন-
কুয়েতের টাকার মান বেশি কেন
কারেন্সি বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সবারই ধারনা রয়েছে।
কারেন্সি বা মুদ্রা হলো-পণ্যের বিনিময় মাধ্যম হিসেবে এই কারেন্সি বা মুদ্রা ব্যবহৃত হয়। কিছু কিছু দেশের মুদ্রার মান অনেক হয়ে থাকে আবার কিছু কিছু দেশের মুদ্রার মান অনেক কম হয়ে থাকে।
যেসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার মান এগিয়ে আছে সেটি হলো কুয়েতের দিনার কুয়েতের দিনারের মান সবচেয়ে বেশি।
আজকের সেটাই আলোচনা করবো যে কেন কুয়েতের মান এত বেশি ।
কুয়েতের টাকার মান কেন এত বেশি তা জানার আগে একটি উদাহরণ হিসাবে একটু রচনা করে নেই। 1990 সালের দিকে ইরাক এবং কুয়েতের সাথে একটি যুদ্ধ হয়েছিল। কুয়েত এবং ইরাকের এই যুদ্ধটি হয়েছিল দুইদিন ব্যাপী।
দুই দিনের মধ্যেই ইরাক-কুয়েত কে হারিয়ে ইরাক দখল করে নেয় কুয়েত। এই যুদ্ধটি হয়েছিল সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে। কুয়েতে 7 মাস যাবত অবরুদ্ধ হয়ে যায়।ইরাকি বাহিনীর কাছে ইরাকি বাহিনীর সম্পূর্ণ কুয়েত দখল করে নেয়।পরবর্তীতে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে কুয়েত এর হাত থেকে মুক্ত হয়।
মুক্ত হওয়ার পর কুয়েত থেকে চলে যায় এরাক বাহিনী। ইরাক বাহিনী আসার পূর্বে কুয়েতকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দেয়।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যত টাকা পয়সা ছিলকুয়েত সব নিয়ে যায় ইরাকের বাহিনী ।
কুয়েতের অনেকগুলো তেলকূপ এর মধ্যে জ্বালিয়ে দেয়া যায় 600 মতো ইরাক বাহিনী। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে একসময় কুয়েত ইরাকের কাছে দাবি করে অর্থ। ইরাক তখন কুয়েতকে বলে আমরা প্রায়ই অর্থ খরচ করে ফেলেছি অল্প কিছু আছে চাইলে তুমি দিতে পারো।
এতে কুয়েত মারাত্মকভাবে অপমানিত হয় এবং এই অর্থ পরবর্তীতে কুয়েত নিতে অস্বীকৃতি জানায়।এরপর কুয়েত সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয় অন্য মুদ্রা ছাপাতে শুরু করে।এখন আসি মুল আলোচনায় কেন কুয়েতের টাকার দাম বেশি।
বাংলাদেশ টাকা কুয়েতের এক দিনার এর দাম 275 টাকা। আপনারা অবশ্যই জানেন সারা বিশ্বে যত তেল আসে প্রায় 10 শতাংশ তেল কুয়েতের। বলা হয়ে থাকে কুয়েতে এখনো যে পরিমাণ তেল কুপ রয়েছে তাদের সেই কুপ দিয়ে কুয়েত 100 বছর উপরে চলতে পারবে।
তাহলে ভাবুন যে কুয়েতের সম্পদ কত বেশি।এর জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো কুয়েতের তেলের ওপর নির্ভর করতে হয়। কুয়েতের দিনারের দাম এত বেশি হওয়ার কারণ এই তেল।
সারা বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে যারা তেল বেচা কেনার জন্য ব্যবহার করে থাকে ইউএস ডলার। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কুয়েতের তেল কিনতে গেলে কুয়েতের শর্ত হলো কুয়েতের দিনারের বিনিময়ে তেল কিনতে হবে।
সেজন্য অন্যান্য দেশ যেখানে তেল কিনার জন্য সংগ্রহ করে ইউ এস ডলার এবং কুয়েতের তেল কিনতে হলে সংগ্রহ করতে হয় কুয়েতের দিনার। এমনকি কুয়েতের লোক সংখ্যা খুবই কম খুব বলা হয়ে থাকে প্রায় 46 লাখ মানুষ কুয়েতি।
সেজন্য কুয়েত সরকার তুলনামূলক ভাবে দিনার ছাপায় খুবই কম। অল্প সংখ্যক দিনার পাওয়ার জন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আপনারা জানেন অর্থনৈতিক হিসাবে চাহিদা যদি বেশি থাকে এবং যোগান কম থাকে । তহলে সেই জিনিসের দাম এমনিতেই বেরিয়ে যা।
কুয়েত সরকার নানা কারণে ডিনার ছাপাতে অনীহা প্রকাশ করছে। তাই এই দিনারের দাম এত বেশি। এজন্য অল্প বেশি মুদ্রা ধারা বেশি কারেন্সি সাপ্লাই দেওয়া যায়। এজন্যই কুয়েতের কারেন্সি অন্যান্য কারেন্সি তুলনায় কুয়েতির কারেন্টের মূল্য বেশি হয়ে থাকে।
সর্বশেষ যে বিষয়টি দাঁড়ায় তা হল কুয়েতের তেল কিনার জন্য প্রয়োজন কুয়েতি দিনার আর যেহেতু কুয়েতি দিনার কম । কুয়েতি দিনার কম ছাপানোর কারণে এরপর সবার নির্ভরতা ।
এই অতিরিক্ত চাহিদার কারণে কুয়েতের দিনারের দাম এত বেশি।
প্রথমেই বলেছিলাম মাঝে বলবো কুয়েতের সমতুল্য টাকার মুলো না হলেও কাছাকাছি টাকার মূল্য সেই দেশগুলোর নাম । তাই নিম্নে বর্ণনা করা হলো
প্রথমে বলি কুয়েতের এক দিনার সমান বাংলাদেশের 275 টাকা।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাহারান এর মুদ্রা যা দিনার নামে পরিচিত। যার এক দিনার সমান বাংলাদেশি টাকায় 220 টাকা।
তৃতীয়তঃ রয়েছে ওমানের মুদ্রা। যা রিয়েল নামে পরিচিত ওমানের এক রিয়াল সমান বাংলাদেশি 210 টাকা।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে জর্ডানের দিনার। অর্থাৎ জরডান নামক যে দেশে রয়েছে সে দেশের মুদ্রা । জর্ডানের এক ডিনারের মূল্য বাংলাদেশ 130 টাকা।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে-ব্রিটিশ পাউন্ড ।আমরা অনেকেই জানি এক ব্রিটিশ পাউন্ড সমান বাংলাদেশি 110 টাকা কাছাকাছি।
কুয়েতের টাকার ছবি
আপনারা নিম্নে দেখুন কুয়েতি টাকার ছবি
কুয়েতের টাকার নাম কি
* কুয়েত – দিনার।
* বাংলাদেশ – টাকা,,* ভারত – রুপী,,*পাকিস্তান – রুপী ,,* পাকিস্তান – রুপী,,,* নেপাল – রুপীশ্রীলংকা – রুপী** চীন – ইউয়ান,,* রাশিয়া – রুবল,,* মরিসাস – রুপী ,,* জাপান – ইয়েন। * ইসরাইল – শেকেল। *আফগানিস্তান – আফগানী। * সিঙ্গাপুর – ডলার। * কেনিয়া – শিলিং।* মালয়েশিয়া – রিংগিট।
* দক্ষিন আফ্রিকা – র্যা ন্ড। *মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – ডলার।* লিবিয়া – দিনার।* অষ্ট্রেলিয়া – অষ্ট্রেলিয়ান ডলার। * নেদারল্যান্ড – ইউরো।* নিউজিল্যান্ড – ডলার। * ব্রাজিল – ব্রাজিলিয়ান রিয়াল।* হংকং – ডলার।* জিম্বাবুয়ে – ডলার।* কাতার – রিয়াল।* কানাডা – কানাডিয়ান ডলার। * উত্তর কোরিয়া – ওয়ান।
দুবাই মুদ্রার নাম কি
দুবাইয়ে মুদ্রার নাম হলো -দিরহাম
*যুক্তরাজ্য – পাউন্ড। *ইরাক – দিনার।* মিশর – পাউন্ড। * চিলি – পেসো।*লেবানন – পাউন্ড। *ওমান – রিয়াল। * ইতালি – ইউরো। * সৌদি আরব – রিয়াল। স্পেন – ইউরো। * মায়ানমার – কিয়াট। *ফ্রান্স – ইউরো। * আর্জেন্টিনা – পেসো।* গ্রীস – ইউরো। * দক্ষিন কোরিয়া – ওয়ান।
* বেলজিয়াম – ইউরো। * সুইজারল্যান্ড – ফ্রাংক। *ভ্যাটিক্যান – ইউরো। * পর্তুগাল – ইউরো। * ভুটান – গুলট্রাম। * জার্মানি – ইউরো। *কিউবা – পেসো* ইরান – রিয়াল। * জর্ডান – দিনার।
আপনাদেরকে কুয়েতের টাকার নাম এবং কুয়েতের টাকার মান এত বেশি কেন এবং কুয়েতের টাকার ছবি দিয়েছি এবং অন্যান্য বিষয়গুলো বর্ণনা করেছে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
যদি এ পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করে অন্যকে দিতে পারেন এবং কি এই ওয়েবসাইটে এ ধরনের এবং টেকনোলজি বিষয়ক নানা তথ্যমূলক পোস্ট করা হয় সেগুলো জানার জন্য এই ওয়েবসাইটটি সঙ্গে থাকুন।
এই ওয়েবসাইটে আরো এ ধরনের টেকনোলজি বিষয়ক প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন সেগুলো দেখলে আপনাদের অবশ্যই উপকারে আসবে আশা করি খোদা হাফেজ ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।