যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি

যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি,যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিনাম ও জন্ম সন এবং তাদের পেশা ও তাদের জীবনী বর্ননা করা হলোঃ কর্মবীর মুন্সী ম

     আজকে আপনাদেরকে জানাবো যশোর জেলা বিখ্যাত ব্যক্তি তাদের নাম মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং কর্মবীর মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ আরো অনেক যশোর জেলা বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছে তাদের নাম নিম্নে সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে আপনারা দেখে নিন-

    মিরসরাই কিসের জন্য বিখ্যাত জানতে ক্লিক করুন

    যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি


    যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি

    1.যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিনাম ও জন্ম সন এবং তাদের পেশা ও তাদের জীবনী বর্ননা করা হলোঃ  কর্মবীর মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ , তিনি ১৮৬১ সালে  ২৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সময়  যশোর জেলার বর্তমান ঝিনাইদহ জেলারকালীগঞ্জের থানা  ঘোপনামক গ্রাম নামক স্থানে জন্ম গ্রহণকরেন তিনি।

    কর্মবীর মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ ১৯০৭ সালে ৭ জুন পরলোক গমন করেন। সমাজ সংস্কারক,বঙ্গেরখ্যাতিমান বাগ্মী,  ধর্ম ও সাহিত্যিক  প্রচারক মুন্সী মোহাম্মদমেহেরুল্লাহ।যশোর বিভাগের সদরউপজেলার ছাতিয়ানতলাগ্রামে এর পৈত্রিক বাড়ী রয়েছে । 

    তিনি পান্দানামা নামক সেখ সাদির সুবিখ্যাত কাব্যের অনুবাদ সহ,দলিদোল ইসলাম ও রদ্দে খৃষ্টান নামক দুইটি গ্রন্থ রচনা করেন। মেহেরু্ল্লাহ’র রচনাবলীর মুল উদ্দেশ্য ছিলধর্ম বিষয়ক তর্কে ইসলামের মহত্ব প্রতিষ্ঠা করা।কর্মবীর মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ খৃষ্টান ধর্ম প্রচারকদের তীব্রসমালোচনার যৌক্তিক জবাব উপস্থাপন করেসাধারণ মানুষকে ধমান্তদের হাত থেকেরক্ষা করেন তিনি।

    নওগাঁ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তির নাম-নওগাঁ দর্শনীয় স্থান জানতে ক্লিক করুন

    2.মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত

     তার জন্ম স্থানযশোর জেলার কেশবপুর থানায় ১৮২৪  খ্রিষ্টাব্দে ২৫ জানুয়ারী সাগরদাঁড়ীগ্রামে তিনি   জন্মগ্রহণ  করেন বিখ্যাত কবি।তিনি পরগমন করেন ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলিকাতায় । 

    মহাকবি মাইকেল মধুসূদন এই মহাকবি বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক করেন এবং আধুনিক বাংলা কবিতারঅন্যতম   মাইকেল মধুসূদন দত্ত । 

    মাইকেল মধুসূদন  কালজয়ী রচনাবলীর অন্যতম হলো- Captive Lady, শর্মিষ্ঠা,মেঘনাদবধ কাব্য,কৃষ্ণকুমারী,তিলোত্তমা সম্ভব, বুড়ো শালিকের ঘাঁড়ে রোঁ,বীরাঙ্গণা ইত্যাদি মাইকেল মধুসূদন  উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

    3.জ্যোতিস্ক বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ

    জ্যোতিস্ক বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ যশোর জেলার বাগচর

    গ্রামে  ১৮৭৮ সালের ১৬ জুলাই তিনি  জন্ম গ্রহণ করেন। বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ পরগমন করেন ১৯৭৫ সালের ৩ এপ্রিল তার নিজ বাসায় দূর্গাপল্লীতে ।

    বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ তিনি ছিলেন যশোর কালেক্টরেট অফিসের

    একজন সামান্য কেরানী। তিনি  ১৯১০ সালে হ্যালির ধুমকেতৃ পর্যবেক্ষণ করলেন অনেকদিন পর্যন্ত। তিনি প্রতিদিন পর্যক্ষেনের রির্পট একটি খাতায়  লিখে রাখতেন। 

     পর্যাবেক্ষনের পরে নিতি  হ্যালির ধুমকেতৃ নিয়ে   একাধিক প্রবন্ধ লিখেন। দিনভর তিনি চাকুরী করতের  আর রাত হলেই ধৈর্য্য ধরে আকাশপর্যবেক্ষণ বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ । রাতের পর রাত অসীম ধৈর্য্যের সংগে পরিশ্রম করে তিনি গড়ে তুললেন এক অমূল্য তথ্য সমাহার ।তিনি রাধাগোবিন্দের সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করতো ।

     আমেরিকান এ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যারিয়েবল স্টার  অবজার্বার, লন্ডনের ব্রিটিশ অ্যাষ্টোনমিক্যাল  অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের লিয় মানমন্দির,  ইউরোপ আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মানমন্দির প্রভৃতি।

    রাধাগোবিন্দের পর্যবেক্ষণ  তথ্য প্রকাশ করা হতো এধরনের  মানমন্দির প্রকাশিত পত্র-পত্রিকায়। হার্ভার্ডে এখন পর্যন্ত  তার পর্যবেক্ষণ লব্ধ তথা সযত্নে  সংরক্ষন আছে এখন। হার্ভার্ড

    মানমন্দির কর্তৃপক্ষ ১৯২৬ সালে সেই সূদর আমেরিকা থেকে যশোরের জেলার  পাড়াগায়ে ছ’ইঞ্চি ব্যাসের  দূরবীণ পাঠিয়ে দেন। ফরাসি সরকার পরিবর্তন  হওয়ার ।১৯২৮ সালে রাধাগোবিন্দ OARF (Officer ofAcademic Republiance frencaise) নক্ষত্র সম্পর্কে গবেষণার   হিসেবে স্বীকৃতি  দেন ।

     এবং তাকে  সম্মানসূচকউপাধি ও পদক  দেওয়া হয়। তিনি দেশভাগের পর  ১৯৪৭ সালের  কলকাতা চলে যান।

    নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান জানতে ক্লিক করুন

    4.রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার

    রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার যশোর জেলার লোহাগড়া গ্রামে এক সম্ভান্ত বংশে জন্মগ্রহণকরেন ১৮৫৯সালে। এবং তিনি পর গমন করেন ১৯৩২ সালে। 

    যশোরের জেলার  সিংহ পুরুষ রায়বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার তিনি  ইংরেজী শিক্ষার পাশাপাশি ক’জন পন্ডিত নিজ বাড়ীতে চতুস্পাটি খুলে সংস্কৃত শিক্ষা চালু  রেখেছিলেন । রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার বাংলা,ইংরেজী ছাড়াও সংস্কৃত ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন।

    5.মনোজ বসু

    বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন মনোজ বসু।  যশোর জেলার কেশবপুর থানার ডোঙ্গাঘাটা  গ্রামে ১৯০১ সালের ২৫ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্যগ্রন্থ হলো - নিশিকুটম্ব,নবীন যাত্রা,কিংশুক, আমি সম্রাট, মায়াকান্না ইত্যাদি ।

    6.শিশির কুমার ঘোষ 

     শিশির কুমার ঘোষ তিনি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ছিলেন ।  যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার পলুয়া মাগুরা গ্রামে ১৮৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। 

    সিংহ পুরুষ শ্রী ঘোষ ঊনবিংশ শতকে যশোরে

      পরিচিত নাম। শিশির কুমার ঘোষ নীলকরদের অত্যাচারের

    বিরুদ্ধে এবং জনগণকে এই অভিশাপ থেকে

    মুক্ত করতে আপোষহীন সংগ্রাম করে । তিনি  মায়ের নামে ঝিকরগাছায় বাজার প্রতিষ্ঠা করেন এবং পত্রিকা প্রকাশ করে দেন।

    তিনি এন্ট্রান্স পাশ করেন ১৮৫৭ সালে ।    তিনি সেরা বিদ্যাপীঠ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন।

    লেখাপড়া শেষ না করেই   ফিরে আসেন যশোর।  এবং জনকল্যাণে

    আত্মনিয়োগ করেন। সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজে জনগণের র্বিক অবস্থা ও ইংরেজদের অত্যাচার নির্ভয়ে তুলে ধরতেন শিশির কুমার ঘোষ।

    7. এ্যাডভোকেট শহীদ মশিউর রহমান  এ্যাডভোকেট শহীদ মশিউর রহমান ১৯১৭  সালের ফেব্রুয়ারী মাসে  চৌগাছা থানার সিংহঝুলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরগমনকরেন ১৯৭১ সালে ২৩ এপ্রিল  ।

    মশিউর রহমান যশোর  এবং   বাংলাদেশের  পরিচিত নাম। দেশের স্মরণীয় ও বরণীয় একজন ব্যাক্তি। আধুনিক মনন ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় একজন নিবেদিত সাহসী নেতার  ছিলেন  মশিউর রহমান । ১৯৩৬ সালে যশোর জেলা স্কুল হতে এন্ট্রান্স।

     কলকাতা ইসলামীয়া কলেজ হতে আইএ ১৯৩৮ সালে পাশস করেন এবং বিএ পাশ করেন ১৯৪০ সালে।  কলকাতা লর্ড  রিপন কলেজ হতে ল‘ ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৪৪ সালে।

     তিনি ছিলেন উপমহাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ  এবং 

    ব্যারিষ্টার । তিনি    একান্ত বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। শহীদ মশিউর রহমান১৯৪৯ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে তিনি যশোর জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

    যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম নিম্নে দেখুনঃ আলোকচিত্রকর মোঃ সফি, 

    কে পি বসু (কালিপদ বসু,আনোয়ারা সৈয়দা হক,ধীরাজ ভট্রাচার্য,মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান,ওয়াহেদ আলী আনসারী,শিক্ষাবিদ আব্দুর রউফ ,বেগম আয়েশা সরদার (নারী আন্দোলনের নেত্রী),সংগ্রামী মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন,প্রফেসর শরীফ হোসেন,যতীন্দ্রনাথ মূখোপাধ্যয় (বাঘা যতীন ইত্যাদি। 

    নড়াইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি জানতে ক্লিক করুন

    যশোর জেলার ইতিহাস


    যশোর জেলার ইতিহাস

    খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা যশোর  গঙ্গা ওব্রম্মপুত্রের মধ্যখানে  উত্তর-পশ্চিম কে সমান তিন ভাগে ভাগ করলে উত্তর-পশ্চিম কে সমান তিন ভাগে ভাগ করলে দক্ষিণ-পূর্ব অংশ ছাড়া অবশিষ্ট অংশ হচ্ছে যশোর জেলা।

    তৎকালীন সময়ে যশোর জেলার দর্য় ছিল  140 মাইল প্রস্থ 76.8 কিলোমিটার বা 48 মাইল আদি যশোরের আয়তন ছিল  1,লক্ষ  45 হাজার 60বর্গ কিলোমিটা। বা 5600 বর্গমাইল । যার মধ্যে 8 হাজার 861.6 বা 1160 বর্গ মাইল সুন্দুর বন অংশ। 

    যশোর জেলায় কোন বন নেই  যশোর জেলার মধ্য ভৈরব  চিতা , কপতাক্ষ , ভুরিহর , দাগরা , বেতরাগতি , ইছা নদী অনতম। 

    বর্তমানে যশোর জেলা প্রাচীন নদ  নদীর ধারা  বিভক্ত ছিল ।  

    নানা জেলার তথ্য জানতে ক্লিক করুন

    এই ওয়েবসাইটে নানা দেশের নানা তথ্য বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম বর্ণনা করা হয় এগুলো জানার জন্য এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন এই ওয়েবসাইটে আরো অন্যান্য বিষয় রয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন

    LikeYourComment