বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম ছবি-অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই
বিয়ে বা বিবাহ কি ?
বিয়ে হল ছেলে এবং মেয়ের সাথে সামাজিকভাবে দুটি পরিবারের সম্মতির মাধ্যমে বন্ধনে আবদ্ধ করাই হল বিয়ে বা বিবাহ। ছেলে এবং মেয়ে বিবাহ হালাল করার জন্য ইসলামিক ভাবে যে আইন বা চুক্তি রয়েছে তা দুই পরিবার বা দুজনের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা।
বিবাহর সংজ্ঞা বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতি থেকে বিবাহর পরিবর্তন হয়। বিবহর মাধ্যমে মানুষের নতুন একটি জীবন অধ্যায় শুরু হয়। বিবাহ ছাড়া ছেলে এবং মেয়ে ভয় পরিপূরক হতে পারে না বিবাহের মাধ্যমে ছেলে এবং মেয়ের একে অপরের পরিপূরক হয়ে যায়।
Bibāha rējisṭrēśana pharama chabi
বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেখা মেলে ।যার মাধ্যমে আমাদের সমাজ আরো বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। যুগে যুগে নতুন প্রজন্ম থেকে নতুন ভাবে জীবনমান পরিবর্তন হয়েছে। এটাই বাস্তবতা আমাদের এক এক প্রজন্ম একেক ধরনের। নিম্নে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ডাউনলোড ছবি ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো দেখুন-
অন্যান্য বিষয়,,,,,
জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd জানতে ক্লিক করুন
জনতা ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম জানতে ক্লিক করুন
ফ্যামিলি ভিসা আমেরিকা জানতে ক্লিক করুন
অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই
বিয়ের একটি সুন্দর বন্ধন যার মাধ্যমে সকল ধর্মের নর-নারী হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। উর্দু ভাষায় আমাদের রাংলা বিয়ে কে বলা হয় ”শাদি”একে আবার আরবিতে বলা হয় “নিকাহ” এবং বাংলায় বিবাহ বা বিয়ে বলা হয়ে থাকে। বিয়েকে একেক দেশে একেক ভাষায় আলাদা আলাদাভাবে বলে থাকে।
মুসলিমদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন খরচ -ফ্রী ঃ
10 ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি আইন অনুযায়ী বিবাহ বা নিকাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য চার লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহর ধার্য করা হলে তার এক হাজার বা দেনমোহর ধার্য হারে সরকার কে 12.50% হারে ফ্রি জমাদিতে সকাররের রাষ্টকষাকাড়ে । দেনমোহরের পরিমাণ যদি 4 লাখ এর বেশি হয় তাহলে প্রতি লাখে 100 টাকা ভাড়া আদায় করতে হবে।
সাধারণত মুসলমানের বিয়ে মসজিদ বা বাড়িতে হয়ে থাকে ।সেখানে কাজী কে আনা হয় তার পর বিবাহ পড়ানো হয়। সেখান থেকে মূলত সরকারের ফ্রী দেয়া হয়ে থাকে কাজীকে। সাধারণত গ্রাম অঞ্চলের 2000 থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত কাজী নিয়ে থাকেন।
বিদ্রঃ বিবাহর দেনমোহর এর পরিমান যত হোক না কেন অন্তত বাংলাদেশের সরকারকে 200 টাকা দিতে হবে । 200 টাকার নিচে বাংলাদেশের সরকার বিবাহের দেনমোহর নানা নিয়ে থাকেন না সরকারি ধার্য ফ্রী সর্বনিম্ন 200 টাকা।
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফ্রী জমা দেয়া হলে তৎক্ষণাৎ একটি প্রাপ্তি রশিদ দেয়া হয় গ্রাহককে। মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের পর রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক এবং কি মুসলিমদের ক্ষেত্রে দেনমোহর যাই হোক না কেন দেনমোহর বাধ্যতামূলক । মুসলিমদের ক্ষেত্রে বিবাহ দেনমোহর অর্থ বা যেকোন বস্তু হতে পারে যা ইসলাম শরিয়া অনুযায়ী ।
মুসলমানদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সরকারিভাবে যে ফরম অনলাইনে রয়েছে তা নিম্নে দেয়া হয়েছে সেখানে প্রবেশ করে দেখে নিন-
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম ছবি
পারিবারিক সম্মতি মাধ্যমে এবং সরকারিভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মুসলিমদের বিবাহ সম্পন্ন হয় এই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম অনলাইন থেকে করা যায় সেই লিঙ্ক দেওয়া রয়েছে।
মুসলমানদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন অনলাইন ফর্ম করুন ক্লিক করুন...
আপনারা এই মুসলিমের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফর্ম উপর ক্লিক করলে সেখানে একটি পিডিএফ ফ্রম পেয়ে যাবেন। যা আপনারা ডাউনলোড করতে পারবেন এবং দেখতে পারবেন ছবি বাংলাদেশ সরকারিভাবে এই লিঙ্ক সাইটি।
হিন্দুদের বিবাহ নিবন্ধন নামা
মুসলমানদের রীতিনীতি থেকে হিন্দুদের বিবাহ সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে থাকে হিন্দুদের বিবাহ জন্য বিবাহের প্রমাণপত্র উদ্দেশ্যে হিন্দু বিবাহ ও বিধির বিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা যাইবে হিন্দুদের বিবাহ নিবন্ধন বিস্তারিত লিঙ্ক দেয়া হবে সেখান থেকে নিবেন বিস্তারিত-
হিন্দুদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন থাকুক না কেন বা কোন কিছুই থাকুক না কেন হিন্দুদের বিবাহ জন্য কোন আইনি ভাবে নিবন্ধিত না হলেও হিন্দু বিবহার জন্য হিন্দুদের শাস্ত্র অনুযায়ী বিবাহের কাজ সম্পুন করা হলে বা নিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিবা হ সম্পুন হলে তা বৈধত ক্ষুণ্ন হয় না।
যদি হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন করার জন্য কোন আইন থাকে বা কোন কিছু থাকে তাহলে নিম্নে আইন রয়েছে-
‘‘হিন্দু বিবাহ’’ অর্থ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাধ্যেমে সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং হিন্দুদের শাস্ত্র অনুযায়ী প্রচলিত প্রথা ও রীতি নিতি অনুযায়ী
হিন্দুদের বিবাহ অনুমোদিত হয়।
*নির্ধারিত’’ অর্থ এবং বিধি ও বিধান দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে নিন্দু বিবহ।
*হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক’’ অর্থ হয় ধারা ৪ অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন।
*জেলা রেজিস্ট্রার’’ অর্থ এর অধীন নিযুক্ত রেজিস্ট্রার বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা।
*বিধি বিধান’’ অর্থ ও আইনের অধীন প্রণীত বিধি হিন্দু বিবাহ।
হিন্দুদের বিবাহ নিবন্ধন সম্পর্কে জানতে নিম্নে লিংকে ক্লিক করুন
হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন ক্লিক করুন
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কখন নির্ধারিত হয় দেখুন-
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন ধার্য করা হয় 1974 সালে মুসলিমদের বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন অনুযায়ী বিবাহের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করার জন্য সরকার কর্তৃক কাজী নির্ধারিত করা হয় । 1974 সালে সরকারিভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন চালু হয় বিবাহ ধারা 10 ।
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন নিবন্ধন না করা হলে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং বাংলাদেশ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বিবাহ গ্রহণযোগ্যতা পায় না ইসলামিক ভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায় ইমাম বিবাহ পড়ানো হয়।
খ্রিস্টানদের বিবাহ আইন হলো 1872 সালে খ্রিস্টানদের বিবাহ আইন চালু হয়। খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রেও বিবাহ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক খ্রিস্টানদের বিবাহ নিবন্ধন একটি অংশ হিসেবে গণ্য হয়। খ্রিস্টানদের প্রায় প্রত্যেকটি বিয়েই তাদের এই বিয়ে নিবন্ধন করা হয়।
খ্রিস্টানদের ধর্ম অনুযায়ী খ্রিস্টানদের বিয়ে হচ্ছে একটি পবিত্র চুক্তি।এজন্যই খ্রিস্টানদের নিবন্ধন করা হয় যা কিনা খ্রিষ্টান বিয়ে লিখিত মাধ্যমে সম্পাদিত হয় এবং এই খ্রিস্টান নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক যা করতে হয়।
বিদ্রঃ খ্রিস্টানদের বিয়ে যদি কোনো খ্রিষ্টান নিবন্ধন বিয়ে বিধি-বিধান নিবন্ধন লংঘন করে তাহলে তার জন্য শাস্তির যোগ্য অপরাধে শাস্তি রয়েছে। শাস্তি হিসাবে থাকবে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা 30 হাজার টাকা জরিমানা ।
এবং কি এই শাস্তির যোগ্য অপরাধে শাস্তি উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং কি খ্রিস্টানদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন না হলে বিয়ে বাতিল হিসেবে গণ্য হবে ।
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কি কি প্রয়োজন
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে আপনার কি কি লাগবে তা নিম্নে দেয়া হয়েছে সেগুলো বিস্তারিত দেখুন-
*বিবাহ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে প্রমাণ হিসেবে প্রদান করতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র সেটা যদি থাকে তাহলে তাদের কাছে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে জন্ম সনদ অথবা এসএসসি পাশের সনদপত্র
দ্বিতীয়তঃ প্রমাণপত্র প্রয়োজন ছেলে-মেয়ে উভয়ের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ইসলামিক ভাবে এবং সরকারি ভাবে উভয় ক্ষেত্রে সাক্ষী লাগবে অবশ্যই সাক্ষী প্রদানকারী প্রাপ্তবয়স্ক দুজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ইসলামিক হিসাবে এবং অনুযায়ী দুজন মহিলা সাক্ষী ও থাকতে পারে।
খ্রিস্টানদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যা যা প্রয়োজন হয়
খ্রিস্টানদের বিয়ের জন্য প্রথমে বিয়ে করতে যাওয়া পাত্র প্রার্থীর নাম সম্পূর্ণ নাম ও ডাগ নাম এবং পেশা ও তাদের অবস্থা।
দ্বিতীয়তঃ পাত্র-পাত্রীর বাসস্থান ও আবাসস্থল ঠিকানা প্রয়োজন
তৃতীয়ত পাত্র-পাত্রী কতদিন যাবৎ এলাকায় বসবাস করছে তার প্রমান পত্র থাকতে হবে এবং বিয়ে সম্পাদনের চর্চা অন্য কোন স্থান বিবাহ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এই পোস্টে যে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো নিম্নে দেখানো হল দেখে নিন,
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম,বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম, বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন,বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই অনলাইন, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন,
বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম ছবি , বিবাহ রেজিস্ট্রেশন এর উদ্দেশ্য কি, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম।বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগবে,বিবাহ নিবন্ধন, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কি, বাংলাদেশ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন,হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম।
হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম ছবি,বিবাহ রেজিস্ট্রেশন খরচ, বিবাহ রেজিস্টার, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বই, মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফি,হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফি, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগবে,মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি বিষয়।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে এ পোস্টে বিবাহ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে অনেকে জানে তথ্যগুলো এবং অনেকেই এই তথ্যগুলো জানো না তো আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে এসেছে।
এই ওয়েবসাইটে নানা ধরনের তথ্য মূলক পোস্ট করা হয় যা আপনাদের উপকারে আসবে সে কথা চিন্তা ভাবনা করেই এই ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয় যা মানুষের কল্যাণের জন্যই পোস্ট করা হয়।
এই ওয়েবসাইটে আরো নানা ধরনের তথ্যমূলক পোষ্ট রয়েছে সেগুলো আপনারা দেখতে পারেন যা আপনাদের উপকারে আসবে।