মোবাইল ব্যাংকিং এ বাংলাদেশের অবস্থান?-banglana

     

    মোবাইল ব্যাংকিং এ বাংলাদেশের অবস্থান?-banglana

    মোবাইল ব্যাংকিং এ বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে দ্বিতীয় নাম্বারে।

    এবং প্রথম স্থানে রয়েছে (কেরিনা)। আর আমাদের একটি সুপরিচিন মোবাইল ব্যাংকিং বিকাস ( সারা পৃথিবেতে অবস্থান রয়েছে ২৩ তম স্খানে।

     বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেম খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কারণ এটি সারা পৃথিবীর প্রথম স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশকে  গণ্য করা হয় ১ম স্খানে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ   মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকেন । বাংলাদেশ দৈনিক মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন করে থাকেন প্রায় সাত কোটির উপরে  এবং কি প্রতিবছর 2 লাখ 60 হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন করে থাকেন বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে।

    বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার কারি কারা বেশি?

    বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেম এর সুবিধা সকল শ্রেণীর মানুষ ভোগ করে থাকেন সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী হয়ে থাকে বাংলাদেশের  শ্রমজীবী মানুষ ।শ্রমজীবী মানুষ বেশি ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করার কারণ এর মধ্যে অল্প টাকা খুব সহজেই আদান-প্রদান করা যায় এবং কি খুব স্বল্প মূল্যে যেকোনো জায়গা থেকে এটি ব্যবহার করা যায়। যার কারণে এর সংখ্যা অনেক বেশি ।

    বাংলাদেশের শহরে শ্রমজীবী দিনমজুর থাকেন তারা খুব বেশি বেতন পয় না। যার ফলে  এই শ্রেনির কম মুনাফা ব্যক্তিরা এটি ব্যবহার করে থাকেন। বেশিরভাগ শ্রমিকের পরিবার থাকে তার গ্রামে শহর থেকে অল্প কিছু টাকা গ্রামে পাঠানোর জন্য তারা মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম টি নির্বাচন করে থাকেন। মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করার ফলে খুব সহজে তার আপন জনের কাছে দিনমজুর ব্যক্তিরা টাকা পাঠাতে পারেন। 

    কোন শ্রেনির মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বেশি ব্যবহার করে?

    যে শ্রেণীর মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বেশি ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে রয়েছেন। যেমন :ফেরিওয়ালা, ফুটপাতের  বিক্রেতা ,বাস ড্রাইভার ,টাক ড্রাইভার,কুলি, দিনমুজুর,এধরনের আরো নানা শ্রেনির মানূষ ।

    এবং রিক্সাওয়ালা এসব লোক সারাদিন পরিশ্রম করে তাদের নিকট আপনজনদের কাছে কোন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্সির মাধ্যমে তাদের আপনজনদের কাছে টাকা পাঠিয়ে থাকেন এর কারনে  মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম এত জনপ্রিয় বাংলাদেশে।

     দিনমজুর এবং শ্রমজীবী মানুষ তাদের অর্থ কম হওয়ার কারণে তারা বড় কোন ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারো না এবং কি সেটি সহজলভ্য নয় সব জায়গায় বর ব্যাংকিং সিস্টেম থাকেনা বাংলাদেশের অধিকাংশ গ্রামীণ এ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম চালু রয়েছে এর মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করা যায় খুব সহজে।

    সার্বচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় মোবাই ব্যাংকিং সিস্টের মাধ্যেমে? এবং সর্ব  নিম্ন।

    বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে সর্বোচ্চ 20,000 টাকা পাঠানো যায় এবং সর্বনিম্ন 100 টাকা পাঠানো যায় একটি নাম্বারে তিনবার 20 হাজার করে টাকা পাঠানো যায় কিছু সময় পর পর সারাদিনের একটি নাম্বারে এক দিনে সর্বচ্চ 60 হাজার টাকা পাঠানো যায়। এর উপরে মোবাইল  ব্যাংকিং সিস্টেম টাকা পাঠানো যায় না এটি একটি বড় ব্যাপার।

    কম টাকা পাঠানোর মত একটি বড় সুবিধা রয়েছে সেটি হল যদি কখনো ভুল নাম্বারে কারো কাছে থাকা যায়।  সে যদি সত্যবান হয় তাহলে টাকা ফিরিয়ে দেবে আর যদি তা না হয় তাহলে ওই টাকা   পাওয়া সম্ভব নয় যদি বেশি টাকা পাঠানো হতো তাহলে ব্যক্তির কাছে টাকা চলে গেলে আর কখনোই পাওয়া যাইতো না এই কারণে কম টাকা পাঠানো মধ্যে সুবিধা রয়েছে। যার কারণে টাকা চলে গেল খুব একটা ক্ষতি হয় না।

    মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম  ব্যাবহার করে  সুবিধা  । 

    মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা যে যে সুবিধা ভোগ করি এবং যে উপকার আমাদের হয় তা হল গার্মেন্টসের লাখ লাখ নারী কর্মী মোবাইলে ব্যাংকিং সিস্টেমে বেতন পায় তারা একটা অংশ মোবাইলেরই তার গ্রামে পাঠায়। কাজের বুয়ারা বেতন পেয়ে থাকেন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে । যারা উচ্চবিত্ত তাদের মাঝে গরিব  আত্মীয়স্বজনকে বা  অন্য কোন প্রয়োজনে টাকা পাঠানোর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যাবহার করে থাকেন।

    মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম থাকার কারণে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এই লেনদেন ব্যবস্থাটিতে   খুব অল্প টাকা পাঠাতে পারে এর মাধ্যমে তাতে তাদের সময় বাছেঁ এবং ঝুকিঁ ও কমে যায়।   ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফ্রি পরিষদ, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ,সরকারি উপবৃত্তি বিতরণে ব্যবহার করে থাকেন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম।

    যেখানে ঘরের পাশে রকেট আছে, বিকাশ আছেন এগুলো থাকার পরে মানুষ তো কষ্ট করে  কয়েক কিলোমিটার দূরে ব্যাংক শাখায় যাবে না।

    ব্যাংক শাখা না যাওয়ার কারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকেন। ব্যাংক শাখা  আর্থিক কারণে সর্বত্র শাখা খুলতে পারে না। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে টাকার চলাচল গতি বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মোবাই  ব্যাংক মানুষের প্রয়োজনে ভাষাটি বুঝতে পেরেছিল।তার কারনেই তো  মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে জনপ্রিয়।  দেশের কয়েক লাখ   ব্যাংকিং এজেন্ট আছে তাদের কর্মসংস্থা তৈরি হয়েছে। অনেক পরিবার আয়ু বেড়েছে শুধু টাকার চলাচল বৃদ্ধি পায়নি তার সাথে ক্ষুদ্র ব্যাবসাও  ব্যবসা ও বড় হয়েছে।

    ভয়াভয় সময় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম সচল রাখা যায় আপনারা অবশ্যই জানেন 2015 সালে ঢাকা শহরে যখন পেট্রোল বোমা একটি ভয়াবহ সমস্যা ছিল ।তখন এই মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ সিস্টেম চালু ছিল যার ফলে সারাদেশে অর্থ সবাহ করা গিয়েছিল।মোবইল  সিস্টেম প্রবাসীদের সেবা দিতে পারছে না সুক্ষ ভাবে।

    LikeYourComment